শিরোনাম
স্বর্ণঈগল চোখে তাকিয়ে আছি নেতার পানে
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০১৬, ০৯:৩৯
স্বর্ণঈগল চোখে তাকিয়ে আছি নেতার পানে
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে এলাকাবাসীর প্রত্যাশার কথা এক খোলা চিঠিতে জানিয়েছেন। আবেগঘন এই চিঠিতে এই ছাত্রলীগ নেতা এটা জানাতে চেয়েছেন, দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মূল্যায়ন করেছেন, তার প্রতিদান বৃহত্তর নোয়াখালীর গর্বিত সন্তান ওবায়দুল কাদের নেতৃত্বের যোগ্যতা বলে দিতে পারবেন।ছাত্রলীগ নেতার চিঠিটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো:


প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের,


লেখা শুরুতেই আপনাকে রক্তিম মুজিবীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন বাংলার জননী আমাদের ছাত্রলীগের শেষ আশ্রয় স্থল বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার নিকট এবং বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরবৃন্দকে।


প্রিয় নেতা,


আপনার এই সম্মান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে গর্বের। কারণ আপনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি ছিলেন এবং সেই সাথে আরো গর্বিত আপনি বৃহত্তর নোয়াখালীর কৃতী সন্তান, যে অঞ্চলে আমি জন্মেছি। আল্লাহর রহমতে আজ আপনি বাংলাদেশের গর্ব, আমাদের অহংকার।


পুরো দেশ আজ থেকে কদর করতে শুরু করবে আমাদের যারা এতদিন বাঁকা চোখে জামাত-বিএনপির অঞ্চলের লোক বলে অবহেলা করতো। কিন্তু আপনি জানেন এবং আমি বিশ্বাস করি আপনি মূল্যায়ন করবেন এই অঞ্চলের ত্যাগী নিবেদিত নেতাকর্মীদের। যারা আওয়ামী রাজনীতি করে দেহ থেকে প্রাণ হারানোর ঝুঁকি নিয়ে। তারপরও তারা পিছু হটে না, জয় বাংলা বলে আগে বেড়েছে এবং বেড়ে চলছে সকল প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে।


প্রিয় নেতা,


আমাদের কোনোঅবদান নেই আপনার এই অবস্থানে আসার জন্য। আপনি আপনার সম্পূর্ণ ত্যাগ, শ্রম ও আত্মবিশ্বাস এবং প্রাণের নেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করে আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতার কাছে স্বপ্নময় এবং কাঙ্ক্ষিত আর আমাদের বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের জন্য আলাদীনের চেরাগ হাতে পাওয়ার মত। যা আপনি এনে দিয়েছেন আমাদের।


রক্ত ঝরেছে লাখো, কেড়ে নিয়েছে হাজারো জীবন, সর্বস্ব লুটে নিয়েছে শত পরিবারের জয় বাংলার লোক বলে ওই দেশবিরোধীদের হাতে। তারপরেও থেমে থাকিনি আমরা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলতে। কিন্তু এত ত্যাগের পরেও পারিনি বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি শেখ হাসিনার মাটি গড়তে এই অঞ্চলকে। বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর জেলায়। যেখানে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত নৌকাকে বিজয় করে সংসদে যেতে পারিনি শেখ হাসিনার চলার পথকে সম্পূর্ণ মসৃণ রাখতে।


কিন্তু তারপরেও আল্লাহর কি রহমত, প্রিয় নেত্রী আপনি চোখ তুলে তাকিয়েছেন। আপনাকে সম্মানিত করে আমাদেরকে তার আপন করে নিয়েছেন আর এরই মাধ্যমে তিনি প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি কোন অঞ্চলের না তিনি সারা বাংলার মা আমাদের মা। মাকে দিতে পারো কিংবা না পারো মা দিয়ে যাচ্ছেন নিজের সন্তানের মত করে। যেমনটা দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।



প্রিয় নেতা,


মা-তো আপনাকে সম্মানিত করে আমাদের পূর্ণতা দিয়েছেন। এই পূর্ণতায় কি আমরা পারবো না মার অপূর্ণতা পূর্ণ করতে। যেমনটা ওই গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, ফরিদপুরের সহ বিভিন্ন জেলার সন্তানেরা করে চলছে বাংলাদেশ জন্মের আগ থেকে। আমরা কি পারবো না মায়ের এই ঋণ শোধ করতে, মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে?


