শিরোনাম
টাকা না দিলে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স স্থগিত করা হবে
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৫০
টাকা না দিলে  গ্রামীণফোনের লাইসেন্স স্থগিত করা হবে
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা না দিলে প্রয়োজনে অপারেটরটির লাইসেন্স স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জহিরুল হক।


তিনি বলেন, টাকা মাফ করার কোনো ক্ষমতা নেই বিটিআরসির। গ্রামীণফোনকে টাকা পরিশোধের জন্য ১০ দিনের সময় দেয়া হয়েছিল। সে সময় পার হয়ে গেছে। আগামী বোর্ডসভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই টাকা না দিলে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ, এমনকি কল ব্লকও করা হতে পারে।


সোমবার বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এর সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিষয়গুলো জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।


টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল আনোয়ার খান শিপুর সঞ্চালনায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মুজিব মাসুদ।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআরএনবি সভাপতি মুজিব মাসুদ, বিটিআরসির কমিশনার রেজাউল কাদের, কমিশনার আমিনুল ইসলাম, ডিরেক্টর জেনারেল দেলোয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহফুজুল করিম মজুমদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শহীদুজ্জামান, আশিষ কুমার কুন্ডু, সচিব জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।


বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্রামীণফোন কী ভাবলো, কী বললো তাতে কিছু যায়-আসে না। গ্রামীণফোনের কাছে টাকা ক্লেইম করবো। টাকা না দিলে আইনে যা যা স্টেপ নেয়ার কথা বলা আছে তা নেয়া হবে। তাদের যেসব সুবিধা দেয়ার কথা তাও দেয়া হবে। তারপরও যদি না দেয় তাহলে নেটওয়ার্ক বন্ধ, কল ব্লক করে দেয়া, প্রয়োজনে লাইসেন্সের বিষয়ে শোকজ করার মতো পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। এগুলো আইনের জিনিস, আইন গোপন কিছু না। আইনে যা যা ক্ষমতা আছে সব প্রয়োগ করা হবে।’


তিনি বলেন, ‘টাকা গ্রামীণফোনকে দিতেই হবে, তা সে যাই করুক। যত দেরি করবে তত ইন্টারেস্ট বাড়বে।’


জহিরুল হক বলেন, ‘গত বছর নভেম্বর মাসে চারটি কোম্পানিকে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার অবকাঠামো ভাগাভাগি সংক্রান্ত টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স দিয়েছে সরকার। কিন্তু মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে টাওয়ার কোম্পানিগুলো নানা ক্ষেত্রে একমত হতে না পারায় এখনও তা ঝুলে আছে। এ কারণে গ্রাহকরা মোবাইল ফোনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ অবস্থা নিরসনে বিটিআরসিও দু’পক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায়নি। কিছু দিন আগে দুই সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়ে বিটিআরসির পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছিল মোবাইল অপারেটরদের। সেই সময়ও পার হয়ে গেছে। এখন বিটিআরসি এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেবে।’


বিবার্তা/উজ্জ্বল


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com