শিরোনাম
ছাত্রদলের শ্রাবণ-শ্যামলের অর্থবাণিজ্যের অডিও ফাঁস
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২১, ২০:০২
ছাত্রদলের শ্রাবণ-শ্যামলের অর্থবাণিজ্যের অডিও ফাঁস
জাহিদ বিপ্লব
প্রিন্ট অ-অ+

দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল। তাদের নেতৃত্বেই হয় ৬০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি। যদিও মেয়াদের ২২ মাস পার হলেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেননি। উপরন্তু তাদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে পদ দেয়ার অসংখ্য অভিযোগও উঠেছে। কমিটি নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির অডিও রেকর্ড পাওয়া গেছে। এমন কেলেঙ্কারির কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতে মূল (বিএনপি) দলের নেতারা।


অভিযোগ রয়েছে, উৎকাচের বিনিময়ে বাছবিচার ছাড়াই কমিটি দেয় সুপার ফাইভের নেতারা। ভাগ-বাটোয়ারা করেই নানা পদে লোক বসাচ্ছেন তারা। এতে অযোগ্যরা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারলেও ত্যাগীরা হচ্ছেন উপেক্ষিত। কমিটি দেয়ার ক্ষেত্রে সিনিয়র নেতাদের সুপারিশও মানছেন না তারা। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান শ্যামল ও সিনিয়ার সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের বিরুদ্ধে। তাদেরকে জমি বিক্রি করেও টাকা দিয়েছেন কোনো এক উপজেলার পদপ্রত্যাশী।



অভিযোগ পাওয়া গেছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কমিটি দিতে গিয়ে দুই পক্ষ থেকেই মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন ছাত্রদলের সুপার টু’এর দু’জন নেতা। এর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিটি স্থগিত করা হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।


এরকম আর্থিক লেনদেনের একটি অডিও বিবার্তার কাছেও এসেছে। সেখানে কথা বলছেন রূপগঞ্জ ছাত্রদলের ২ নং যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম বিল্লাহ ও আরেক নেতা সুজন। অডিওতে শোনা গেছে, রূপগঞ্জে টাকা দেয়ার পরও যারা কমিটিতে জায়গা পাননি তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আহ্বায়ক করার কথা বলে মাসুম বিল্লাহর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রাবণ-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। এরমধ্যে মধ্যস্থা করেছেন রাজীব-আকরাম কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ।


অডিওতে যে কথোপকথন শোনা যায়-


মাসুম: কার লগে এতো রাইতে প্রেম-টেম করো মিয়া?


সুজন: কই ভাই!


মাসুম: খালি মোবাইল ব্যস্ত মিয়া!


সুজন: কই ব্যস্ত ভাই? আমিতো কারো সাথে কথা বলতেছি না।


মাসুম: ধুর মিয়া কখন থেকে তোমারে ট্রাই করতেছি, খালি ব্যস্ত দেখাইতেছে। কার লগে এতো কথা কইতাছো।


সুজন: আমিতো মাত্র খাওয়া-দাওয়া করলাম। কারো সাথে কথাও কইলাম না।


মাসুম: তুমি কই?


সুজন: আমিতো বাসায়।


মাসুম: যেই কথাটা যেই বিষয়টা। যেটা নাকি তুমি টাকাটা শ্রাবণ ভাইকে দিয়েছো, সেটা কি মাহফুজ ভাই জানে?


সুজন: হুম


মাসুম: মাহফুজ ভাই জানে?


সুজন: হ


মাসুম: একলাখ টাকা দিছো এটা কি তোমার নিজের। মাহফুজ ভাই ইনস্ট্যান্ট ওই জায়গায় ছিলো? একলাখ টাকা শ্রাবণ ভাইকে দিছো।


সুজন: আমি নিজে দিছি।


মাসুম: শ্রাবণ সাথে আর কোনো লোক ছিলো? সাক্ষী রাখছো কোনো? ডাইরেক্ট নাকি পারসনাল দিছো।


সুজন: না, উনি (মৃদু হাসি) টাকা লইছে রাত দেড়টা বাজে। তখন সব ক্লিয়ার করে লইছে না? এটা আমি ওনার বাসায় গেছিলাম আমার কাছে পারসনাল চাইছে টাকা।


মাসুম: টোটাল কত চাইছে?


