শিরোনাম
মোবাইল সেবায় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:১৯
মোবাইল সেবায় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

মোবাইল গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা প্রদানে বাংলাদেশ সন্তোষজনক সাফল্য পেয়েছে। সম্প্রতি রাজধনীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত ১৭তম সাউথ এশিয়ান টেলিকমিউনিকেন রেগুলেটরস কাউন্সিলে (এসএটিআরসি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে আসে।


সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টেলিকম রেগুলেটর অথিউরিটি অব ইন্ডিয়ার উপদেষ্টা ভাবনা শর্মা।


জরিপের প্রতিবেদনটি টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির সামগ্রিক ভোক্তা সুরক্ষাকে পাঁচটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ বিলিংয়ের সঠিকতায় পূর্ণ পয়েন্ট পেয়েছে। অন্য চারটি পরিমাপের মধ্যে রয়েছে: গ্রাহকদের অভিযোগ মীমাংসা, গুণগত সেবা, অযাচিত কল এবং মোবাইল নম্বর বহনযোগ্যতা।


প্রতিবেদনে বলা হয়, সেবার মান সংক্রান্ত নিরীক্ষা, গ্রাহক সন্তুষ্টি জরিপ এবং ইন্টারকানেকশন কনজেশন রিপোর্ট পয়েন্ট সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে গুণগত সেবার মান, নেটওয়ার্ক বিভ্রাট এবং পারফরম্যান্স মনিটরিং রিপোর্ট তৈরিতে সন্তোষজনক সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ।


বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে দেশের ১০০টি এলাকাতে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং গ্রাহক সন্তুষ্টিসহ সেবার মান নিয়ে জরিপ পরিচালনা করে। কিন্তু প্রতিবেদন এখনও পর্যন্ত সমাপ্ত হয়নি।


এসএটিআরসি জরিপ অনুযায়ী, বিলিং সঠিকতার তিনটি পরিমিতিতে বাংলাদেশ এবং ভারত সন্তোষজনক স্কোর করেছে। অন্যদিকে আফগানিস্তান এবং ভূটান সন্তোষজনক স্কোর করতে পারেনি।


বিটিআরসি সম্প্রতি গ্রাহকদের জন্য অভিযোগ কেন্দ্র গঠন করেছে। কিন্তু অভিযোগ কেন্দ্রের নম্বরটি টোল ফ্রি নয়। এটি এসএটিআরসি স্টান্ডার্ড পূরণ করে না। অযাচিত কল প্রতিরোধে বাংলাদেশ একটি বাদে আর সবকটি পরিমিতি অর্থ্যাৎ, টেলিমার্কেটারস রেজিস্ট্রি, টেলিমার্কেটারদের জন্য ভিন্ন নম্বর স্কিম এবং অযাচিত কলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য টোল ফ্রি নম্বরের মতো পরিমিতেতে ব্যর্থ হয়েছে।


মোবাইল নম্বর বহনযোগ্যতার চারটি পরিমিতি পুরণে বাংলাদেশে ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ এই সেবাটি ছাড়ার জন্য নিলাম অনির্দিষ্টকালের স্থগিত করেছে। অথচ ভারত এবং পাকিস্তান ইতোমধ্যে এমএনপি উদ্বোধন করেছে।


এবিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘এসএটিআরসি প্রতিবেদনের ২৪টি পরিমতির মধ্যে ১৪টি পরিমিতি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। সুতরাং আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আগামী বছরের মধ্যে গ্রাহক সুরক্ষার বাকি ১০টি পরিমিতি পূরণ করতে পারবো বলে আশা করছি’।


তিন দিনের সম্মেলনে সামনের দিনের প্রযুক্তি, স্পেকট্রাম নিলাম, স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসসহ আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এবারের আলোচনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে ব্যাংকের পাশাপাশি তাদের আরো বেশী বেশী অংশগ্রহণের দাবি জানান।
নিয়ম অনুসারে কাউন্সিলের প্রথম দিনেই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এসএটিআরস’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।


দক্ষিণ এশিয়ার টেলিকম রেগুলেটরদের ১৮তম কাউন্সিল বৈঠক হবে আফগানিস্তানে। তারপরের অর্থাৎ ২০১৮ সালের হবে পাকিস্তানে।


ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও ইরানসহ ৯ দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক রেগুলেটরি সংস্থার প্রধান, টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর প্রায় ১০০জন প্রতিনিধি এই কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করেন।


বিবার্তা/উজ্জ্বল/প্লাবন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com