জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, প্রতিদিন নতুন করে এক লাখ ৭০ হাজার শিশু ইন্টারনেটে যুক্ত হচ্ছে। তাই শিশু ও তরুণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় আরো ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।
যেহেতু ইন্টারনেটে শিশু ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে সে কারণে তাদের অনলাইন পরিচয় ও তথ্য উপাত্ত নিরাপদ রাখায় আরো ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। একই সাথে ইউনিসেফ শিশুদের শৈশবের বানিজ্যিকীকরণ নিয়েও উদ্বিগ্ন।
সংস্থাটি তাই পরামর্শ দিয়ে বলেছে, একটি শিশু যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খোলে তখন সেসব সাইটে তার সাথেই সর্বোচ্চ প্রাইভেসি সেটিংসের ব্যবস্থা থাকা উচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও শিশু ও তরুণদের অনলাইনে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
অনলাইনে শিশুদের নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা উদ্যোগের কথা শোনা গেছে বিভিন্ন সময়। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর চালানো এক জরিপে বলা হয়, এসব দেশে সাইবার বুলিংয়ের ঝুঁকি উদ্বেগজনক এবং বিশেষ করে যারা অনলাইন গেম খেলেন তাদের সাইবার বুলিংয়ে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি।
বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি এশীয় দেশে এই জরিপটি চালায় টেলিযোগাযোগ কোম্পানি টেলিনর।
জরিপের উত্তরদাতাদের বয়সসীমা ছিল ১৮ থেকে ৬৪ পর্যন্ত। কিন্তু তাদের পরিবারের আরো কমবয়সী শিশুরা কতটা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে - তার তথ্যও পাওয়া গেছে তাদের কাছ থেকে।
জরিপে ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানায়, তাদের সন্তান ও পরিচিত শিশুরা বিশেষ করে ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন গেমস খেলার সময় শারীরিকভাবে আক্রান্ত হওয়ার হুমকির শিকার হয়েছে। এটা ঘটে বিশেষ ওয়েবসাইটে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে।
আর ৪১ শতাংশ জানিয়েছেন, শিশুরা অনলাইনে যেসব আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে গালাগালি, বর্ণবাদী ও যৌনতা বিষয়ক মন্তব্য। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]