সুজন: আমার কাছে চাইছে আরো বেশি। আমি বলছি আমার কাছে ব্যবস্থা নাই। বলছে কারো কাছে বলিস না? আমি যেহেতু ওনারে চিনি মাহফুজ ভাইকে দিয়ে, মাহফুজকে না জানিয়ে ইয়া করে ফেলবো।


মাসুম: হুমম


সুজন: উনি বলছে কেউ যেন না জানে। ভাইরে কিভাবে কি বলি। একদিন গেছি ওনার বাসার নিচে। ওইদিনও টাকা নিয়ে গেছি। ওই দিন কম নিয়ে গেছি। ওইদিন মনে হয় ৪০ (৪০ হাজার) না যেন কত নিয়ে গেছি। বলতেছে, রাখ এটাতো আমার জন্য না। টিমেরে দিতে অইবো, টিমেরে দিতে অইবো। তখন টিমেরে দিতে অইবো পরে কয়, টিমে মনে করো চারজন আছে হ্যাগো লাগবে মনে করো মিনিমাম এক। পরে সেন্ট্রালরা আছে। এইডা হেইডা বেশি। ওনারটা বেশি।


মাসুম: পরে


সুজন: আমি মাহফুজ ভাইকে বলছি ভাই- এই এই ঘটনা। মাহফুজ ভাইরা কাছের লোক বা ছোট ভাই। আমারতো এইডা পারতে হইবো। কিন্তু যার মাধ্যমে এখানে গেলাম তারে তো জানাইতে হইবো বিষয় এইটা।


মাসুম: না, অবশ্যই। কী কয়।


সুজন: পরে ভাই কইতেছে। সে আবার বলছে কাউকে না জানাতে। ভাইয়ে যাতে না জানে।


মাসুম: কেডা না জানে? মাহফুজ ভাই?


সুজন: হ, মাহফুজ ভাই যেন না জানে।


মাসুম: ইশ!


সুজন: এইটা শ্রাবণ ভাই আমারে কইছে।


মাসুম: সরম সরম না?


সুজন: হ, সরম। উনি কইলেই কি? আমি মাহফুজ ভাইকে না জানাবো নাকি?


মাসুম: হুম


সুজন: পরে আমি ভাইরে ফোন দিলাম। বাহির হয়েই ফোন দিলাম। ভাই এই এই ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গেই ফোন দিছি। উনি কইছে-কী কইতাম কন। ভাই দরকার নাই আর। এগুলো ঝামেলা। কারণ আমরা টেহা দিয়া পারতাম না। ভাইরে কইছি। কয়, আচ্চা ঠিক আছে। তুমি আইয়ো। পরে সোহেলরে কইছি। এই এই ঘটনা। সোহেল কয় আচ্ছা ঠিক আছে? নির্ধারিত একটা ডেট দিছে এতোদিন লাগতে পারে। তহন ওইতো টাকা যেটা ম্যানেজ করলেন সবাই মিলে। এই অবস্থা।


মাসুম: হ্যারে কত দিছিলা? ভাইরে?


সুজন: অ্যা


মাসুম: শ্রাবণ ভাইরে কত দিছিলা?


সুজন: ওইদিন পুরো


মাসুম: একলাখ টাকা দিছো। পরে আরো টেহা দিছো ভাইরে।


সুজন: ওনারে আগে পরে এগুলো আমার হাত দিয়ে কিছু হয় নাই। ওই জিনিসটা যে উনি মাহফুজ ভাইরে না জানাইতে। বিষয়টা মাহফুজ ভাই জানেই। যেহেতু কেউ না জানে- একলা যাইও। তাই একলা গেছি।


মাসুম: ওই শুধু একলাখ টাকা দিয়া আইছো? টাকা নিয়েও কাজ করে নাই?না।মজাটা বুজবো হ্যায়। টেহা খাওয়ার মজাডা।


সুজন: কাজ করলেতো হইতোই।


মাসুম: আরেকটা বিষয় হইছে- আকরাম ভাই আমাগো থেকে কতো নিছে টোটাল।


সুজন: অনেক অনেক


মাসুম: আমি মাসুম বিল্লাহ আমি যে তোমাকে কথাগুলো বলছি। এগুলো তোমার আর আমার মধ্যে থাকবে। এগুলো মাহফুজ ভাই ও সোহেল ভাইর জানার দরকার নাই। আমাকে সেন্ট্রাল থেকে একজন ফোন দিছে তার সংগে কথা হইছে। কাউকে বলার দরকার নাই। আকরাম ভাই তোমার থেকে কতো নিছে। আমরাতো একদিন গিয়ে ২০ হাজার দিয়েছি। আর তোমার থেকে ভেঙে ভেঙে কতো নিছে?


সুজন: বলতে গেলে উনি একদিন গাড়ি পারপাস অনেক টাকা নিছে। গাড়ি ভাড়া করে দিতে হইছে। আমার জন্য একজনে ওনাকে ৫০ হাজার টাকা নিছে।


মাসুম: কেডা এইডা


সুজন: এক বড় ভাই। উনি রাজনীতির বাইরে।


মাসুম: তোমাকে কমিটিতে রাখার জন্যই তো টাকা দিছে?


সুজন: হুমম


মাসুম: শ্যামল ভাইয়ের কথা বলে নিয়েছে না আকরাম ভাই নিজে নিয়েছে।


সুজন: ওই বড় ভাইয়ের দুই ব্যাজ জুনিয়র আকরাম ভাই। ওই বড় ভাইকে আমি বলছি। সে বলছে আমার অফিসে ডেকে এনে বলবো নে। পরে শ্যামল ভাইয়ের অফিসে গিয়ে টাকা আনছে। এগুলো মাহফুজ ভাই জানে। ওই বড় ভাই বলছে আমার এলাকার ছোট ভাই যে কোনোভাবে তারে একটা জায়গা দিতে হবে। আমার পারপাসে কয়েকবারে টাকা নিয়েছে।


মাসুম: শ্যামল ভাইকে তুমি টাকা দিয়েছো?


