ইতিকাফের ফজিলতে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০৪
ইতিকাফের ফজিলতে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আরবি ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি পরিভাষায় ইতিকাফ বলে পাকপবিত্র অবস্থায় নিয়ত সহকারে মসজিদে অবস্থান করা। রমজানের শেষ দশকের ইতিকাফের দ্বারা আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে একান্ত সম্পর্ক তৈরী হয়। আর বান্দা হাসিল করে সহস্র সওয়াব ও আল্লাহর নৈকট্য।


রসুলের সুন্নত


রমজানের ইতিকাফ রসুল সা. এর অন্যতম সুন্নত। রসুল সা. প্রতি রমজানেই ইতিকাফ করতেন। রসুলের ইন্তেকালের পরে তার স্ত্রীগণ এই ইতিকাফ পালন করতেন। হাদিসে এসেছে হযরত আয়েশা রা. বলেন, ‘ইন্তেকাল পর্যন্ত রসুলুল্লাহ সা. রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন, এরপর তার স্ত্রীরা ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি : ১৮৬৮)


গুনাহ মুক্ত জীবন


রমজান আমলের মাস। তাই সর্বদা গোনাহ মুক্ত থেকে আমলে সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম ইতিকাফ করা। কেননা ইতিকাফকারী দুনিয়ার সকল চিন্তা-ভাবনা ত্যাগ করে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করে। আর এই অবস্থানের দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহ ক্ষমা করেন, অগণিত সওয়াব দান করেন।


হাদিসে এমনই এসেছে,হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, হযরত রসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘ইতিকাফকারী ব্যক্তি গোণাহ থেকে মুক্ত এবং তাকে সে পরিমাণ সওয়াবের বিনিময় দান করা হয় (যা ইতিকাফে থাকার কারণে তার সুযোগ হয়নি) যা আমলকারী ব্যক্তি পেয়ে থাকে।’ (মিশকাত: ১-১৮৩)


ইতিকাফে উমরার সওয়াব


ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া। এক সমাজের এক ব্যক্তি ইতিকাফ করলে তা আদায় হয়ে যাবে। তবে ইতিকাফকারীর আমল নামায় যুক্ত হবে দুই হজ ও দুই উমরার সওয়াব। হাদিসের ভাষ্যে এমনই বলা হয়েছে।


হযরত আলী মুরতাজা রা.থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাহমাতুল্লিল আলামীন সা. এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে (দশদিন) ইতিকাফ করলন, তিনি দুই হজ ও দুই ওমরাহ আদায়কারীর ন্যায় সওয়াব পেলেন। (শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খণ্ড, হাদিস- ২৯৬৬)।


শবে কদর লাভ


রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা হয়। আর শেষ দশকেই শবে কদরের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছ। শবে কদর একটি বরকতময় রজনী। আল্লাহ এই রজনীকে গোপণ করে রেখেছেন। রসুল সা. তা উম্মতদেরকে শেষ দশকে খুঁজে ইবাদত করার জন্য বলেছেন। ইতিকাফকারী এই বরকতময় রজনীর সন্ধান খুব সহজেই পেতে পারে। কেননা তার প্রতিটি সময় কাটে আমলে ও জিকির আযকারে।


হাদিস শরিফে এসেছে হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন রসুল সা. বলেছেন ‘আমি কদরের রাত্রির সন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। অতঃপর ওহি পাঠিয়ে আমাকে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ইতিকাফ পছন্দ করে, সে যেন ইতিকাফে বসে।’ (মুসলিম ১৯৯৪)।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com