৫ শ্রেণির মানুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪, ১০:১৬
৫ শ্রেণির মানুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

শুরু হয়ে গেল পবিত্র মাহে রমজান মাস, তবে ইসলামি শরিয়তের আলোকে সবার জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ নয়। বরং কেবল ৫ শ্রেণির মানুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ কর দিয়েছে ইসলাম।


যাদের জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে-


ইসলামে বিশ্বাসী
ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের জন্যই রমজানের রোজা ফরজ করেছে ইসলাম। সুতরাং অমুসলিমদের রমজানের রোজা রাখার কোনো বিধান নেই। অমুসলিম ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখলে তা ধর্তব্য হবে না। তবে কোনো অমুসলিম রমজানে ইসলাম গ্রহণ করলে এর পর থেকে তিনি রোজা রাখবেন। রমজানের বিগত দিনগুলোর জন্য তাঁকে কাজা করতে হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি কাফেরদের বলে দিন, তারা যদি (কুফর থেকে) বিরত হয়ে যায়, তবে আগে যা কিছু ঘটে গেছে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সুরা আনফাল: ৩৮)


সাবালক ও মানসিকভাবে সুস্থ
ইসলামের দৃষ্টিতে সাবালক ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। একইভাবে মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা আবশ্যক। সুতরাং নাবালক ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা জরুরি নয়। নবী (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের লোকের ওপর থেকে কলম (বিধানের আবশ্যকতা) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি—যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, দুই. নাবালক—যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং তিন. পাগল—যতক্ষণ না সে জ্ঞানসম্পন্ন হয়।’
(আবু দাউদ: ৪৪০৩; তিরমিজি: ১৪২৩)


রোজা পালনে সক্ষম
শারীরিকভাবে রোজা পালনে সক্ষম ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা আবশ্যক। অসুস্থতা, বার্ধক্য বা অন্য কোনো কারণে যে ব্যক্তি রোজা রাখার সক্ষমতা রাখে না, তার জন্য রোজা রাখা জরুরি নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর যে ব্যক্তি অসুস্থ অথবা যে ব্যক্তি সফরে আছে, তারা সেই সংখ্যা অন্য দিনগুলোতে পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)


নিজ ঘরে বা শহরে অবস্থানকারী
নিজের শহর বা ঘরে অবস্থানকারী ব্যক্তির জন্যই রোজা রাখা জরুরি। মুসাফির হয়ে শরিয়ত নির্ধারিত দূরত্বের কোনো শহর বা দেশে গেলে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে। যদি মুসাফির হওয়ার অন্য শর্তাবলিও পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...যে ব্যক্তিরা সফরে আছে, তারা সেই সংখ্যা অন্য দিনগুলোতে পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)


ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব থেকে মুক্ত নারী
ঋতুস্রাব ও প্রসবকালীন স্রাব নামাজ-রোজার প্রতিবন্ধক। তাই এই দুই সময়ে নামাজ-রোজা আদায় করা যাবে না। আদায় করলেও তা আদায় হবে না। পরে রোজা কাজা করে দিতে হবে, তবে নামাজ কাজা করতে হবে না। (আশ-শারহুল মুমতি: ৬/৩৩০) মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘একজন নারী ঋতুস্রাব হলে সে কি নামাজ ও রোজা ত্যাগ করে না?’ (বুখারি: ২৯৮)


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com