পারবো নেতা, পারবো; আমাদের আর কোনোসংকট নেই। কারণ আপনি আমাদের বড় ছায়া, যে ছায়ার অনেক অভাব ছিল এতদিন। খুব বেশি মূল্যায়ন ছিল না আদর্শিক এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের এই অঞ্চলে। সঠিক নেতৃত্ব তুলে ধরে হতো না প্রিয় নেত্রীর কাছে। যাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে লক্ষ্মীপুরের মাটি বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি শেখ হাসিনার মাটিতে রূপান্তরিত করবে।


কিন্তু আমি এবং আমার মত লাখো কর্মী এইবার মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং পূর্ণ আস্থা রাখি আপনার প্রতি। আপনার সরাসরি হস্তক্ষেপে সব কালো ছায়া দূর হবে কারন আপনি এই জেলার প্রতিটি মাটি-কণা-আলো-বাতাস সম্পর্কে অবগত। কোন চামবাজ কোন তোষামোদকারী আপনাকে ভুল বুঝাতে পারবে না। কারণ আপনি তৃণমূল থেকে উঠে আসা জাদুকরী নেতৃত্ব।


প্রিয় নেতা,


অধিকার নিয়ে বলছি, আপনি তখনই সফল হবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যখন আপনি নিজ ঘরে সঠিক নেতৃত্ব গড়ে তুলবেন এবং সামনের সংসদ নির্বাচনে পূর্ণ বিজয় প্রিয় নেত্রীকে উপহার দিতে পারবেন এবং তা আপনার পক্ষেই সম্ভব, পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে বলছি। তা সম্ভব বলে এই অপছায়ার অঞ্চলে জন্ম হওয়ার ফলেও পূর্ণ আস্থা বিশ্বাস নিয়ে আপনাকে নেত্রী দলের এই বিশাল সম্মানের দ্বায়িত্ব দিয়েছেন।


প্রিয় নেতা,


২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর প্রায় ২৫ হাজার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সংগ্রামী সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ভাই এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক আমার রাজনৈতিক গুরু সিদ্দিকী নাজমুল আলম ভাইয়ের হাত থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাই। ঠিক ওই সময় দায়িত্ব যখন বিএনপি-জামাতের ৩ মাসের টানা পেট্রোল দিয়ে মানুষ পোড়া অবরোধ চলছে।


আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা যখন দলের দায়িত্ব পাওয়া মাত্রই ঢাকা ৩২ এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সম্মান জানিয়ে কাজ শুরু করি কিন্তু তা করতে আমরা পারিনি। পারিনি প্রিয় নেতাদের ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে। এমনকি আপনাকেও না। কারণ আমরা আমাদের জেলার রাজপথ রক্ষা করতে পুরোটাই সময় রাজপথে অবস্থান করি, সমাবেশ করি বিভিন্ন উপজেলায় এবং রুখে দেই ওই অপশক্তিদের। প্রতিরোধ করি শক্ত হাতে নিজেরদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।


শুধু তাই নয়, তারপর জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেই প্রায় ২৫ হাজারের মত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ এবং ৩০ হাজারের মত সবুজ গাছের চারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা শেখ হাসিনার সবুজ বাংলাদেশ গড়তে, যা এখনো চলমান। সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থপাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তের দাবিতে মানববন্ধন এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করি।


ছুটে যাই রামগঞ্জের নির্যাতিত মায়ের পাশে, নিশ্চিত করার চেষ্টা করি তার ন্যায়বিচার এবং তার জীবনজীবিকা সুনিশ্চিত করার জন্য। প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেন মাননীয় এমপি মুক্তা আপার মাধ্যমে।


১/১১ এ ডেইলি স্টার পত্রিকায় নেত্রীকে অসম্মান করায় সেই পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিগত প্রায় ৫/৬ মাস আগে ৫০ হাজার কোটি টাকার শেখ হাসিনার পক্ষে মানহানিকর মামলা করি নিজে বাদী হয়ে সর্বপ্রথম লক্ষ্মীপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। পরবর্তীতে আরো প্রায় ৮২টি মামলা হয় পুরো বাংলাদেশে। সেই সাথে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলছি বঙ্গবন্ধুর আর্দশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিপ্লবী সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ভাই ও সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন ভাইয়ের সুদক্ষ নির্দেশনায় সুসংগঠিত করতে পুরো জেলা ছাত্রলীগকে আমার সাধারণ সম্পাদককে সাথে নিয়ে।


