১৪ বছরের আগে শিশুর হাতে কোনোভাবেই মোবাইল ফোন নয়। এ কথা বলেছেন খোদ তথ্য-প্রযুক্তির সম্রাট বিল গেটস।
তার মতে, মা-বাবার দায়িত্ব পালন খুব সহজ কাজ নয়। অভিভাবকরাই ঠিক করবেন একজন শিশুর বেড়ে ওঠা কেমন হবে। তাই শিশুর হাতে কখন মোবাইল তুলে দেবেন, সে সিদ্ধান্তও অভিভাবকের।
নিজের সন্তানদের ক্ষেত্রেও এই বিষয়ে যথেষ্ট কঠোর ছিলেন বিল গেটস। তার তিন সন্তানের বয়স যথাক্রমে ২২, ১৯ ও ১৬। তাদের কেউই হাইস্কুলে ওঠার আগে মোবাইল হাতে পাননি। এর আগেও সন্তানের হাতে মোবাইল তুলে দেয়া নিয়ে একই কথা জানিয়েছিলেন বিল।
দেখা গেছে, শিশু কাঁদছে, তাকে ভোলাতে মা হাতে তুলে দিলেন মোবাইল। মা-বাবা ব্যস্ত জরুরি কাজে, শিশুর দৌরাত্ম্য ঠেকাতে হাতে গুঁজে দিচ্ছেন মোবাইল গেম। আমাদের চারপাশে এ ছবি নতুন নয়। যদিও চিকিৎসকরা বরাবরই শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেয়ার বিরোধিতাই করে এসেছেন।
২০১৬ সালে ‘কিডস অ্যান্ড টেক: দ্য ইভলিউশন অব টুডে’জ ডিজিটাল নেটিভস’ শীর্ষক একটি রিপোর্টে দেখা যায়, সারা পৃথিবীতে যে সব শিশু মোবাইল হাতে পায়, তাদের গড় বয়স ১০.৩ বছর। সোশ্যাল সাইট ব্যবহারকারী শিশুদের গড় বয়স ১১.৪ বছর।
চিকিৎসকরা বরাবরই কমবয়সীদের হাতে মোবাইল তুলে দেয়ার বিরোধিতা করে এসেছেন। অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি শিশুদের মধ্যে নানা রকম অসুখের জন্ম দেয় বলেই দাবি তাদের।
তাই বিল গেটসের এই কথায় যুক্তির খোঁজই পাচ্ছেন ভারতের কলকাতার মনোবিদ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। তার মতে, পড়াশোনায় অমনোযাগী হওয়া থেকে শুরু করে চোখের নানা রোগ, মানসিক অসুখ- মোবাইল ব্যবহারের কারণে এসবের প্রকোপও বাড়ছে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]