শিরোনাম
গ্রামীণফোন কর্মীদের বেতনবৃদ্ধির হার কমেছে, বেড়েছে কাজের চাপ
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০১৮, ১০:২৫
গ্রামীণফোন  কর্মীদের বেতনবৃদ্ধির হার কমেছে, বেড়েছে কাজের চাপ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন কর্মীদের নানান সুযোগ সুবিধা কমেছে। কোনো কোনো সুযোগ সুবিধা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।


একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটি জনশক্তিও কমিয়েছে। তাই কর্মীদের উপর কাজের বোঝা বেড়েছে। আবার প্রতিষ্ঠানটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেলে কর্মীদের বেআইনীভাবে চাকরিচ্যুত করারও অভিযোগ উঠেছে।


শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এসব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (জিপিইইউ)। একই সঙ্গে তাঁদের পক্ষে ৭ দফা দাবিও উত্থাপন করেন।


সংবাদ সম্মেলনে জিপিইইউর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক, বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম সোহাগ, আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন ইউএনআই বিএলসির সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল, জিপিইইউর সাংগঠনিক সম্পাদক মাতুজ আল কাদরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জিপিইইউ-এর সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদ। লিখিত বক্তব্যের হুবহু কপি নিচে তুলে ধরা হলো-


আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির মেজরিটি শেয়ারহোল্ডার হচ্ছে নরওয়েভিত্তিক টেলিনর। ১৯৯৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা করে বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সাড়ে ছয় কোটি গ্রাহককে সেবা প্রদান করে আসছে। জিপি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ মুনাফাকারী মোবাইল কোম্পানি।


প্রতিষ্ঠানটি শুরুর দিকে মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে কর্মীদের জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা দিয়ে নিয়োগ করে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের সুযোগ সুবিধা বাড়ালেও জিপি হেটেছে উল্টো পথে। বিগত কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটি শুধু জনশক্তি কমায়নি বরং এর পাশাপাশি কর্মীদের সুযোগ সুবিধাও কমিয়েছে।


২০১২ সালের জুলাই মাসে গভীর রাতে ২১৮ জন কর্মীকে বেআইনীভাবে চাকরিচ্যুত করা হলে এমপ্লয়ীরা তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন গঠন করে আইনের বিধান মেনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করলেও বেআইনীভাবে আবেদনটি সরকার প্রত্যাখ্যান করে। পরবর্তীতে আদালতে আপীল করা হয়।


আদালতের বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে সর্বশেষ শ্রম আদালত জিপিইইউকে রেজিস্ট্রেশনের প্রত্যয়নের আদেশ দিলে, প্রথমবারের মতো শ্রম মন্ত্রণালয় কোন একটি ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আদালতের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে রীট পিটিশন দায়ের করেন। বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের অসহযোগীতার কারণে আমাদের ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন আজও অপেক্ষমান।


নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বর্তমানে ২০০৫ ও ২০০৬ সালের সময়ের তুলনায় কয়েকগুণবাড়লেও ২০০৫ ও ২০০৬ সালে একজন কর্মীকে চাকরির শুরুতে যে মজুরী দেয়া হত, বর্তমানে চাকরির শুরুতে তার চেয়ে অনেক কম বেতন দেয় জিপি। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে প্রচলিত অনেক সুবিধা কোম্পানি একতরফাভাবে বন্ধ করেছে। এমনকি সময়ের সাথে সাথে বেতন বৃদ্ধির হারও কমিয়ে দিয়েছে।


২০০৯ সালের পর এমপ্লয়ীদের আসবাবপত্র কেনার সুবিধা বন্ধ করা হয়। অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হলেও অনেকেই অতিরিক্ত মজুরী পান না। একসময় ছুটির দিনে কাজ করতে হলে বা রাত ৮টার পরে কাজ করতে হলেও খাবারের জন্য টাকা দেয়া হত; যেটি একতরফাভাবে বন্ধ করা হয়েছে।


