আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম অনলাইন-ভিত্তিক জীবন ঘনিষ্ঠ দক্ষতা অর্জনের আয়োজন ‘স্কুল অব লাইফ’।
কভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে নিজেকে খাপ খাওয়াতে দেশের তরুণদের হতে হবে বিশেষ যোগ্যতা ও দক্ষতাসম্পন্ন, সে বিষয়টি মাথায় রেখে তরুণদেরকে সময়োপযোগী বিষয়ে শিক্ষা দিতে ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন গ্লোবাল চালু করতে যাচ্ছে পোস্ট-কোভিড রেডি অনলাইন স্কুল ‘ওয়াইইএফ- স্কুল অব লাইফ’।
ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন (ওয়াইইএফ) গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৩টি মাইক্রো লেভেলের কোর্স দিয়ে সাজানো হয়েছে ‘স্কুল অব লাইফের’ এই কার্যক্রমটি। যার মধ্যে রয়েছে- নেটওয়ার্কিং, প্রেজেন্টেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট, প্রফেশনাল কমিউনিকেশন, আন্তর্জাতিক মানের সিভি প্রস্তুতি, পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংসহ গুরুত্বপূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা।
১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে যে কেউ অংশ নিতে পারবেন এই কোর্সে। প্রায় পাঁচ শতাধিক আবেদনকারীর মধ্য থেকে যাচাই বাছাই করে ওয়াইইএফ গ্লোবালের নিজস্ব অর্থায়নে ১২০ জন আবেদনকারীকে ৯০ শতাংশ ৩০ জনকে শতভাগ স্কলারশিপ দেয়া হবে।
বুধবার অনলাইনে এক অনাড়ম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেন ওয়াইইএফ গ্লোবালের ফাউন্ডার ও গ্লোবাল সিইও কাজী হাসান রবিন।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (BdOSN) এর সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির প্রধান মুনির হাসান এবং সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার।
প্রফেসর ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি ভবিষ্যতেও ওয়াইইএফ গ্লোবালের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
মুনির হাসান বলেন, বর্তমানের তরুণদের চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী হতে হবে, এই করোনাকালে বহু মানুষ তাদের কর্ম হারিয়েছে তার পাশাপাশি প্রায় ২২ লক্ষ তরুণ এ বছর শ্রম বাজারে প্রবেশ করবে। কিন্তু সেই তুলনায় দেশে চাকরির বাজার সেভাবে সম্প্রসারিত হয়নি। সামনে একটা কঠিন সময় আসছে, সেই কঠিন সময়ের জন্য নিজেকে প্রস্তত করতে হলে স্কুল অফ লাইফের মত এ ধরনের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালাগুলোতে অংশগ্রহণ ও শেখার বিকল্প নেই।
তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে তপন কান্তি সরকার বলেন, ভবিষ্যতে তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বেশি করে টেকনিক্যাল কর্মশালার আয়োজন করা প্রয়োজন, যাতে করে আমাদের দেশের তরুণরাই অ্যামাজন, ফেসবুক, গুগলের মত বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এই আয়োজনের সহযোগী সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ ও স্কুল অফ লাইফের সম্মানিত রিসোর্স পারসনগন।
ওয়াইইএফ গ্লোবালের ‘স্কুল অব লাইফ’ উদ্যোগটির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ, কমনওয়েলথ ইয়ুথ ইনোভেশন হাব, ইয়ুথ হাব গ্লোবাল, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, জিডিজি ক্লাউড বাংলা, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পজেটিভ ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর ওপেন নলেজ ও ড্রিমস ফর টুমরো।
বিবার্তা/গমেজ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]