বাহন হিসেবে যেসব পশু ব্যবহার করতেন নবীজি
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩০
বাহন হিসেবে যেসব পশু ব্যবহার করতেন নবীজি
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলাচলের জন্য বাহন হিসেবে ঘোড়া, উট, খচ্চর ও গাধা সবকিছু ব্যবহার করতেন এবং সবকিছুতেই আরোহন করতেন। বসার সুবিধার্থে তিনি কখনও কখনও ঘোড়ার পিঠে গদী বসিয়ে আরোহন করতেন। কখনও খালি পিঠেও চড়েছেন। কখনও বাহন ধীরগতিতে চালিয়েছেন আবার কখনও প্রয়োজনের খাতিরে দ্রুতগতিতে দৌঁড়িয়ে চালিয়েছেন।


বেশিরভাগ সময়ে তিনি একাই আরোহী হতেন। কখনও আবার উটের পিছনে অন্য কাউকে বসিয়ে নিতেন। কখনও নিজে পিছনে বসতেন এবং অন্য কোনও আরোহীকে সামনে বসাতেন। একবার তিনজন আরোহীসহ বাহনে বসেছিলেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।


নবীজির আরোহীদের বেশির ভাগই পুরুষ আরোহী হতেন, তবে কখনও কখনও নবীজির সহধর্মিণীদের কেউ কেউ তার আরোহী হতেন।


সবধরনের বাহন ব্যবহার করলেও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহন হিসেবে উট ও ঘোড়াই বেশি ব্যবহার করতেন। আরব ভূখন্ডে তৎকালীন সময়ে বাহন হিসেবে খচ্চর ব্যবহারের প্রচলন তেমন একটা ছিলো না। তবে তিনি বাহন একটি খচ্চর ব্যবহার করতেন বলেও হাদিসের প্রসিদ্ধ বর্ণনাগুলোতে পাওয়া যায়। এই খচ্চরটি তাকে তাৎকালীন এক বাদশা উপহার দিয়েছিলেন। (যাদুল মাআদ, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা, ১০৩)


বাহনে চড়ে দুর্ঘটনা এড়িয়ে নিরাপদ থাকার জন্য নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ দোয়া পড়তেন এবং উম্মতকেও এইগুলো পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বাহনে চড়ার পর পড়তে হয় এমন একটি দোয়া হলো-


আরবি :


بسم الله الرحمن الرحيم سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ


উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সুবহানাল্লাজি সাখখারালানা হা-যা ওয়া-মা-কুন্না লাহু মুকরিনিন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুন কালিবুন।’


অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও অশেষ করুণাময়। তিনি পূতপবিত্র ওই সত্তা যিনি বাহনকে আমার অধীন করে দিয়েছেন। আমাদের কাছে তাকে আয়ত্তে আনার ক্ষমতা ছিল না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।


রাসুল (সা.) আরেকটি দোয়া পড়তেন


আরবি :


اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمَنْظَرِ وَسُوءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْمَالِ وَالأَهْلِ


উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফি সাফরিনা হা-জাল বিররা ওয়াত তাকওয়া, ওয়া মিনাল আমালি মা তার-দা আল্লাহুম্মা হাউয়িন আলাইনা সাফারনা হা-যা, ওয়াতওই আন্না বু’দাহু, আল্লাহুম্মা আনতাস্‌-সাহিবু ফিস্‌-সাফার, ওয়াল খালিফাতু ফিল আহলি ওয়াল মাল। আল্লাহুম্মা ইন্না নাউজুবিকা মিন ওয়া-ছা-ইস সাফারি ওয়া-কাআবাতিল মানজারি, ওয়া সুইল মুনকালাবি ফিল আহলি ওয়াল মাল।’


অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জন্য আমাদের এ সফর সহজ করে দাও। রাস্তার দূরত্ব কমিয়ে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সফরের সঙ্গী এবং আমাদের পরিবারের কাছে তুমি আমাদের স্থলাভিষিক্ত। হে আল্লাহ! তোমার কাছে সফরের কষ্ট-ক্লান্তি ও ভয়ানক দৃশ্য দেখা থেকে এবং পরিবার, সম্পদ-বিত্ত ও অধীনস্তদের কাছে খারাপ অবস্থায় ফেরত আসা থেকে তোমার কাছে রক্ষা চাই। (মুসলিম, হাদিস : ৯৭৮/২)

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com