গ্রামীণফোন বিগত ৫ বছরে মোট রাজস্ব আয় করেছে ৫৪ হাজার ৭৩৩ (চুয়ান্ন হাজার সাতশত তেত্রিশ) কোটি টাকা এবং নীট মুনাফা করেছে ১০ হাজার ৪১৬ (দশ হাজার চারশত ষোল) কোটি টাকা।


সর্বশেষ তিনবছরে মোট রাজস্ব আয় ৩৪৮০৫ কোটি টাকা আর নীট মুনাফা ৬৯৬৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে কর্মীদের পেছনে ব্যয় করেছে ২৩৪৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে সি ব্যান্ড এবং তদুর্দ্ধ কর্মীদের পেছনে ব্যয় হয় ২০ থেকে ২৫%।


তাছাড়া তিন বছরে শ্রম আইনের অধীনে প্রদত্ত মুনাফা আনুমানিক ৬০০ কোটি টাকা এবং স্বেচ্ছা অবসরজনিত খরচ ২০০ কোটি টাকা বাদ দিলে বিগত তিন বছরে ডি ব্যান্ড এবং তার নীচের র্কীদের পেছনে অর্থাৎ প্রায় ২০০০ কর্মীর পেছনে ৩ বছরে ব্যয় হয়েছে ১০০০ কোটি টাকা বা তার কিছু বেশি। যার মধ্যে রয়েছে বেতন, প্রশিক্ষণ, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাজুইটি ও অন্যান্য খরচ। তার মানে, গ্রামীণফোন আসলে তার কর্মীদের পেছনে কত ব্যয় করছে?


আপনার অবাক হবেন, বিগত ২ বছরে ৬২৪ জন্য কর্মীকে স্বেচ্ছা অবসরের নামে চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়, যার পেছনে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এই অবসরজনিত কারণে বর্তমান কর্মীদের উপর কাজের বোঝা বেড়েছে; আবার এই ২০০ কোটি টাকা খরচের ফলে কর্মীদের একদিকে যেমন মুনাফা কমেছে, অপরদিকে এমপ্লয়ীদের বেতনবৃদ্ধির হার কমানো কমানো হয়।


বিগত ২০১৫ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ১০০% বাড়ানো হয়। তাছাড়া অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও বৃদ্ধি করা হয়। এর প্রভাব পড়ে বাজারে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে।


সাম্প্রতিকালে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। শিক্ষা, যাতায়াত সবক্ষেত্রেই খরচ বৃদ্ধির কারণে গ্রামীণফোনের কর্মীদের সরাসরি ভোটি নির্বাচিত গ্রামীণফোন পিপল কাউন্সিলের (জিপিপিসি) নেতৃবৃন্দ গ্রামীণফোন সাম্প্রতিক বছরের আয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ও অন্যান্য খরচের কথা বিবেচনা করে একটি যৌক্তিক হারে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন।


গ্রামীণফোন এখন কর্মী সংকটে নেই, বরং অনেকেই এখনও গ্রামীণফোনের চাকরির জন্য মুখিয়ে আছে এবং কোম্পানির মুনাফা বা রাজস্ব যতই বাড়–ক না কেন। মার্কেটে অন্যান্য কোম্পানি যেই হারে বেতন সেই হারের বেশি বেতন বৃদ্ধি সম্ভব নয় বলে জিপিপিসির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়।


গ্রামীণফোনের এই সর্বোচ্চ আয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান এর কর্মীদের। এমতাবস্থায়, জিপিপিসির দাবী প্রত্রাখ্যান করে জিপি ম্যানেজমেন্ট যে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে, জিপিই্ইউ তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছে এবং জিপিপিসি’র প্রস্তাবনা অনুসারে যৌক্তিক বেতনবৃদ্ধির দাবিজানাচ্ছে।


