শিরোনাম
ময়দান ছাড়ছেন জুবায়ের অনুসারীরা, ঢুকছেন সাদপন্থীরা
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৭
ময়দান ছাড়ছেন জুবায়ের অনুসারীরা, ঢুকছেন সাদপন্থীরা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

টঙ্গীতে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন।


শনিবার সকাল ১১টার দিকে মোনাজাত শেষে তারা ইজতেমা মাঠ ছাড়তে শুরু করেন।


এদিকে, রবিবার বাদ ফজর থেকে মাওলানা সাদ অনুসারীদের পরিচালনায় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইজতেমা মাঠে সাদের অনুসারীদের কেউ কেউ ঢুকতে শুরু করেছেন।


আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত টঙ্গীর তুরাগ তীর। আল্লাহর দরবারে একসঙ্গে উঠেছে লাখো হাত। অশ্রুধারায় ভাষাহীন আকুতি। ১৬০ একরের ময়দান ছাড়িয়ে এয়ারপোর্ট রোড, আবদুল্লাপুর, উত্তরা, টঙ্গী স্টেশন রোডসহ আশপাশের সব এলাকায় যে যেখানে পেরেছেন অংশ নিয়েছেন আখেরি মোনাজাতে। পাপ মোচনের প্রার্থনার পাশাপাশি পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণ কামনা করেছেন।


৫৪তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ফজরের আগ থেকেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরের মুসল্লিদের ঢল নামে। বাংলায় মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলীগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা জোবায়ের।


একদিন বাড়িয়ে টানা চারদিন হচ্ছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। মুরব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সা'দপন্থীরা কাল থেকে দু'দিন ইজতেমা পালন করবেন।


গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি রুহুল আমিন সরকার জানিয়েছেন, ইজতেমার প্রথম অংশে যারা অংশ নিয়েছেন তারা স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন। এরপরও যারা এখনও যাননি তাদের অনুরোধ করে বলা হচ্ছে, আপনারা চলে যান অন্যদের আসার সুযোগ দেন। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় রয়েছে তাদের। এরমধ্যেই তারা চলে যাবেন বলে আশা করছি।


অপর অংশ মাঠে প্রবেশ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপর অংশকে সন্ধ্যার পর মাঠে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এখন কেউ কেউ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঢুকছেন।


শনিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে মোনাজাত শুরু করেন বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম হযরত মাওলানা মুহাম্মদ জোবায়ের। আরবি ও বাংলা ভাষায় মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। টানা ২৪ মিনিট আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।


মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী,গাজীপুর, উত্তরাসহ আশপাশের এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণী বিতান ও অফিসসহ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়। লাখ লাখ মানুষ মোনাজাতে অংশ নেন। সকাল ৯টার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠের পাশের বাসা-বাড়ি, কলকারখানা-অফিস-দোকানের ছাদে, যানবাহনের ছাদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন।


মোনাজাত প্রচারের জন্য গণযোগাযোগ অধিদফতর ও গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। এর মধ্যে গণযোগাযোগ অধিদফতর ইজতেমা ময়দান থেকে আব্দুল্লাহপুর ও বিমানবন্দর রোড পর্যন্ত এবং গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস ইজতেমা ময়দান থেকে চেরাগআলী, টঙ্গী রেলস্টেশন, স্টেশন রোড থেকে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু ও আশপাশের অলি-গলিতে পর্যাপ্ত মাইক সংযোগ দেওয়া হয়।


মোনাজাত ঘিরে মাঠ ও এর আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান জানান, মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সাদা পোশাকে মুসল্লি বেশে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন আছে।


মোনাজাত শেষে ইজতেমা ময়দান ছেড়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এর আগে শুক্রবার হেলিকপ্টারে চড়ে ইজতেমা ময়দানে আসেন আহমদ শফী।


সোমবার সাদ অনুসারীদের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ বছরের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। আগামী বছর ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি এবং ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।


বিবার্তা/মাইকেল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com