প্রতি বছর ‘৬০০ টেরাওয়াট আওয়ার্স' বিদ্যুৎ খরচ করে থাকেন জার্মানরা। এর মধ্যে ৫০ ‘টেরাওয়াট আওয়ার্স' বিদ্যুৎ ‘ঘরে তৈরি'। অর্থাৎ মোট খরচ হওয়া বিদ্যুতের ৮%ই আসছে ফ্যাক্টরির গ্যাস প্লান্ট কিংবা বাড়ির ছাদে বসানো সৌর প্যানেলের মতো উৎস থেকে।
ঘরে এবং ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিজেরা ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়তি অংশ মূল গ্রিডেও সরবরাহ করতে পারছেন জার্মানরা। আর এভাবে উপার্জিত অর্থের ওপর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো করও দিতে হচ্ছে না।
কিভাবে হলো এটা ! মায়ারের কথাই বলা যাক। দশ বছর আগে মায়ার তাঁর ৪৫ রুমবিশিষ্ট চার তারকা হোটেলের জন্য গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ এবং তাপ উৎপাদক ইউনিট বসিয়েছিলেন। এ জন্য তিনি খরচ করেন প্রায় ৫০ হাজার ইউরো। মায়ার বলেন, বিনিয়োগের ফলাফল প্রত্যাশিত সময়ের আগেই পাওয়া গেছে।
জার্মান চেম্বার অফ কমার্স গত বছর এক জরিপ পরিচালনা করে। এতে অংশ নেয়া ২,৪০০-র মতো কম্পানির অর্ধেকই ইতোমধ্যে নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনব্যবস্থা তৈরি করেছে কিংবা উদ্যোগ নিয়েছে অথবা পরিকল্পনা করেছে। কারণ, তারা দেখছেন, এতে যেমন অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে, তেমনি বিদ্যুতের সার্বক্ষণিক সরবরাহও হচ্ছে নিশ্চিত।
বলে রাখা ভালো যে, ২০১১ সালে জাপানের ফুকিশিমায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনার পর সতর্ক হয় জার্মানি এবং পারামাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দিতে থাকে। এ অবস্থায় বিকল্প জ্বালানি-উৎসের সন্ধান শুরু হয় দেশটিতে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ছোট ছোট বাড়ির ছাদে তাই এখন দেখা যাচ্ছে সৌর প্যানেল। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে সৌর তাপ বেশি পাওয়া যায়, সেসব অঞ্চলে এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে।
দেশটি এর ফলও পেয়েছে হাতে-হাতে। যেমন, ২০০০ সালে জার্মানিতে উৎপাদিত মোট জ্বালানির মাত্র ৬.৭ শতাংশ এসেছিল নবায়নযোগ্য উৎস থেকে। লক্ষ্য ছিল, ২০১০ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বাড়ানো হবে ১২ শতাংশ। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায় ২০০৭ সালেই। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই ধারা ক্রমেই বাড়ছে।
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]