শিরোনাম
কৃতজ্ঞতা জান্নাতের আচরণবিধি
প্রকাশ : ১৭ মে ২০১৯, ১৭:০৩
কৃতজ্ঞতা জান্নাতের আচরণবিধি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আমরা প্রায় সবাই আমাদের জীবনে বিভিন্ন সমস্যা ও অসুবিধার সম্মুখীন হই। সুসময় ও দুঃসময় তথা সর্বাবস্থায় আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ করা ও আমাদের দুর্বলতা ও শক্তি সবসময় তাঁর কৃতজ্ঞ হওয়াই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। প্রতিনিয়ত আমরা কারো না কারো কাছ থেকে উপকৃত হয়ে থাকি। কেউ আমাদের উপকার করেছে, সেই উপকার সম্পর্কে যে আমরা সচেতন তা ওই ব্যক্তিকে অবহিত করার এবং তাতে আনন্দ প্রকাশ করার একটি উপায় হলো শুকরিয়া আদায় বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। কিন্তু কেউ কেউ এই সুযোগে উপকারীর অপকার করে আবার কেউ কেউ একবার উপকার করে বার বার যাহির করে। ইসলামে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।


কৃতজ্ঞতা আল্লাহর এত পছন্দের যে, তিনি জান্নাতিদের অনুমোদিত আচরণবিধির শুরু ও শেষ হিসেবে কৃতজ্ঞতা নির্ধারিত রেখেছেন। জান্নাতিদের প্রথম কথা হবে শোকর।


‘জান্নাতবাসীরা বলবে সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের প্রতি তার অঙ্গীকার সত্যে পরিণত করেছেন।’ (সূরা যুমার ৩৯/৭৪)


জান্নাতিরা তাদের কথা যেমন শুরু করবে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা দিয়ে তেমনি শেষ করবে স্রষ্টার প্রশংসার মাধ্যমে।


‘আর তাদের শেষ দোয়া হবে সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি বিশ্বজাহানের প্রতিপালক।’


সৃষ্টিকর্তা কৃতজ্ঞতা প্রকাশকে এত পছন্দ করেন যে ফেরেশতাদের আচরণবিধিতে তার প্রশংসাকে অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছেন, ‘আর আপনি দেখবেন যে, ফেরেশতারা আরশের চারপাশ ঘিরে রেখে তাদের প্রতিপালকের প্রশংসা, পবিত্র ও মহিমা ঘোষণা করছে। আর বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করা হবে সঠিকভাবে এবং বলা হবে; সমস্ত প্রশংসা মহাবিশ্বের প্রতিবালক একমাত্র আল্লাহরই’। (সূরা যুমার ৩৯/৭৫)


‘যারা আরশ বহন করে এবং যারা তাঁর আশপাশে ঘিরে আছে তারা তাদের পালনকর্তার পবিত্রতা ও মহিমা প্রশংসার সঙ্গে ঘোষণা করে এবং তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে।’ (সূরা মুমিন ৪০/৭)


সংগৃহীত


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com