আপনারা জানেন, গ্রামীণফোন ২০১২ সালে জিপিপিসি গঠন করে। ১৭ সদস্য বিশিষ্ট এই কাউন্সিলের সদস্যগন কর্মীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। কাউন্সিলের বর্তমান সেক্রেটারী বিএম জাহিদুর রহমান এ পর্যন্ত যতবার নির্বাচন হয়েছে, প্রত্যেকবারই এমপ্লয়ীদের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।


২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ উত্থাপিত হলে তাকে একটি শো-কজ নোটিশ দেয়া হয় এবং যথাসময়ে তিনি তার জবাবও দেন। এরপর আইন অনুসারে এনকুয়ারী কমিটি গঠন হয় এবং নির্ধারিত তারিখে তাকে উপস্থিত হতে বলা হয়। কিন্তু অভিযোগের কোন ভিত্তি না থাকায়, আর কোন কার্যক্রম গ্রহণ না করায় আইন নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলে বিষয়টি শেষ হয়ে যায়।


জাহিদ গ্রামীণফোনের একটি জিপিসি’র হেড (গুলশান লাউঞ্জ)। জিপিসির সারা বাংলাদেশে মোট স্থায়ী কর্মী সংখ্যা আনুমানিক ৯০ জন, যার মধ্যে কিছুদিন আগে ৪০ জন কর্মীকে ভিত্তিহীন অভিযোগে শো-কজ করা হলে জাহিদের নেতৃত্বে জিপিপিসি’র মনোনীত একটি টিম প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা দিলে কর্তৃপক্ষ তাদের অনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। এতে কমপ্লায়েন্স শাখার প্রধানসহ আরও অনেকেই তার উপর ক্ষিপ্ত হন।


এর আগেও তার বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কারণে শো-কজ দেয়া হয়, কিন্তু কোন ভিত্তি না থাকায় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন নাই।


তাছাড়াও কাউন্সিলের পক্ষ থেকে উক্ত কমপ্লায়েন্স শাখার প্রধানের বিরুদ্ধে তার অযোগ্যতা ও পক্ষপাতমূলক আচরন এর কারণে কাউন্সিলের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান দুটি অভিযোগ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেন। জাহিদ বিভিন্ন স্থানে উক্ত কমপ্লায়েন্স শাখার প্রধানের বিরুদ্ধে তার অযোগ্যতা ও পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন। যে কারণে তিনি জাহিদের উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।


সম্প্রতি জিপিপিসি’র চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারীর নেতৃত্বে একটি টিম কর্মীদের এই বছরের সম্ভাব্য বেতনবৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন। কিন্তু, সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক সহযোগীতা না থাকায় এবং একটি খসড়া শেয়ার করার পর, জিপিপিসি একটি যৌক্তিক বেতনবৃদ্ধির পক্ষে তার কঠোর অবস্থানের কথা সকল কর্মীকে ডেকে জানিয়ে দেয়। মূলতঃ জাহিদ পুরো প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। ফলে ম্যানেজমেন্ট তার উপর ক্ষিপ্ত হয়।


জিপিপিসি’র কঠোর অবস্থানে ম্যানেজমেন্ট জানান, কোম্পানি কিছু জনশক্তি কমাতে চায় এবং তাতে সহযোগীতা করতে হবে। এক্ষেত্রে, স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয় যে, বেআইনীভাবে কাইউক চাকরিচ্যুত করা যাবে না। সম্প্রতিকএই ঘটনায় ম্যানেজমেন্ট ক্ষিপ্ত হলে তার সুযোগ নেন কমপ্লায়েন্ত হেড।


জাহিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে না পারায় সম্প্রতি ২০১৬ সালের যৌন হয়রানির অভিযোগটি আবার চালু করেন। এবার তিনি শ্রম আইন বাদ দিয়ে ২০০৯ সালের মহামন্য হাকোর্টের একটি গাইডলাইনকে ব্যবহার করেন।


জাহিদকে শাযেস্তা করার উদ্দেশ্যে একটি গ্রামীণফোন যৌন হয়রানি কমিটি গঠন করেন এবং জাহিদকে কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়। আইনত একটি অভিযোগের বিচার হয়ে গেলে, সেই একই অভিযোগে একই ব্যক্তির আবার বিচার করা যায় না।


