শিরোনাম
বাংলাদেশের পণ্য বিক্রি করবে অ্যামাজন : পলক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০১৯, ১৩:৪৭
বাংলাদেশের পণ্য বিক্রি করবে অ্যামাজন : পলক
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিপ্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এখন প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পণ্য বৈদেশিক বাজারে রফতানি করে। অ্যামাজন আমাদের কাছে যে প্রস্তাবটি নিয়ে এসেছে, তা সফল হলে বিশ্ব বাজারে আমদের পণ্য রফতানি আরো সহজ হবে।


তিনি বলেন, অনলাইনভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বড় একটি বাজার আমাদের জন্য উন্মোচিত হবে। এ প্লাটফর্মটিতে আমরা যুক্ত হতে পারলে আমাদের রফতানির পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করা সম্ভব। বিশেষ করে ছোট ছোট পণ্য সরাসরি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রফতানি করা সম্ভব হবে। অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ কেনাকাটার জন্য যে বিষয়গুলো প্রতিবন্ধকতা হিসেবে রয়েছে, সেগুলো দূর করতে আমরা কাজ করছি।


বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বাজারে বিক্রি করতে চায় অ্যামাজন। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকারের নীতিগত সহায়তা প্রত্যাশা করছে।


বুধবার (১৭ জুলাই) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সাথে অ্যামাজনের প্রতিনিধি দলের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন।


বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। উপস্থিত ছিলেন অ্যামাজনের ক্যাটাগরি ম্যানেজার গগন দ্বীপ সাগর, মার্চেন্ট সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান টেক রাজশাহীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।


টেক রাজশাহীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহফুজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করা পণ্য ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রির জন্য আগ্রহী অ্যামাজন। গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম থেকে এসব পণ্য বিক্রি হবে। তবে বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে হলে বিদেশি ক্রেতাকে কিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। সে সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।


প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, অ্যামাজন আমাদের থেকে পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে তাদের ওয়্যারহাউস এ নিতে চায়। এরজন্য বারবার এলসি ইস্যু করার থেকে একেবারেই করতে চাচ্ছে। একই সাথে ডলারে লেনদেনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন ব্যক্তি হিসেবে বছরে ১০ হাজার ডলার, ব্যবসায়ী হিসেবে ২০ হাজার ডলার এবং এক লেনদেনে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার খরচ করা যায়। এর সীমাও বাড়াতে চায় আমাজন। আর সর্বোপরি স্থানীয়দের দক্ষতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করতে চায় অ্যামাজন।


বাংলাদেশে অ্যামাজনের কোনো অফিস থাকবে কিনা এমন প্রসঙ্গে পলক বলেন, তারা এখনই কোনো অফিস খুলছে না। রিটেইল ব্যবসায়িক কার্যক্রম করতে ইচ্ছুক কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি।


আমরা তাদের বলেছি, আমাদের সরকার উদার নীতির সরকার। আমাদের স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সরাসরি অ্যামাজনে পণ্য দিতে পারলে তারা লাভবান হবে। সর্বোপরি দেশ লাভবান হবে। সেই বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে ভাবছি আমরা। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এক সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।



বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com