শিরোনাম
গণপরিবহনে বাড়ছে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৭:৫৯
গণপরিবহনে বাড়ছে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা
ফাইল ছবি
খলিলুর রহমান
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর গণপরিবহনে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়ে গেছে। চেতনানাশক মেশানো খাবার খাইয়ে অজ্ঞান করে মানুষের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির মধ্যেও তাদের দৌরাত্ম্য কমছে না। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ছেন স্বয়ং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।


সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় শিকড় পরিবহনে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন মঙ্গল মিয়া (৩০) নামে এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। এ সময় তার কাছে থাকা ২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা নিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টি। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।


উদ্ধার করে নিয়ে আসা তার সহকর্মী আফজাল ইসলাম বিবার্তাকে বলেন, দুপুরে ভাঙ্গারি মাল কেনার জন্য মিরপুরে যাই। মাল না পেয়ে আমরা শিকড় পরিবহনে দয়াগঞ্জে ফিরছিলাম। একসঙ্গে সিট না পাওয়ায় আমি সামনে ও ভাই পেছনে বসে। ভাইয়ের ২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ছিল। পরে বাস ফার্মগেট এলে দেখি মঙ্গল মিয়া সিটে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাই। প্রতারক চক্রটি তার সঙ্গে থাকা টাকা নিয়ে গেছে।


এর আগে গত ৫ অক্টোবর রাজধানীতে চলন্ত বাসে পারভেজ মল্লিক নামে পুলিশের এক এএসআই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। ভুক্তভোগী পারভেজ মল্লিক টঙ্গী পূর্ব থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি চাঁদপুর মতলব উত্তর থানা এলাকায়। এএসআই পারভেজের প্যান্টের পকেটে আইডি কার্ড ও মোবাইলফোন ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি।


এএসআইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া একই বাসের যাত্রী মো. সাইদুর রহমান জানান, গত ৫ অক্টোবর দুপুরে বলাকা পরিবহনের বাসটি গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে সায়েদাবাদের দিকে যাচ্ছিল। বাসে করে বনানী পর্যন্ত আসার পর তিনি দেখেন, তার পেছনের একটি সিটে অচেতন হয়ে পড়েছেন পারভেজ নামে ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তখন তিনি তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়া যাচ্ছিলেন না। পরে তিনি নিজেই বাস থেকে তাকে নামিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যান ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে।


তিনি বলেন, বাসের ভেতর এক বই বিক্রেতা হকার উঠেছিলেন। ওই হকার তার ওপর কোনোভাবে চেতনানাশক প্রয়োগ করতে পারেন বলে ধারণা তার। ভুক্তভোগী পারভেজ জানান, গত ৫ অক্টোবর থানা থেকে বের হয়ে বলাকা বাসে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উদ্দেশে বাসে উঠি। বাসটি খিলক্ষেত আসার পরে পাশের সিটে বসা অপরিচিত লোকের দেওয়া পানি পান করি। এরপরই অচেতন হয়ে পড়ি।


ডিএমপির পাবলিক রিলেশন্স ও মিডিয়া বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বিবার্তাকে বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে। এছাড়া ডিএমপির আটটি বিভাগে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাবও তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।


বিবার্তা/খলিল/গমেজ/শাহিন/এমবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com