শিরোনাম
বাংলাদেশে নতুন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার চালু করল টিকটক
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৫৭
বাংলাদেশে নতুন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার চালু করল টিকটক
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

টিকটক বাংলাদেশে আজ (রবিবার) চালু করেছে ডেডিকেটেড ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার। গ্রাহকদের কাছে দায়বদ্ধতা ও প্রতিশ্রুতির জায়গা থেকেই সেন্টারটি উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।


আপডেট করা সেন্টারটি মূলত এমন একটি জায়গা যেখানে টিকটকের বার্ষিক ও প্রতি প্রান্তিকের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে থাকবে সামনের দিনের ইন্টার্যাক্টিভ রিপোর্টগুলোও।


একই সঙ্গে টিকটক আজ উন্মোচন করেছে সবশেষ এইচ১ ২০২১ কনটেন্ট রিমুভ্যাল রিকোয়েস্ট রিপোর্ট। প্ল্যাটফর্মটিকে সুরক্ষিত রাখতে এবং এর বিশ্বস্ততা রক্ষার জন্য গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার গুরুত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এই ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিকটক।


স্বচ্ছতার মাধ্যমে বিশ্বাস গড়ে তুলতে টিকটক ২০১৯ সাল থেকে তাদের এই রিপোর্ট প্রকাশ করতে শুরু করে। এরপর থেকে টিকটক বিষয়গুলো নিয়ে গভীর ভাবে ভাবা, খাতটি নিয়ে প্রথম ডেটার প্রকাশ এবং এ নিয়ে জরিপ ও গবেষণা করে এর ফলাফল প্রকাশ অব্যাহত রেখেছে। মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেয়ার পরিমাণ এবং টিকটকের স্ট্যান্ডার্ড না মানায় বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেয়ার পরিমাণ কত তা জানানো।


ট্রান্সপারেন্সির এই প্রচেষ্টায় টিকটক সুশীল সমাজের সংগঠন এবং বিশেষজ্ঞদের ফিডব্যাক নেয় এই রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে। এখন অফিসিয়ালি ডাউনলোড উপযোগী এসব ডেটা পাওয়া যাচ্ছে মেশিন রিডেবল ফরম্যাটে।


এ ছাড়াও রিপোর্টের আরেকটি লক্ষ্য যে তা যেন দেখতে আকর্ষণীয় হয়। তার জন্য নানা ধরনের ডেটার ইলাস্ট্রেশনের মাধ্যমে আকর্ষণীয় গ্রাফ, চার্ট তৈরি করা হয়েছে। বৈশ্বিক দর্শকদের কাছে ভালোভাবে পৌঁছাতে রিপোর্টটি ২৬ ভাষায় প্রকাশ করা হয়। এসব ভাষার মধ্যে রয়েছে বাংলা, জার্মান, ফ্রেঞ্চ, উর্দু, ইংরেজি, স্প্যানিশ, ট্রাডিশনাল চাইনিজ, রাশিয়ান এবং আরবিসহ অন্যান্য।


এই সেন্টারের মাধ্যমে টিকটকের লক্ষ্য হলো ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারকে একটি ওয়ান-স্টপ শপ হিসেবে তৈরী করা, যাতে এটি কীভাবে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করে, কনটেন্ট রেকমেন্ড করে, পণ্য বিকাশ করে এবং মানুষের তথ্য রক্ষা করে তা সম্পর্কে সবাই জানতে পারে। সর্বশেষ এইচ১ ২০২১ কনটেন্ট অপসারণের অনুরোধ রিপোর্ট আপডেটগুলো সে লক্ষ্যেরই ধারাবাহিকতা। এই সেন্টারে আগের রিপোর্টগুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


কমিউনিটি গাইডলাইন ইনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট, যাতে প্রতি প্রান্তিকে নেয়া পদক্ষেপ কমিউনিটি গাইডলাইনস এবং পরিষেবার শর্ত যুক্ত করা আছে।


সরকার ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্যপ্রাপ্তির অনুরোধসম্পর্কিত দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদন ও বিষয়টি সম্পর্কে নেয়া পদক্ষেপের প্রতিবেদন আছে এ সেন্টারে।


সরকারের এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া কনটেন্ট রিমুভ্যাল রিকোয়েস্ট এবং সেটি নিয়ে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপও রয়েছে দ্বি-বার্ষিক এক প্রতিবেদনে।


বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অপসারণের অনুরোধের প্রতিবেদন যা কপিরাইট এবং ট্রেডমার্ক সামগ্রী সরিয়ে নেয়ার নোটিশ এবং রেসপন্সের ফলাফল দ্বিবার্ষিক হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। সব ধরনের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট পেতে ভিজিট করুন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার।


বিবার্তা/গমেজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com