শিরোনাম
সাইবার সিকিউরিটিতে আগে জরুরি গণমাধ্যমকর্মীদের সচেতনতা
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০১৮, ১১:৩৮
সাইবার সিকিউরিটিতে আগে জরুরি গণমাধ্যমকর্মীদের সচেতনতা
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সাইবার জগতে কোনো কিছুই সুরক্ষিত নয়। তাই সাইবার নিরাপত্তায় সর্বপ্রথম প্রয়োজন ব্যবহারকারীদের সচেতনতা। এই সচেতনা তৈরিতে গণমাধ্যমকর্মীদের সচেতনতা আগে জরুরি। তাহলে তারা সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কিত তথ্য সহজভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।


শনিবার দুপুরে দেশের মূলধারার অনলাইন গণমাধ্যম ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম ও সাপ্তাহিক এই সময়-এর কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ অভিমত তুলে ধরেন সাইবার সিকিউরিটি ফোরামের কো-ফাউন্ডার এবং ইউনিভার্সিটি আইটি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আজিম ইউ হক।


সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ আজিম ইউ হক বলেন, ‘আজকের দুনিয়ায় সাইবার হামলার ব্যাপকতা সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান থাকা দরকার। বিশেষ করে ব্যক্তিপর্যায় থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সাইবারে কীভাবে সুরক্ষিত থাকা যায় তার কলাকৌশল এবং তথ্য চুরি গেলে তার উদ্ধারের উপায় সম্পর্কেও জানতে হবে তাদের।'


সাংবাদিকরা এই বিষয়টা সম্পর্কে যত বেশি স্পষ্টভাবে জানবেন তত বেশি সহজভাবে জনসাধারণের কাছে বার্তাটি পৌঁছে দিতে পারবেন। এ জন্য সবার আগে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশিক্ষণ জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।


বর্তমানে সাইবার জগতে প্রায়ই হামলা হচ্ছে- এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আজিম ইউ হক বলেন, ‘এ থেকে কীভাবে দেশকে রক্ষা করা যায়, কীভাবে হ্যাকররা হ্যাক করে, হ্যাকিং থেকে পরিত্রাণের উপায় কী এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায়- এসব বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের গভীর জানাশোনা বড় ভূমিকা রাখতে পারে ব্যবহারকারীদের সচেতনতা তৈরিতে।'


দেশে এখন সাত কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। গ্রাম-গঞ্জের মানুষও এখন ইন্টারনেটে যু্ক্ত হচ্ছেন। ইউনিভার্সিটি আইটি ফোরামের সভাপতি বলেন, ‌‘এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে সচেতন করতে না পারলে চলমান ডিজিটাল যুগ বড় এক সমস্যার মধ্যে পড়বে।’


আইসিটি সাংবাদিকদের সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে নিয়মিত কর্মশালার আহ্বান জানিয়ে এই সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘দেশের সংবাদকর্মীদের মধ্যে যারা তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন তাদের সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট তথা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সম্পর্কে জানতে হবে। কেউ যদি সাইবারে হামলার শিকার হন তাহলে তিনি কার কাছে কিংবা সরকারের কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে অভিযোগ করবেন সে সম্পর্কে জানতে হবে তাদের। এই জানানোর কাজটা সবচেয়ে ভালো করতে পারবেন সাংবাদিকরা।’


ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক এই সময়ের সাংবাদিকদের বেসিস আইসিটি প্রশিক্ষণের এটি ছিল চতুর্থ দিনের কর্মশালা। এতে প্রতিষ্ঠান দুটির রিপোটিং, বার্তা, ডিজিটাল মার্কেটিং, সার্কুলেশন ও আইটি বিভাগের কর্মীরা অংশ নেন।


এর আগে গত মাসে ‘ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও মেনটেইনেন্স’ এবং ‘তথ্য অধিকার আইন ও ডিজিটাল মার্কেটিং’ নিয়ে তিন দিন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।


ঢাকাটাইমস ও এই সময় কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে নিয়মিত এই ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছে।


বিবার্তা/উজ্জ্বল/গমেজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com