শিরোনাম
দুর্গোৎসবে ব্যস্ত সময় পার করলেন মুক্তি
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৩১
দুর্গোৎসবে ব্যস্ত সময় পার করলেন মুক্তি
তৌফিক ওরিন
প্রিন্ট অ-অ+

‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’- এটি বাঙালির হৃদয় নিঃসৃত উক্তি। তাই প্রতি বছর দুর্গোৎসব পরিণত হয় একটি সার্বজনীন আচার-অনুষ্ঠানে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ যোগ দিচ্ছেন উৎসবে। বরাবরের মত এবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে অনান্য সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।


দুর্গোৎসবকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মতো সরব উপস্থিতি চোখে পড়ছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের। তারাও পিছিয়ে নেই হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে। দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে তারা যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন মণ্ডপে। শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে। এমন একজন রাজনৈতিক নেত্রীর পুজোয় কাটানো বিভিন্ন আনন্দঘন মুহুর্ত সম্পর্কে জানতে পারবেন বিবার্তার পাঠক।



বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়া উপেক্ষা করে ষষ্ঠী থেকে বিসর্জন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসব পালন নিশ্চিত করতে নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে (নাটোর-৪) ছুটে গিয়েছেন আওয়ামী যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। একই সাথে গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপির হয়ে শারদীয় দূর্গা পূজার শুভেচ্ছা বার্তা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।


গত বৃহস্পতিবার পূজার মহাষ্টমী থেকে শুরু করে বিজয়া দশমী পর্যন্ত প্রত্যেকটি দিনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন মুক্তি। একই সাথে মণ্ডপে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এসময় তিনি পূজা আয়োজকদের সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খোঁজ খবরসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।



পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনের সময় কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি বিবার্তাকে বলেন, বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা সবাই বাঙালি। আমাদের সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ সম্প্রীতি বন্ধন অক্ষুন্ন রাখতে হবে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সব সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।


উল্লেখ্য, আশ্বিন শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশম দিন বা দশমী অবধি পাঁচ দিন দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচ দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। সনাতন বিশ্বাসে ধূপের ধোঁয়ায় ঢাক-ঢোলক-কাঁসর মন্দিরায় চারদিক কাঁপানো নিনাদ আর পুরোহিতদের জলদকণ্ঠেঃ ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নম’ মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে দূর কৈলাশ ছেড়ে দেবী পিতৃগৃহে এসেছে নৌকায়। প্রস্থান করবে ঘোটকে।


বিবার্তা/ওরিন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com