শিরোনাম
মাছও খাবো, পরিবেশও বাঁচাবো
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৭
মাছও খাবো, পরিবেশও বাঁচাবো
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

কথায় বলে, ''মাছে-ভাতে বাঙালি''। কথাটা এ জন্যই যে, কাওয়ার পাতে মাছ ছাড়া বাঙালির চলেই না! কিন্তু এখন শুধু বাঙ্গালি নয়, গোটা বিশ্বেই মাছের চাহিদা বেড়ে চলেছে। তাই একদিকে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্বাদের উন্নতির চেষ্টা তো আছেই, পাশাপাশি মাছচাষের প্রক্রিয়াকে আরো পরিবেশবান্ধব করে তোলারও চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।


বাজারের বেশিরভাগ মাছ এখন মাছের খামার থেকেই আসে। প্রশ্ন হলো, কিন্তু স্বাস্থ্যবান ও সুস্বাদু মাছ চাষ করা কত কঠিন? পরিবেশের উপরেই বা মাছ চাষের প্রভাব কী?
মাছের জিন গবেষক মার্ক ভঁদেপুট এ বিষয়ে বলেন, ‘‘মাছ উৎপাদনের বিপুল প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। গত ২০ বছরে বিশ্বজুড়ে বছরে প্রায় ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। গত ১২ মাসে এমনকি গরুর মাংস উৎপাদনকেও ছাড়িয়ে গেছে।''


গোটা বিশ্বে একদিকে সামুদ্রিক সম্পদ কমে চলেছে, অন্যদিকে মাছের চাহিদা বেড়ে চলেছে। অতএব আরো মাছ উৎপাদন করতে টেকসই পদ্ধতির প্রয়োজন পড়ছে। মার্ক বলেন, ‘‘যে কোনো পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার মতো মাছ চাষের জন্যও সম্পদের প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে মাছের তেল ও ময়দা লাগ। সে কারণে কড়া সমালোচনা হচ্ছে। কেননা,এ প্রক্রিয়ায় যথেষ্ট বর্জ্যও সৃষ্টি হয়।''


মাছ পুষ্টিবিদ ও জিন বিশেষজ্ঞরা মাছদের খাদ্যে মাছের তেল ও ময়দার বিকল্প হিসেবে উদ্ভিদ দিতে পেরেছেন। ট্রাউট গোত্রীয় একদল মাছকে সম্পূর্ণ নিরামিষ খোরাক দেয়া হচ্ছে।


মাছেরা কীভাবে পুষ্টি গ্রহণ করে, চর্বির পরিমাণ ও গঠনের উপরেও তার কী প্রভাব পড়ে, তাদের বিভিন্ন রকমের খোরাক দিয়ে গবেষকরা তা জানতে পারছেন। এডভিকে বলেন, ‘‘আমরা সুস্বাদু মাছ উৎপাদন করতে চাই এবং সম্পদের ব্যবহার কমাতে চাই। এমন চাষের প্রণালীতে মাছেরা বেড়ে উঠবে, যা পরিবেশের যতটা কম সম্ভব ক্ষতি করবে।''


নেদারল্যান্ডসের ভাখেনিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকরা ফ্রান্সের আইসোজেনিক মাছ ব্যবহার করে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার গবেষণা করছেন।


ওলন্দাজ গবেষকরা সারাদিন পানির মধ্যে রাসায়নিক পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রাখেন। তারপর ব্যাকটেরিয়ার ফিল্টারের মধ্য দিয়ে গলিয়ে বর্জ্য দূর করে তাতে অক্সিজেন যোগ করা হয়। মৎস গবেষক এপ এডিংস বলেন, ‘‘আমরা এই তথ্য ব্যবহার করে পানি শোধনাগার ডিজাইন করতে পারি। এ ধরনের শোধনাগার পানির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনতে পারে। এতে অনেক পানি সাশ্রয় ঘটে।''


বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাঁদের গবেষণা মাছের চাষকে আরো পরিবেশবান্ধব করে তুলবে, সেই সঙ্গে মাছও আরো সুস্বাদু ও সস্তা হয়ে উঠবে। সূত্র : ডিডাব্লিউ


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com