শিরোনাম
প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোলের ছবি প্রকাশ
প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০১৯, ১১:১৭
প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোলের ছবি প্রকাশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ইভেন্ট হরাইজোন টেলিস্কোপ এস্ট্রোনোমার্স বুধবার এই ছবি প্রকাশ করে। তারাই এ ছবিটি তুলেছে।


এর ফলে বিশ্ববাসী প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোলের প্রকৃত ছবি দেখতে পেলো। এযাবত যেসব ছবি প্রকাশ করা হয়েছে- সেগুলোতে শিল্পীর কল্পনা এবং কম্পিউটারের ব্যবহার করা হয়েছে।


কৃষ্ণগহ্বরটির আকার প্রায় ৪০ বিলিয়ন কিলোমিটার। সহজ করে বললে, কৃষ্ণগহ্বরটি পৃথিবীর প্রায় ৩০ লাখ গুণ বড়! আকারে এটি এতটাই বিশাল যে বিজ্ঞানীরা একে ‘দৈত্যাকৃতি’র বলে উল্লেখ করেছেন।


ব্ল্যাক হোল হলো এমন একটি জায়গা, যেখানে কোনো কিছু প্রবেশ করলে আর ফিরে আসে না। এমনকি আলোও এই গহ্বরকে অতিক্রম করতে পারে না। এই জায়গায় মহাকর্ষীয় শক্তি এতটাই তীব্র যে এখান থেকে কোনো কিছুই আর ফেরত আসতে পারে না।


গত ৫০ বছর ধরে জ্যোতি বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এএইচটি এই প্রথম সরাসরি ব্ল্যাক হোলের ছবি ধারণ করেছে। ডার্ক এনার্জি ও ডার্ক ম্যাটার এবং ব্ল্যাক হোলসহ মহাবিশ্বের সব শক্তি উৎস মানুষের চোখে দেখা ও জানা সম্ভব হয়নি। ব্ল্যাক হোল সরাসরি দেখার প্রাণান্তকর চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত এর ছবি ধারণ সম্ভব হয়েছে।


ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং ব্ল্যাক হোল শনাক্তকরণে এলআইএসএ’র (লেসার ইন্টারফেরোমিটার স্পেস এন্টেনা) প্রজেক্ট সায়েন্টিস্ট পল ম্যাকনামারা বলেছেন, বহুবছর ধরে আমরা পরোক্ষভাবে বস্তুসমূহের পুঞ্জিভূত অবস্থার প্রমাণ পেয়েছি। এলআইএসএ মিশন এখন মহাকাশের ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল শনাক্ত করবে।


২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের লিগো (এলআইজিও, লেসার ইন্টারফেরোমিটার গ্রাভিটেশনাল- ওয়েভ অবজারভেটরি) গভীর মহাকাশে দুইটি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষ ও একীভূত হওয়ার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে।


ম্যাকনামারা বলেন, সরাসরি দেখতে না পেলেও একসঙ্গে রেডিও ওয়েব, লাইট এবং গ্রাভিটেশনাল ওয়েব ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব নিশ্চিত করে, যদিও আমরা তা কখনোই সরাসরি দেখতে পাইনি।


এই প্রথম আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে প্রচণ্ড উজ্জ্বল ও ঘণীভূত এলাকায় সরাসরি ব্ল্যাক হোল প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হয়েছে।


ব্ল্যাক হোলের চারদিকে ঘূর্ণায়মান বস্তুপুঞ্জের ভর আমাদের সূর্যের চেয়ে চল্লিশ লাখ গুণ বেশি এবং এই বস্তুপুঞ্জ ২৪ মিলিয়ন কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে আছে। গ্যালাক্সির ওই কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ২৬ হাজার আলোকবর্ষ (২৪৫ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার)। পৃথিবীর টেলিস্কোপ থেকে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে ঘণিভূত বস্তুপুঞ্জের মাঝে ব্ল্যাক হোল ছবিতে হবে চাঁদের ওপর একটি গলফ বল।


ম্যাকনামারা বলেন, ব্ল্যাক হোলের সরাসরি ছবি তোলার মাধ্যমে আলবার্ট আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের ধারণা প্রমাণিত হলো। সূত্র: এএফপি


বিবার্তা/জাকিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com