শিরোনাম
করোনা সচেতনতায় সাড়া জাগিয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থী জহিরুল
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২০, ১৪:১৫
করোনা সচেতনতায় সাড়া জাগিয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থী জহিরুল
খলিলুর রহমান
প্রিন্ট অ-অ+

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সোয়া সাত লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় ৩৪ হাজার। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন দেড় লাখের বেশি মানুষ। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯, মারা গেছেন ৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ জন।


এদিকে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই ছুটি ১১ এপ্রিল কিংবা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে সরকারের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই রাজধানী ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। অন্যদের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামও গ্রামে গেছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি করোনাভাইরাস সচেতনতায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন।


জহিরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে। সেখানে ‘সংশপ্তক’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেরর মাধ্যমে করোনাভাইরাস সচেতনতার কাজ শুরু করেন। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত নাঙ্গলকোট উপজেলার শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ওই সংগঠনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।



জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে সহযোগিতা ও সচেতনতার প্রত্যয়ে এই স্বেচ্ছাসেবী টিমটি গঠিত। পৌরসভা ও উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে জন্য রয়েছে ১৭ জন টিম প্রধান। তারা সকলেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।


এছাড়াও বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ২৬৬ জন। এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫ জন চিকিৎসকও কাজ করছেন। সহযোগিতায় রয়েছেন আরো ৭ জন চিকিৎসকসহ ৪১ জন মেডিকেল শিক্ষার্থী।


গত কয়েকদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনের উদ্যোগে নাঙ্গলকোট উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় একযোগে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, গ্রামে গ্রামে মাইকিং ও বিদেশ ফেরতদের খোঁজ-খবর নেওয়া। প্রবাসীদের করোনা সংক্রমণ এড়াতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে উৎসাহিত করা হয়েছে। নাঙ্গলকোট উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও গ্রামে গ্রামে অটিমের সদস্যরা জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।



স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সংশপ্তক’র সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম বিবার্তাকে জানান, আমাদের এই সংগঠনের সদস্যদের সকলের বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। আমরা সকলেই শিক্ষার্থী। আমরা চাই চলমান দূর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে উপজেলাবাসীর পাশে থাকতে। সকলকে করোনার মতো প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে সচেতন করতে। তাই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।


তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যেই তালিকাভুক্ত ২৬৬ জন সদস্যের বাইরে আরো অনেকেই আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। আমাদের এই কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করবো। পাশাপাশি আমরা এই টিমের মাধ্যমে মানুষের থেকে সহযোগিতা ও অনুদান সংগ্রহ করে নাঙ্গলকোট উপজেলার দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাবার (চাল, ডাল ইত্যাদি) বিতরণ করবো। এজন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।


বিবার্তা/খলিল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com