তাছাড়া ২০১৬ সালে জাহিদের বিরুদ্ধে ইস্যুকৃত নোটিশে আনীত অভিযোগ কোড অব কান্ডাক্ট এবং দেশীয় আইনের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয় এবং কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বলে জানতে চাওয়া হয়।


হাইকোর্টের গাইডলাইনে যে সকল কাজ যৌন হয়রানি মূলক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো কোন কোম্পানির অভ্যন্তÍরীণ শৃঙ্খলা বিধানে অপরাধ না হলে কমিটির গঠনের প্রয়োজন হয়।


সুতরাং যেহেতু একটি মীমাংসিত বিষয়ে দ্বিতীয়বার বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তাই জাহিদ তার ব্যাখ্যা চাইলেও প্রতিশোধ পরায়ণ কমপ্লায়েন্স হেডের প্ররোচণায় উক্ত কমিটি বারবার নোটিশ দিতে থাকে। ফলে, বাধ্য হয়ে জাহিদ শ্রম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় কমিটির কার্যক্রমে প্রাথমিকভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও পরবর্তীতে জাহিদ আদালতে উপস্থিত নেই এই অজুহাতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।


অথচ জাহিদ আদালতে হাজিরা দেন। তার নিযুক্ত আইনজীবী বেলা সাড়ে ১টা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা বর্ধিত না করায় জাহিদ পুনরায় আদালতে শরণাপন্ন হন। একই দিন কমিটির সামনে তার হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। গ্রামীণফোন ও জাহিদের পক্ষের শুনানী শেষে আদালত কি আদেশ দিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।


অর্থাৎ গ্রামীণফোনও জানেনা আদেশে কী আছে। এমতাবস্থায়, তাকে বরখাস্ত করা একদিকে যেমন বেআইনী, অপরদিকে অনৈতিকও বটে। তাছাড়া আদালতের আদেশ আসার আগেই এরকম হীন সিদ্ধান্ত নেয়া আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল।


কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার দাপটের কারণে জাহিদ কোম্পানিকে জানান, তিনি উচ্চ আদালতে ব্যবস্থা নিবেন এবং সেই মর্মে তার আইনজীবীর সার্টিফিকেটও পাঠান। কিন্তু কোম্পানি সেটিও অগ্রাহ্য করেন, যা আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো শামিল।


মূলত কর্তৃপক্ষ উক্ত কমিটিকে ব্যবহার করে জাহিদের ব্যক্তব্য না শুনে বা তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এমনকি কোন সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র ক্রোধের বশবর্তী হয়ে জাহিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন।


উপরোক্ত অবস্থার প্রেক্ষিতে জিপিইইউ এর দাবি-


১। ম্যানেজমেন্টের বেতনবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করছে এবং জিপিপিসি বেতনবৃদ্ধির যে প্রস্তাবনা দিয়েছে, তা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছে।


২। জাহিদকে অনতিবিলম্বে পুনর্বহাল করতে হবে এবং তার মানহানির যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।


৩। কমপ্লাযেন্স হেড তোফায়েল আউয়ালকে অযোগ্য ঘোষণা করছে এবং তাকে অনতিবিলম্বে অপসারনের জোর দাবি জানাচ্ছে।


৪। কর্মী কমানোর সকল ধরনের প্রজেক্ট বন্ধ করতে হবে এবং চাকরির নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।


৫। কর্মীদের হুমকি-ধামকী এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করে কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার বন্ধ করে কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।


৬। কর্মীদের যেসকল সুযোগ সুবিধা বন্ধ করা হয়েছে তা অনতিবিলম্বে চালু করতে হবে।


৭। ওভারটাইম না দিয়ে কোন অতিরিক্ত কাজ করানো যাবে না। কর্মীদের বিশ্রামের জন্য তারা যাতে নিয়মিত ছুটি ভোগ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।



বিবার্তা/উজ্জ্বল/গমেজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com