শিরোনাম
টিকটকের জনপ্রিয়তা কপালে ভাঁজ ফেলছে অভিভাবকদের
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:০১
টিকটকের জনপ্রিয়তা কপালে ভাঁজ ফেলছে অভিভাবকদের
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মাত্র ১৫ সেকেন্ডের আকর্ষণের জন্য সারা বিশ্বের কয়েক কোটি তরুণ-তরুণী প্রতিদিন টিকটকে (TikTok) ভিডিও আপলোড করে। এবার অভিভাবকদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই অ্যাপ।


২০১৮ সালের প্রথমার্ধে অ্যাপ স্টোর থেকে সব থেকে বেশি ডাউনলোড হয় টিকটক। সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট ফেসবুক, টুইটার ও স্ন্যাপচ্যাটকে জনপ্রিয়তায় হেলায় হারিয়ে দিয়েছে এই অ্যাপ।


অল্প সময়ে সৃজনশীল পোস্ট করতে উদ্বুদ্ধ করে এই অ্যাপ। কম বয়সের মেয়েদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে এই অ্যাপ। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সের গ্রাহকরা টিকটক ব্যবহার করতে পারেন।


এই অ্যাপে কম বয়সের মেয়েরা যৌন উত্তেজনামুলক গানের সাথে ভিডিও করার কারণেই এবার অভিভাবকদের কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই এই ধরনের ভিডিও বানিয়ে ৫০ লাখ ফলোয়ার বানিয়েছে ১৩ বছরের যুক্তরাষ্ট্রের কিশোরী হালিয়া বিয়ামার। এই ধরনের উত্তেজনাকর ভিডিও দেখে ভিডিওর নীচে অশ্লীল কমেন্ট করছেন অনেকেই।


এই বছরেই ইন্দোনেশিয়ায় এই অ্যাপের বিরুদ্ধে এক লাখ ৭০ হাজার স্বাক্ষরসহ সরকোরের কাছে একটি পিটিশন জমা দেয়া হয়েছিল। এরপরেই ইন্দোনেশিয়ায় টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়। তখন টিকটক কর্মকর্তারা জাকার্তায় গিয়ে কনটেন্টে নজরদারির প্রতিশ্রুতি দিলে এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়।


মার্কিন সরকার জানিয়েছে, টিকটক ব্যবহারের জন্য অন্তত ১৬ বছর হওয়া বাধ্যতামুলক। কিন্তু অ্যাপ ব্যবহারের বয়সসীমা বাড়ালে কয়েক লাখ গ্রাহক টিকটক থেকে বাদ পড়বেন। যা কোম্পানির প্রসারে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।


যেমন ফ্রান্সে ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৩৮ শতাংশ নাগরিকের টিকটক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর মধ্যে এই বয়সে ৫৮ শতাংশ কিশোরীর টিকটক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ১১ থেকে ১৪ বছরে মাত্র ১৫ শতাংশ কিশোর টিকটক ব্যবহার করে। সূত্র: এনডিটিভি


বিবার্তা/জাকিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com