শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমী আজ রবিবার (৬ অক্টোবর)। এদিন অকল্যাণের প্রতীক মহিষাসুর বধের চূড়ান্ত পর্যায় শুরু। মহাষ্টমীই শারদীয় দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন। দেবীর সন্ধিপূজা এবং কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
এর আগে সপ্তমীতে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন শেষে ভক্তদের কল্যাণ ও শান্তির আশীর্বাদ নিয়ে হিমালয় নন্দিনী দেবী দুর্গা পূজার পিঁড়িতে বসেন। অনুষ্ঠিত হয় ধূপধুনো, বেল-তুলসি, আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দনসহ ১৬টি উপাচার দিয়ে দেবী দুর্গার পূজা।
পঞ্জিকা মতে, রবিবার সকাল ৯টা ২৮ মিনিটের মধ্যে শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গা দেবীর মহাষ্টমী বিহিত পূজা, মহাষ্টম্যাদি কল্পারম্ভ (পঞ্চম কল্প) ও কেবল মহাষ্টমী কল্পে (ষষ্ঠ কল্প) পূজা প্রশস্তা অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ১০টা ৩১ মিনিট থেকে সন্ধিপূজা শুরু করে সকাল ১১টা ১৯ মিনিটের মধ্যে সন্ধিপূজা শেষ করতে হবে। একইদিন সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের পর দেয়া যাবে বলি। এ সময়ের পরই মূলত কালিকা দেব্যাবির্ভাব, মহিষমর্দিনী দেব্যাবির্ভাবের মহারাত্রি নিমিত্তানুষ্ঠান ও কুমারী পূজা আরম্ভ হবে।
কুমারী পূজা
মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাতে জগজ্জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারী পূজা। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মা কালীর হাতে কলাসুর বধের প্রতীকী হলো কুমারী পুজো। কথিত রয়েছে- কলাসুর স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করে নিয়েছিল। দেবতারা মা কালীর কাছে উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করেন। তাদের আর্তি শুনে মা কালী আবার জন্ম নেন শিশুকন্যা রূপে এবং কলাসুর বধ করেন।
তাই নারীতে ‘পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন’- এ বিশ্বাস নিয়ে দুর্গোৎসবের অষ্টমী তিথিতে ‘সর্ববিদ্যাস্বরূপিনী’ কুমারী রূপে ‘দেবী দুর্গার’ বন্দনায় পূজা-অর্চণা ও আরাধনায় মেতে ওঠেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
তাদের বিশ্বাস, যে ত্রিশক্তির বলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের চক্রে আবর্তিত হচ্ছে, সেই শক্তি বীজ আকারে কুমারীতে নিহিত। সেই বিশ্বাস থেকেই দেবী দুর্গার কুমারীরূপের আরাধনা করেন ভক্তরা।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]