শিরোনাম
শুধু ফান্ডিং দিয়ে স্টার্টআপকে প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যায় না
প্রকাশ : ২১ জুন ২০১৭, ১৫:২৬
শুধু ফান্ডিং দিয়ে স্টার্টআপকে প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যায় না
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

শুধু ফান্ডিং দিয়ে একটি স্টার্টআপকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।


তিনি বলেন, ‘স্টার্টআপ একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০ লাখ, ২০ লাখ বা এক কোটি টাকাই যথেষ্ট নয়। যদি তাই হতো তাহলে দেশে এমন প্রতিষ্ঠানের অভাব থাকতো না, অসংখ্য স্টার্টআপ তৈরি হতো। কিন্তু স্টার্টআপতো সেটা নয়।’


বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে ‘ন্যাশনাল এক্সিবিশন ফর স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্টার্টআপদেরকে বাচাই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।


পলক বলেন, ‘ছোট স্টার্টআপদের বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে এবং তাদের ব্যবসায়িকভাবে রূপান্তর করতে যে ফান্ডিং করা হয় সেজন্য নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। হয়তো সময় লাগছে। কারণ একটা টেকসই নীতিমালা করতে সময় নিতে হয়েছে।’


নীতিমালা বিষয়ে পলক বলেন, ‘নীতিমালায় ফান্ডিংয়ের বাইরেও মেন্টরিং, কোচিং, কো-ওয়ার্কিং স্পেস, এনভায়রনমেন্ট, নেটওয়ার্কিং, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো, একজন মেন্টরের সাথে দশজন নেটিভ কিভাবে কাজ করবে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোলাবোরেশন কি হবে, নলেজ এক্সচেঞ্জ কিভাবে দরকার এসব বিষয়গুলো নীতিমালায় স্থান দেয়া হচ্ছে।’


প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তরুণ উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আইডিয়া তথা উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় স্টার্টআপের আর্থিক সহায়তা ছাড়াও কো-ওয়ার্কিং স্পেস, মেন্টরিং, স্টার্টআপ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও দেশের নির্মীয়মাণ ২৮টি হাইটেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে স্টার্টআপদের জন্য ডেডিকেটেড ফ্লোরও থাকবে।’


তিনি বলেন, ‘আমাদের তরূণদের মেধা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা অসাধারণ। সহযোগিতা পেলেই তারা অনেকখানি এগিয়ে যেতে পারবে।’ বিশ্ব স্টার্টআপ মানচিত্রে বাংলাদেশ অচিরেই জায়গা করে নেবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।


অনুষ্ঠানে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া স্টার্টআপ চ্যালেঞ্জের বিজয়ী ২০টি স্টার্টআপকে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেয়া হয়। এগুলো হল- ট্রাক চাই, মেডিটর, হ্যান্ডিমামা, শপআপ, স্নিফার, এডভান্স ড্রাইভার এসিসট্যান্স অ্যান্ড মনিটরিং সিসটেম, ডিজিটালাইজ লন্ড্রি ইন্ডাস্ট্রি, গারবেজম্যান, মোবাইল ম্যানেজার ফর রিটেইল শপ, এডভান্সড ভীইকেল সিকিউরিটি সিস্টেম, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বেইজড প্রাইস কম্পারিজন ইঞ্জিন, ক্যারিয়ার বট, সিএমইডী, ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন অব ইন্ডিজেনাসলি ডেভেলপড অ্যান্ড টেস্টেড টেলিমেডিসিন, এপবাজার, ট্রাকচাই, পাথ ফাইন্ডার, হিরোজ অব ৭১ : মুক্তিক্যাম্প, হ্যাসট্যাগ, এডমিশন নিঞ্জা।


ইনোভেশন এক্সিবিশনে মোট ১৭৮ স্টার্টআপ আবেদন করে। সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে ৭৬ জনকে নির্বাচন করা হয়। যাদের মধ্যে ৬৩ জন ঢাকায় এবং ১৩ জন যশোরে। সেখান থেকে চূড়ান্ত নির্বাচিত হয়েছে ২০ স্টার্টআপ। যারা গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক সিটি এবং যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে নিজেদের উদ্যোগ এগিয়ে নিতে বিনামূল্যে ফ্লোর পাবেন। এছাড়া বিজয়ীরা আইডিয়া প্রকল্পের পরবর্তী ধাপের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।


বিবার্তা/উজ্জ্বল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com