প্রয়োজনে সব সুবিধা কেড়ে নেন, তবুও প্লিজ মুক্তিযোদ্ধাদের আর অপমান করবেন না।
বাবা ফোন করেছিলো। বাবাকে বললাম," আপনারা হেরে যাননি, হেরে গেছে বাঙ্গালি জাতির বিবেক। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বলা হলেও জীবন সায়াহ্ণে এসে আপনারা বিগত কয়েক দিনে বিভিন্ন ফেসবুক পেজে যতোটা অপমানিত হয়েছেন তা আমরা আপনাদের উত্তরসূরী হিসেবে কোনোদিন ভুলতে পারবো না।
যে জাতি তার মুক্তি আন্দোলনের বীরদের অসম্মান করে সে জাতি কখনোই সম্মানিত হয় না। কারণ, আপনি তো এদেশের বাঙ্গালি জাতির জন্য একাত্তরে নিঃস্বার্থ ভাবে যুদ্ধে গিয়ে আহত হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। এই দেশের লাল-সবুজের পতাকায় রয়েছে আপনার রক্ত। কোনো কিছু পাওয়ার কথা চিন্তা না করে যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিনে আপনারা যথেষ্ট অপমানিত হয়ে অবশেষে এর প্রতিদান পেলেন।"
বাবা ছিলো নির্বাক ও ভাষাহীন।
মেধাবীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ অনুরোধ, প্রয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রাষ্ট্র প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিন, তবুও প্লিজ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে জীবনের শেষ প্রান্তে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের মেধাহীন সন্তানদের বিরুদ্ধে কোনো কটুক্তি এবং অবমাননা করবেন না।
আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের মেধাহীন সন্তান। তবুও আজীবন গর্ব করে বলবো, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা গর্বিত পিতার গর্বিত সন্তান। আমার বাবার রক্তের বিনিময়ে এই দেশের লাল-সবুজের পতাকা ও স্বাধীনতা।
পরিশেষে মেধাবীদের জন্য শুভ কামনা। জয় হোক মেধাবীদের।
লেখক : মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিবার্তা/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]