শিরোনাম
কয়েক সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে গেলো ১৮ তলা ভবন
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০১৭, ১৬:৩০
কয়েক সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে গেলো ১৮ তলা ভবন
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলে অবস্থিত বিজিএমইএ ভবন ভেঙ্গে ফেলার চূড়ান্ত আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে আর কোনো গড়িমসি চলবে না। এ অবস্থায় ভবন-মালিক বিজিএমইএ দু' বছর সময় চেয়েছে। কারণ, ভবনটি ভেঙ্গে ফেলতে নাকি দু' বছর সময়ই লাগবে।


বিজিএমইএ'র দাবি কতোটুকু সত্য, তা প্রযুক্তিবিদরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে জার্মান বেতার ডয়চে ভেলে জানাচ্ছে, গত রবিবার মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে ১৮ তলাবিশিষ্ট ভবন - বন সেন্টার। আসুন, জেনে নেয়া যাক কীভাবে এটা সম্ভব হলো।


বন যখন জার্মানির রাজধানী, সে আমলে জার্মানিকে বলা হতো বনের প্রজাতন্ত্র। ১৯৬৯ সালে নির্মিত বন সেন্টার ছিল সেই বন প্রজাতন্ত্রের এক দৃশ্যমান প্রতীক। চ্যান্সেলরের দপ্তরের কাছে, রয়টার ব্রিজের পাশে, রেললাইনের ধারে ৬০ মিটার উঁচু একটি ১৮ তলা বাড়ি। সেই ১৮ তলা বাড়ির মাথার উপরে ছিল মার্সিডিজ বেঞ্জ কম্পানির প্রতীক সেই তারা, যা মিনিটে দু'বার করে ঘুরতো। বাড়িটি ভাঙার আগে সরানো হয় বন শহরের সেই তারকা।


বাড়িটিতে ছিল নানা দূতাবাস ও সংবাদপত্রের অফিস, এছাড়া একটি হোটেল ও অ্যাম্বাস্যাডার নামের একটি রেস্টুরেন্ট, যেখানে উইলি ব্রান্ড, হেলমুট স্মিট ও হেলমুট কোল - এই তিনজন সাবেক চ্যান্সেলরই খানা খেয়েছেন৷


রবিবার সকালে এই ভবনের ২০০ মিটারের মধ্যে সব যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়। বেলা ১১টায় একটা চাপা বিস্ফোরণের শব্দ; একটি নিখুঁত ব্লাস্টিং ও ডেমোলিশান। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কাত হয়ে পড়ে বন শহরের ল্যান্ডমার্ক। ধুলোর মেঘে সব কিছু ঢেকে যায়।


এখন তার জায়গায় আসবে একটি কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স, যার কেন্দ্রে থাকবে একটি ১০০ মিটার উঁচু বাড়ি।


ইতিহাস গড়তে যা সময় লাগে, ভাঙতে ঠিক ততটা নয় – কে যেন মন্তব্য করছিলেন...?


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com