শিরোনাম
যে কারণে সূরা ফাতিহার ২১ নাম
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ১১:০০
যে কারণে সূরা ফাতিহার ২১ নাম
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সূরা ফাতেহার ২১টি নাম রয়েছে। এই নামগুলো সূরাটির ফজিলত ও মর্যাদার বাহক। কেননা কোন জিনিসকে অধিক নাম দ্বারা নামকরণ করলে তার বাড়তি মর্যাদার প্রমাণ বহন করে। নিম্নে সুরা ফাতিহার বেশ কিছু নাম উল্লেখ করা হলো:


ফাতিহাতুল: ফাতিহা অর্থ ভূমিকা বা শুরু। যেহেতু ইহার মাধ্যমে নামাজ শুরু করা হয় এবং যেহেতু কুরআন মযীদেরও শুরুতে ইহা লিখিত হয়েছে, তাই নবী (সাঃ) এটিকে ফাতিহাতুল কিতাব হিসেবে নামকরণ করেছেন।


আস্ সাবউল মাছানী: যেহেতু নামাজের প্রতিটি রাকআতে এই সূরাটি বারবার পাঠ করা হয়, তাই এটিকে সাবউল মাছানী বলা হয়। মাছানী অর্থ দুই। তাই কেউ কেউ বলেছেন, সূরাটি দুইবার নাজিল হয়েছে বলে তাকে আস্ সাবউল মাছানী বলা হয়।


উম্মুল কুরআন: উম্ম অর্থ মূল। সূরা ফাতিহার মধ্যে যেহেতু সমগ্র কুরআনের সারাংশ বিদ্যমান তাই ইহাকে রাসূল (সাঃ) উম্মুল কুরআন হিসেবে নামকরণ করেছেন।


উম্মুল কিতাব: রাসূল (সাঃ) এটিকে উম্মুল কিতাব হিসেবে নামকরণ করেছেন। উম্মুল কুরআন আর উম্মুল কিতাবের একই অর্থ।


আল-কুরআনুল আযীম: রাসূল (সাঃ) বলেন, এটি হচ্ছে বারবার পঠিতব্য সাতটি আয়াত এবং আল-কুরআনুল আযীম। সমস্ত কুরআনের মর্মার্থ যেহেতু সংক্ষেপে এতে বিদ্যমান রয়েছে, তাই এটিকে মহান কুরআন বলা হয়েছে।


ফাতিহাতুল কুরআন: ফাতিহাতুল কিতাব আর ফাতিহাতুল কুরআন একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।


আল ওয়াফিয়া: সমস্ত কুরআনের অর্থ যেহেতু ইহাতে পূর্ণরূপে বিদ্যমান তাই এটাকে ওয়াফিয়া বলা হয়েছে। সুফইয়ান বিন উয়াইনা এই নামে নামকরণ করেছেন।


আল-কাফিয়া: নামাযে যেহেতু শুধু সূরা ফাতিহা পড়লে যথেষ্ট হয় আর এটা ছাড়া অন্য সূরা দিয়ে যেহেতু নামাজ পূর্ণ হয় না তাই এটাকে কাফিয়া বলা হয়।


আল-আসাস: ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি দীর্ঘ হাদীছে এই নামটি বর্ণিত হয়েছে।আল কাসাস মানে মূল।


আশ্ শাফিয়া বা আশ্ শিফা: কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন, সূরা ফাতিহাতে রয়েছে প্রতিটি বিষাক্ত সাঁপ-বিচ্ছুর কামড়ের শিফা বা আরোগ্য।


সূরাতুল হামদ্: যেহেতু এই সূরার প্রথমেই আলহামদ শব্দটি এসেছে, তাই একে সূরাতুল হামদ বলা হয়।


আস্ সালাহ: হাদীছে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাজকে বান্দা এবং আমার মাঝে দুইভাগে বিভক্ত করেছি। এখানে নামাজ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে সূরা ফাতিহা।


আর্ রুকইয়াহ: যেহেতু এই সূরা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়, তাই রাসূল (সাঃ) একে এই নামে নামকরণ করেছেন।


সূরাতুস শুকর: কেননা এতে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।


দুআর সূরা: কেননা এতে রয়েছে আল্লাহর কাছে দুআ।


সূরাতুস সুওয়াল: যেহেতু এই সূরায় বান্দার প্রার্থনা বিদ্যমান, তাই এই সূরাকে প্রার্থনার সূরা বলা হয়।


প্রার্থনার শিক্ষার কৌশল শিক্ষার সূরা: ইমাম সুয়ুতী বলেন, এতে প্রার্থনা করার আদব বর্ণিত হয়েছে।


সূরাতুল মুনাজাত: কেননা বান্দা এতে আল্লাহর সাথে মুনাজাত করে থাকে।


সূরাতু তাফভীয: কেননা বান্দা এটি পাঠ করার মাধ্যমে নিজেকে আল্লাহর দরবারে সোপর্দ করে দেন।


এছাড়া সুরা ফাতিহা সূরাতুন নূর ও সূরাতুল কানজ নামেও পরিচিত।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com