সুজন: আমি তাকে দিই নাই।


মাসুম: কোনো পারপাসে গেছে কিনা?


সুজন: সোহেল দিছে, মাহফুজ ভাই দিয়েছে। আরো একজন আকরাম ভাইকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। সেই পরিচয়টাও মাহফুজ ভাইয়ের দিয়ে। আমি চিনছি মাহফুজ ভাইকে দিয়ে। আরেকদির আমার সামনে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে।


মাসুম: কাকে? শ্যামলরে?


সুজন: আকরাম ভাইকে।


মাসুম: শ্যামল ভাইয়ের সাথে তুমি লেনদেন করো নাই?


সুজন: না। আমাকে রেখে সোহেল ভাই আর মাহফুজ ভাই কয়েক দিন করছে। কারণ আমার সামনে রেখেতো দেয়া যাইতো না। যেদিন শফিউল বারী বাবু ভাই মারা গেছে সেদিনও দিছে।


মাসুম: মউতের দিনও টেহা খাইছে।


সুজন: বাবু ভাই যে হসপিটালে ছিলো সেখানে।


মাসুম: কত দিছে ওইদিন?


সুজন: ওইদিন মনে হয় ২০ হাজার দিয়েছে।



অভিযোগ রয়েছে টাকা নেয়ার পর অন্য গ্রুপ সুলতান মাহমুদ ও মাসুম বিল্লাহর থেকে ২৩ লাখ টাকা নিয়ে তাদের পদ দিয়েছে শ্যামলরা। সেই কমিটিতে সুলতান মাহমুদ বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও আহ্বায়ক পদ দেয়া হয়েছে। এবং মাসুম বিল্লাহকে যুগ্ম আহবায়ক করেছে তারা। কিন্তু মাসুম বিল্লাহকে প্রত্যাশিত সদস্য সচিব না করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে এই অডিও ফাঁস করেন বলে নেতাকর্মীরা জানান।


এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাও থানা কমিটি গঠনেও শ্যামল ও শ্রাবণের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।


শুধু তাই নয়, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিত আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে বাদ দিয়ে নজরুল ইসলাম বাবুকে আহ্বায়ক করেন শ্যামল। অথচ সিদ্দিকুর রহমান দীর্ঘ ৮ মাস গুম ছিলেন। ১২টি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই কমিটি ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলকে নরসিংদীতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। তার বিরুদ্ধে জেলার বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুনসহ বিলবোর্ড টানিয়ে দেয়। ছাত্রদলের ইতিহাসে এটাই প্রথম কোনো কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদককে এরকম অবাঞ্চিত করার ঘটনা।


সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ বলেন, সাংগঠনিক কমিটি নরসিংদীতে সরেজমিন পরিদর্শন করেই আমার নাম কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন। জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে ইকবাল হোসেন শ্যামল তার পছন্দের লোককে আহ্বায়ক করেছেন।



সারাদেশে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা জানান, বিশেষত সিলেট, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলার থানা কমিটি গঠনে সবচেয়ে বেশি আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ।


পটুয়াখালীর গলাচিপা ও দশমিনা এ দুই উপজেলার কমিটি গঠন নিয়ে অভিযোগের পাহাড়। এখানে বিতর্কিত কমিটি হওয়ায় তারেক রহমান ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মামুন খানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কিন্তু মামুন খান ওই এলাকা সরেজমিন তদন্ত করে এলেও ত্যাগীদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি এখনো।


অডিও রেকর্ডের বক্তব্য সম্পর্কে মাসুম বিল্লাহ বিবার্তাকে বলেন, যে রেকর্ডটি প্রকাশ হয়েছে তার সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। অডিও কলে যাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে তারা ছাত্রদলের অহংকার। আমি দীর্ঘদিন ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। রাজপথ আমার ঠিকানা। আমি পদপ্রত্যাশী। তাই কেউ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।


অডিও রেকর্ড প্রসঙ্গে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বিবার্তাকে বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যারা এগুলো করেছে তারা তো এখনও নেতাই হয়নি।


নরসিংদী ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও বাণিজ্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজ জেলায় কেউ অনিয়ম করে না। নিজ জেলায় কি কেউ টাকা খেয়ে কমিটি দিতে পারে?


শ্যামল আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে জেল খেটেছি। সংগঠনের প্রয়োজনে ও হুলিয়ার কারণে মাসের মাসের মাস ফেরারি ছিলাম। আর একদিনেই আমি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হইনি। আগেও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনও হচ্ছে। সবকিছুতেই প্রতিযোগিতা থাকবে। আর প্রতিযোগিতায় জয়ী আমিই হবো ইনশাআল্লাহ।


বিবার্তা/বিপ্লব/আরকে/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com