শিরোনাম
বঙ্গবন্ধুকন্যার ভালোবাসায় সিক্ত একজন দীপু মনি
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৩৭
বঙ্গবন্ধুকন্যার ভালোবাসায় সিক্ত একজন দীপু মনি
সরফুল তাজ
প্রিন্ট অ-অ+

রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম ডাঃ দীপু মনির। সে অর্থে জন্ম থেকেই রাজনীতিতে জড়িত তিনি। পরবর্তীকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবেই রাজনীতিতে নাম লিখান। সেই থেকে পথ চলা শুরু, আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনীতির মাঠে তিন দশকের অধিক সময় পার করে তিনি এখন অভিজ্ঞ।


এই তিন দশকে আওয়ামী রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সময়ের সাথে সাথে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছেন এবং নিজের নাম উজ্জ্বল করে আলো ছড়িয়েছেন ডাঃ দীপু মনি। বলে রাখা ভালো, দীপু মনির পিতা ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ সাহেব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা। প্রচারবিমুখ, লোভ-লালসাহীন এক অনন্য মানুষ ছিলেন ওয়াদুদ সাহেব; আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রিয় ওয়াদুদ চাচা।


আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে দলের সিনিয়র নেতারা যখন শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখতে ভয় পাচ্ছিলেন, সে সময়েও দীপু মনি শেখ হাসিনায় আস্থা রেখে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ছিলেন রাজপথ। ১/১১তে শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে আইনি লড়াই করেছেন এবং চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন।


তারপর ২০০৮ সালের নির্বাচন। শেখ হাসিনা চাঁদপুর-৩ আসনের মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে ডাঃ দীপু মনিকে চাঁদপুর পাঠান। এই মাত্র এক মাস সময়ের মধ্যে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নেন। ১৯৭৩ সালেরপর তিনিই প্রথম চাঁদপুর-৩ আসন থেকে নৌকা মার্কা নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন, যা অকল্পনীয়। কারণ, ওই আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবেই সারাদেশে পরিচিত ছিল।


শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার পুরস্কার এবং কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয় দীপু মনিকে। তিনি একই সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও মনোনীত হন। নিজ দক্ষতা ও নেত্রীর পরামর্শে একজন নবীন নারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে বেশ কিছু অর্জন তাঁর সাফল্যের ঝুড়িতে রয়েছে। তার মধ্যে সৌদি আরবে ২০ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিকের ইকামা পরিবর্তন, মালয়েশিয়ায় ২,৬০,০০০ অবৈধ বাংলাদেশীকে বৈধকরণ এবং মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্র বিজয় ও ছিটমহল সমস্যার সমাধান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।


এতো সাফল্যের পরও সাংবাদিকতা পেশার গুটিকয়েক ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালায়। কিন্তু এসব করেও শেখ হাসিনার কাছ থেকে তাকে পৃথক করতে পারেনি, বরং তিনি দলের দ্বিতীয় এবং সর্বশেষ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে তৃতীয় মেয়াদে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।


২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনেও শেখ হাসিনা দীপু মনির উপর আস্থা রেখেছেন এবং দ্বিতীয় বারের মতো আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে মনোনয়ন দিয়ে চাঁদপুর-৩ আসনের মানুষের পাশে থাকার সুযোগ দিয়েছেন।


সরকারের সাড়ে আট বছরে দীপু মনি তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন এবং ক্লীন ইমেজে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সারাদেশের মানুষের মনে স্থান করে নিতে পেরেছেন।


গঠনমূলক প্রাঞ্জল বক্তব্য, নেতা-কর্মীদের সাথে হাসিমুখে কথা বলা এবং তাদের কথা শোনা, ওয়ার্ড ইউনিয়ন পৌরসভা থানা মহানগর জেলা - সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ দীপু মনিকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।


আওয়ামী সভানেত্রীর পছন্দের তালিকায় উপরে অবস্থান করার পরও সেই গুটিকয়েক সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে, যা সত্যি দুঃখজনক।


ডাঃ দীপু মনি যে পুনরায় চাঁদপুর-৩ আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তা বুঝবার জন্য অনেক অভিজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, তিনি স্থানীয় নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি এই স্বাভাবিক বিষয়টা মানতে চান না। তারা কখনো দীপু মনিকে মনোনয়ন দিচ্ছেন না, কখনো বা ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন, আবার কখনো দল থেকেই বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। সে সবে দীপু মনির না তাকালেও চলবে। কারন তিনি তো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রিয়ভাজন।


তাই আর ব্যাখা দিতে চাই না, শুধু সাধারণের কাতারে দাঁড়িয়ে যতটুকু উপলব্ধি হয়েছে তা-ই বলতে চাই, ডাঃ দীপু মনি সংসদ সদস্য হিসেবেও হ্যাট্রিক করতে চলেছেন।


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com