জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’কে ঐতিহাসিক বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, এই আইন নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সমালোচনা করার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অভিমতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের কথা অনুসারে যেসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন দরকার, তার সবই করা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ পাস করা হয়। ওই সংসদে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ২৯ জানুয়ারি ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর গত ৯ এপ্রিল এই আইনের খসড়া সংসদে উত্থাপন করেন মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার৷ ওইদিনই বিলটি আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। সোমবার সংদীয় কমিটি সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয়। বুধবার এটি সংসদে বিলটি পাস হয়েছে৷
গত সোমবার জাতীয় সংসদে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
আইনটি নিয়ে শুরু থেকেই সাংবাদিকদের আপত্তি ছিল ৷ সম্পাদকরা আনুষ্ঠানিকভাবেই বেশকিছু ধারার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ৷
সংসদীয় কমিটিতে সম্পাদক পরিষদ প্রস্তাবিত ডিজিটাল আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ধারার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপত্তি জানায়৷ প্রস্তাবিত আইনের ৮ ধারায় ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি সৃষ্টি করলে ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ক্ষেত্রমতে ব্লক করার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি অনুরোধ করতে পারবে ৷
বিলের ১৮ ধারায় কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার সিস্টেমে বেআইনি প্রবেশে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল ৷ সংসদীয় কমিটি এখানে শাস্তি কমিয়ে ছয় মাস কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখেছে ৷
বিবার্তা/উজ্জ্বল/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]