ইসলামে বিশ্বাসঘাতকের শাস্তি
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৮
ইসলামে বিশ্বাসঘাতকের শাস্তি
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এতে রয়েছে মানুষের উত্তম স্বভাব গ্রহণের শিক্ষা। আর মন্দ স্বভাব বর্জনের নির্দেশ। উত্তম স্বভাব মানুষকে সম্মানের আসনে আসীন করে। আর মন্দ স্বভাব মানুষকে অসম্মানিত ও অপমানিত করে। মন্দ স্বভাবের মাঝে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতা। এ কারণে বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তিও হবে ভয়ংকর।


বিশ্বাসঘাতকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে। এদের লাঞ্ছিত করার জন্য হাশর ময়দানে প্রত্যেকের পেছনে বিশ্বাসঘাতকের ঝান্ডা উড়িয়ে দেয়া হবে। সবাই দেখে বুঝতে পারবে যে, ওরা পৃথিবীতে বিশ্বাসঘাতক ছিল।


কোরআনে বিশ্বাসঘাতক নিয়ে আলোচনা


মহান আল্লাহ বলেন, اِنَّ اللّٰهَ یُدٰفِعُ عَنِ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ كُلَّ خَوَّانٍ كَفُوۡرٍ অর্থ: নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদেরকে রক্ষা করেন এবং কোনো বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না। (সুরা হজ: ২২)


মহান আল্লাহ আরেক আয়াতে বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা চুক্তিসমূহ পূর্ণ কর। (সুরা মায়েদা: ০১)


হাদিসে বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে আলোচনা


বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে আমাদের উপর অস্ত্র তোলে। আর যে আমাদেরকে ধোঁকা দেয়, সেও আমাদের দলভুক্ত নয়। (মুসলিম: ১০১)


আরেক বর্ণনায় আছে, একবার নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাজারে এক খাদ্যরাশির কাছে দিয়ে যাওয়ার সময় তাতে নিজ হাত ঢুকালেন। তিনি আঙ্গুলে অনুভব করলেন যে, ভেতরের শস্য ভিজে আছে। তিনি বললেন, ‘ওহে ব্যাপারী! এ কী ব্যাপার?’ ব্যাপারী বলল, ‘হে আল্লাহর রসুল! ওতে বৃষ্টি পড়েছে।’ তিনি বললেন, ‘ভিজেগুলোকে শস্যের উপরে রাখলে না কেন, যাতে লোকে দেখতে পেত? জেনে রেখো! যে আমাদেরকে ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’


মহান আল্লাহ হাশর ময়দানে যাদের বিরুদ্ধে ওইদিন অভিযোগ উত্থাপন করবেন তাদের মধ্যে প্রথম হচ্ছে বিশ্বাসঘাতক শ্রেণি। কতই না দুর্ভাগ্য তাদের! বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিন শ্রেণির মানুষের বিরুদ্ধে স্বয়ং মহান আল্লাহ হাশর ময়দানে অভিযোগ উত্থাপন করবেন। ১. ওইসব লোক যারা আল্লাহর সঙ্গে ওয়াদা দিয়ে গাদ্দারি করেছে। ২. যারা স্বাধীন মানুষকে বিক্রি করে মূল্য আত্মসাৎ করেছে। ৩. যারা কোনো ব্যক্তিকে ভাড়ায় খাটিয়ে তার পারিশ্রমিক আদায় করে না। (বুখারি: ২২৭০)


মহান আল্লাহ সব অন্যায়কারীর বিরুদ্ধেই দাঁড়াবেন। তারপরও এই তিন শ্রেণির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করায়া বুঝা যাচ্ছে যে, এই তিন শ্রেণির অপরাধ মহান আল্লাহর দৃষ্টিতে খুবই গর্হিত।


মহান আল্লাহ হাশর ময়দানে যাদের বিরুদ্ধে ওইদিন অভিযোগ উত্থাপন করবেন তাদের মধ্যে প্রথম হচ্ছে বিশ্বাসঘাতক শ্রেণি। কতই না দুর্ভাগ্য তাদের! বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিন শ্রেণির মানুষের বিরুদ্ধে স্বয়ং মহান আল্লাহ হাশর ময়দানে অভিযোগ উত্থাপন করবেন। ১. ওইসব লোক যারা আল্লাহর সঙ্গে ওয়াদা দিয়ে গাদ্দারি করেছে। ২. যারা স্বাধীন মানুষকে বিক্রি করে মূল্য আত্মসাৎ করেছে। ৩. যারা কোনো ব্যক্তিকে ভাড়ায় খাটিয়ে তার পারিশ্রমিক আদায় করে না। (বুখারি: ২২৭০)


মহান আল্লাহ সব অন্যায়কারীর বিরুদ্ধেই দাঁড়াবেন। তারপরও এই তিন শ্রেণির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করায়া বুঝা যাচ্ছে যে, এই তিন শ্রেণির অপরাধ মহান আল্লাহর দৃষ্টিতে খুবই গর্হিত।


বিশ্বাসঘাতকরা সবচেয়ে বেশি অপমানিত ও অপদস্ত হবে হাশরের মাঠে। তাদের অপকর্মকে মানব জাতির সামনে তুলে ধরার জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে চিহ্নিত পতাকার ব্যবস্থা করা হবে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, ইবনে ওমর ও আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তারা বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিনে প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে বিশেষ পতাকা নির্দিষ্ট হবে। বলা হবে যে, এটা অমুক ব্যক্তির বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক।’ (বুখারী: ৩১৮৬, ৩১৮৭; মুসলিম ১৭৩৬)


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com