শিরোনাম
জবিতে ২৩ হাজার শিক্ষার্থী, ক্যাফেটেরিয়ায় আসন ৪০!
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:২০
জবিতে ২৩ হাজার শিক্ষার্থী, ক্যাফেটেরিয়ায় আসন ৪০!
আদনান সৌখিন
প্রিন্ট অ-অ+

সংস্কার শেষে উদ্বোধন করা হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়ার সমস্যা শেষ হয়নি।অপরিচ্ছন্ন রান্নাঘর, লোকবল সংকট, গ্যাসের চুলায় সমস্যা, খাদ্য ঘাটতিসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত জবির ক্যাফেটেরিয়া।


রান্নাঘরের ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা যায় বরাবরের মতোই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, খাবারের আশপাশে তেলাপোকার আনাগোনা। এছাড়াও পুরনো-ভাঙা গ্যাসের চুলার কারণে রান্না হয় ধীর গতিতে, যে কারণে শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।



সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খাবারের জন্য শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে থাকলেও খাবার শূন্য ক্যাফেটেরিয়া। সিঙ্গাড়া ভাজা হলেও কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা শেষ। খাবার না পেয়ে বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাফেটেরিয়ার টোকেন ও খাবার নেয়ার দুই কাউন্টারেই শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়।ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ক্যাফেটেরিয়ার কর্মচারীরা। নেই পর্যাপ্ত খাবার। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও খাবার না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে অধিকাংশ শিক্ষার্থী। খাবার পেলেও নেই বসার জায়গা। ২৩ হাজার শিক্ষার্থী জন্য বসার আসন মাত্র ৪০। ফলে দাঁড়িয়ে খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। এতকিছুর পরও বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আসন দখল করে গ্রুপ স্টাডি ও আড্ডা দিতে দেখা গেছে।



গণশৌচাগারের পাশে অবস্থিত রান্নাঘরটির ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে, পূর্বের অবস্থায় আছে সেটি। অপরিচ্ছন্ন, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। রান্নাঘরজুড়ে তেলাপোকার আনাগোনা। পুরনো-ভাঙা গ্যাসের চুলার কারণে রান্না হচ্ছে ধীর গতিতে। রান্নাঘরের পাশের ড্রেন থেকে আসছে দুর্গন্ধ। ড্রেনের পাশেই রাখা হয়েছে রান্নার সরঞ্জামাদি। রান্নার জন্য ব্যবহার হচ্ছে সয়াবিনের পরিবর্তে পামওয়েল।নামমাত্র লোকবলই ভরসা ক্যাফেটেরিয়ার।সব মিলিয়ে ৮-৯ জন সদস্য দিয়ে চলছে সার্বিক কার্যক্রম।



পরিসংখ্যান বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আলিফ মাহামুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবার্তাকে বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও খাবার না পেয়ে ফিরে এসেছি।খাবারই যদি না পেলাম তাহলে সংস্কারের কি প্রয়োজন।


অপর শিক্ষার্থী সমাজকর্ম বিভাগের সাঈদ বলেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মেসে থাকে, সবসময় বুয়া আসে না।ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের উপরই নির্ভর করতে হয় আমাদের।যদি অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘরেই রান্না করতে হয় তবে সংস্কার কেন।


ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক আমজাদ হোসেন বিবার্তাকে বলেন, লোকবল সংকটের কারণে খাবার রান্না ও পরিবেশনে বেশি সময় লাগছে।গ্যাসের চুলার সমস্যা, টিনের চালে ফুটো থাকার কারণে বৃষ্টিতে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়।


অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।প্রশাসন দ্রুত রান্নাঘর ঠিক করে দিবে বলে জানিয়েছে।তবে কবে ঠিক করবে সে বিষয়ে কিছু বলেনি।


এ বিষয়ে ট্রেজারার সেলিম ভূইয়া বিবার্তাকে বলেন, শিক্ষার্থীরা আগে ক্যাফেটেরিয়াতে আসতো না, সংস্কারের পর এখন আসছে।এ কারণে খাবারের সংকট হচ্ছে।যত দ্রুত সম্ভব রান্নাঘরসহ সকল সমস্যার সমাধান করা হবে।


বিবার্তা/আদনান/উজ্জ্বল/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com