সুনিশ্চিত করেছি সব কয়টি নৌকার প্রতীককে বিজয় করতে ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সুদক্ষ নেতৃত্বে। আওয়াজ তুলি সর্বপ্রথম জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে হাজার হাজার ছাত্রের সমাবেশ ঘটিয়ে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে লক্ষ্মীপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। স্লোগান তুলি ‘জঙ্গিবাদ নিপাত যাক/বাংলাদেশ মুক্ত থাক’।


ছুটে যাই বন্যাকবলিত পাড়ে, তুলে দেই ত্রাণসামগ্রী আমাদের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিজস্ব অর্থায়নে বন্যাকবলিতদের হাতে। সর্বোচ্চ নেতাকর্মীর অংশ গ্রহণে সফল করার চেষ্টা করি প্রত্যেকটি কেন্দ্রীয় এবং জেলার সমাবেশ ও জাতীয় প্রোগ্রামগুলোকে। যা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে আগামী দিনের জন্য।


নতুন রূপে সুসংগঠিত করে যাচ্ছি আমাদের জেলাকে। যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কাছে এখন লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ অনেকটাই রোল মডেল হয়ে উঠেছে আর তা অনেক কিছুই আপনার জানা কারণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আপনার প্রাণের সংগঠন আবেগের সংগঠন। যার নিয়মিত খোঁজখবর আপনি রাখেন হৃদয় থেকে।


প্রিয় নেতা,


এই কথাগুলো তুলে ধরেছি এইজন্য যে, আমি জামাত-বিএনপির অঞ্চলের ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে বেড়ে উঠতে চাই না। আমিও বলতে চাই আমি বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি শেখ হাসিনার মাটির ছাত্রলীগের গর্বিত কর্মী। আমরাও পারি প্রিয় নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী রাখতে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে নৌকার প্রতীককে বিজয় করতে।


প্রিয় নেতা,


ইনশাল্লাহ,আমাদের এই স্বপ্নের বাস্তবায়নের প্রধান মাঝি আপনিই হবেন। আমরা প্রস্তুত বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সিপাহশালার হয়ে শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মী হয়ে নৌকার ঘাঁটি গড়তে আর আপনি হচ্ছেন সেই ঘাঁটির জাদুকরী যোগ্য মাঝি। যে মাঝির নেতৃত্বে বৃহত্তর নোয়াখালী হবে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি শেখ হাসিনার মাটি এবং তা হবে পুরো বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের জন্য জ্বলন্ত উদাহরণ। তা একমাত্র আপনার পক্ষেই সম্ভব আর আমরা হতে চাই সেই বিপ্লবের সৈনিক।


কারণ আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দ্বারাই যেকোন পরিবর্তন সম্ভব এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস তাই বলে। তাইতো আমাদের আর্দশ বঙ্গবন্ধু বলেছেন ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস।’


আমরা লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ আরেকটি নতুন ইতিহাস গড়েতে চাই আপনার সুযোগ্য এবং জাদুকরী নেতৃত্বে। তারপর চিৎকার দিয়ে পুরো বাংলাদেশকে বলতে চাই, প্রিয় নেত্রী বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা আপনাকে তার সহযোদ্ধা হিসেবে নির্বাচিত করতে ভুল করেননি। সেই সাথে আরও বলতে চাই আমাদের গর্ব আমাদের অহংকার ওবায়দুল কাদের এখন বাংলাদেশের গর্ব, বাংলাদেশের নেতৃত্বের নতুন রোল মডেল। আমাদের প্রিয় নেতার কাছ থেকে শিক্ষতে হবে জামাত-বিএনপির ঘাঁটিকে কিভাবে বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি শেখ হাসিনার মাটিতে রূপান্তরিত করা যায়।


সর্বশেষ, মুক্তির অপেক্ষায় আপনার দিকে তাকিয়ে বিপ্লবী হৃদয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা তথা বৃহত্তর নোয়াখালীর তথা পুরো বাংলাদেশের লাখো লাখো নিবেদিত শেখ হাসিনার আবেগী কর্মী। যাদের স্বপ্ন এখন শুধু আপনাকে ঘিরে। শুভ কামনা থাকবে আপনার আগামীর স্বপ্নযাত্রায় এক নতুন বাংলাদেশের।


জয় বাংলা !


জয় বঙ্গবন্ধু !


জয়তু শেখ হাসিনা।।


বিবার্তা/জিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com