শিরোনাম
পাবনা-৩ : এগিয়ে চলেছেন জননেতা আলী আশরাফুল কবির
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০১৭, ১৭:৩২
পাবনা-৩ : এগিয়ে চলেছেন জননেতা আলী আশরাফুল কবির
শামসুল আলম
প্রিন্ট অ-অ+

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ''২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ'' গড়ার একজন কর্মী হিসেবে কাজ করার ব্রত নিয়ে বড়ালবিধৌত চলনবিল এলাকার জননেতা আলী আশরাফুল কবির চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণকে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।


বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের তুখোড় এই ছাত্রনেতা ব্যক্তিজীবনে অনেক বিদ্যা অর্জন করেও জীবনের সবচেয়ে সোনালী সময়ে অর্থ উপার্জন কিংবা ক্যারিয়ার উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত না থেকে অবহেলিত পাবনা-৩ জনপদের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলীন হয়ে গেছেন। বিল-পাথারের তৃণমূল তাকে এতটাই আকর্ষণ করে যে গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে বেড়িয়েছেনে নিরন্তর।


তিনি প্রথমেই তার জন্মস্থান পুঙ্গলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের আহবায়কের দায়িত্ব নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন করেন। পরবর্তীতে ফরিদপুর উপজেলার তৃণমূলের কাউন্সিলরদের ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তরুণ এই জননেতা যেভাবে যেকোন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করেন তাতে করে তিনি আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে নির্বাচনযুদ্ধে সফল হতে পারবেন বলে চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুরের আপামর জনসাধারণ বিশ্বাস করেন।


শিক্ষা জীবন : আলী আশরাফুল কবির ১৯৯৪ সালে পুঙ্গলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮২১ মার্কস পেয়ে ফরিদপুর উপজেলায় তৃতীয় স্থান দখল করে এস এস সি এবং ১৯৯৬ সালে সরকারী অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ এস সি পাস করে ১৯৯৭ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি অধ্যয়ন ও লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে প্রথম শ্রেণী সমমানের অধিক মার্কস পেয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপান স্টাডি সেন্টার থেকে জাপানিজ স্টাডিজ বিষয়ে ২০০৯ সালে কৃতিত্বের সাথে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজ (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ২০১১ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৬ সালে তিনি বেসরকারী নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পদ ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় প্রথম শ্রেণী সমমানের অধিক মার্কস পেয়ে তিনি শিক্ষাজীবনে তৃতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।


ছাত্ররাজনীতি : ১৯৯৩ সালে দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় ছাত্রলীগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণ আলী আশরাফুল কবির ছাত্ররাজনীতির সংস্পর্শে আসেন । এইচএসসি পাস করার পর সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৯৮ সালে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সম্পাদক মনোনীত করা হয়। আলী আশরাফুল কবির সে সময় একাধিকবার ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের হাতে আহত হন। তার নেতৃত্বে ২০০১ সালের ১৪ অক্টোবর একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনে ছাত্রলীগের মিছিলে গুলি বর্ষণ করে। পরবর্তীতে আন্দোলনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সহ-অবস্থান নিশ্চিত করা হয়।


২০০৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে আলী আশরাফুল কবির বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন।


২০০৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর সিলেট সদর আসনের এমপি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান বঙ্গবন্ধুর নামে প্রস্তাবিত ছাত্রহলের নাম জিয়াউর রহমানের নামে উদ্বোধন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় আগমন করলে তার এই প্রচেষ্টা আলী আশরাফুল কবিরের নেতৃত্বে প্রতিহত করা হয়।


২০০৪ সালের এপ্রিলে ছাত্রদল নেতা মির্জা মাহবুবুল হক সাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ ছাত্রীকে ধর্ষণ করলে আলী আশরাফুল কবিরের নেতৃত্বে একটি বিশাল ছাত্র-আন্দোলন গড়ে ওঠে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে বহিস্কার করতে বাধ্য হয়।


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা কর্মী : ২০০৮ সালের মাঝামাঝিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কার্যকরী কমিটিতে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।


জন রাজনীতি : পাবনা-৩ আসনের তিনটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের যে কোনো সমস্যায় তিনি পাবনা, রাজশাহী ও ঢাকায় ছুটে গিয়েছেন। আলী আশরাফুল কবির উচ্চশিক্ষিত হয়েও চাকুরীর আশা ত্যাগ করে, ব্যবসার পিছনে না ছুটে শুধু আওয়ামীলীগের কর্মীদের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ২০১০ সালের ২৮ জুলাই আওয়ামী লীগ পুংগলী ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন। আহবায়কের অনুপস্থিতিতে তিনি সকল দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে ৯টি ওয়ার্ডে সুন্দরভাবে সম্মেলন সম্পন্ন করেন। ২০১৩ সালের ২৭ এপ্রিল আওয়ামী লীগ ফরিদপুর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করে ১৬২ ভোটের মধ্যে ১০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।


২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ২০১৪ সালের জানুয়ারীতে ফরিদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ৩০ ডিসেম্বর,২০১৫ ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচন, ৩০ মার্চ, ২০১৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেন।


আলী আশরাফুল কবির ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর থেকে হয়ে উঠেছেন সকলের প্রিয়জন, প্রিয় নেতা। তার নির্বাচন ব্যবস্থাপনা দক্ষতা আজ পাবনা-৩ এলাকার সম্পদে পরিণত হয়েছে।


চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রচেষ্টা ও ভাবনা : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ফরিদপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে আলী আশরাফুল কবির প্রথমেই চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের পূরণাঙ্গ কমিটি গঠন করাকে। সেই চ্যালেঞ্জে তিনি অনেকটাই সফল হয়েছেন।


তরুণ এই জননেতা তার উপজেলায় নিয়মিত মাসিক সভা করার চেষ্টা চালান কিন্তু বিভিন্ন সময় নানা অসুবিধার কারণে করতে পারেন না। তবে নিয়মিত গণসংযোগ এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে দেখা অথবা তাদের মোবাইল ফোনে তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন ।


তিনি পাবনা-৩ এর প্রত্যেকটি এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রায় ১৮০টিরও বেশি নির্বাচনী কেন্দ্রের চারপাশের নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে একটা বহুমুখী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন ।



চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর উপজেলার উন্নয়ন ভাবনা :


• এই এলাকার উন্নয়নের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিষয় কৃষকের উন্নয়ন। এই এলাকার কৃষকের প্রধান সমস্যা পানি নিস্কাষন না হওয়া। ফলে একটি জমি বছরের এক বার কিংবা দুই বার ফসলী জমি হিসেবে ব্যবহার করতে পারা যায়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চাটমোহর উপজেলাতে মাত্র ৩.৮৮ শতাংশ ভূমি ত্রি-ফসলী হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ফরিদপুর উপজেলা যা মাত্র ১.১০ শতাংশ এই এলাকার এক ফসলী জমিকে দুই ফসলী রূপান্তর এবং দুই ফসলী জমিকে ত্রি-ফসলী জমিতে রূপান্তর করার জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে পারলে কৃষকের উন্নয়ন হবে। আলী আশরাফুল কবীর এই ধরনের মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রথমেই কাজ করবেন।


• বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সম্পদে ভরপুর চলনবিলের ৩৬৮ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল। অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার চলনবিল এলাকার জীববৈচিত্র ও মৎস্য ভান্ডারের প্রধান উৎস। জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত কারণ যে সমস্ত বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটে তা চলন বিলের মৎস্যসম্পদ, জীববৈচিত্র ও মানুষকে আঘাত করেছে। এই অভিঘাত মোকাবেলায় চলন বিলের নাম তেমন আলোচনায় আসেনি। চলনবিলের পানি নিস্কাশন চ্যানেল বড়াল নদী এই এলাকার মানুষের কান্নার নদীতে পরিণত হয়েছে। এই বড়ালবিধৌত নদীতীরবাসী বড়ালকে তার হারানো রূপে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন সুসমন্বিত টেকনিক্যাল প্রকল্প। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আলী আশরাফুল কবির চলনবিল ও বড়াল বাসীর হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে চান।


• বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি যে দুগ্ধ উৎপাদন করেন তার প্রায় সমূদয় অংশ এই অঞ্চল থেকে আসে। এই অঞ্চলের প্রতিটি গ্রাম হতে পারে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হতে পারে একটি সার উৎপাদন ফ্যাক্টরী, যদি গরুর অপর গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন গোবরকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি। এই বিস্তীর্ণ কেনাই পাথার বিলের চারিদিকের সবগুলো গ্রামের গোবর বাংলাদেশের সারের একটি বৃহৎ অংশ পূরণ করতে পারে। পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার জ্বালানী শক্তির পুরোটাই এই গোবর থেকে উৎপাদিত বায়োগ্যাস পুরণ করতে পারে। যেহেতু মিল্কভিটা শত শত বিঘা খাস জমি অধিগ্রহণ করে আছে এবং তার একটি শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা রয়েছে তাই মিল্ক ভিটার মাধ্যমে এবং স্থানীয় দুগ্ধ সমিতি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় এ সম্পর্কিত আরেকটি হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গৃহিত হলে এই অঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের উন্নতির পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষ এই সকল অফুরন্ত সম্পদের উপযোগ ভোগ করতে পারবে।


• ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবুল কালামের একটি উক্তি পাবনা তিন এলাকার এই জননেতার কাছে প্রণিধানযোগ্য সেটি হোল- ”স্বপ্ন সেটা নয় যেটা ঘুুমিয়ে দেখা হয় , স্বপ্ন সেটা যা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না” । জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে স্বপ্ন দেখতে হয় এবং তা বাস্তবে পরিণত করতে হয়। বাংলাদেশের ডিজিটাল হওয়ার এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন এখন হাস্যকর নয়; বাস্তবে এ দুটিই এখন পথ দেখাচ্ছে উন্নত দেশ হবার । জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা এবং বিদ্যুৎ উন্নয়নের মাধ্যমে এই বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্বপ্নের উন্নত দেশ গড়ার জন্য অবশ্যই অত্যন্ত উচ্চ শিক্ষিত এবং দক্ষ দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজন । পাবনা-৩ এলাকা সার্বিক উন্নয়নের একটি অংশ, এখানে আলী আশরাফুল কবিরের মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন ।


উপরোক্ত বিষয় এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষিত সৎ এবং কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন অফুরন্ত ইচ্ছা শক্তি প্রাণবন্ত নেতৃত্ব প্রয়োজন। জননেতা আলী আশরাফুল কবির তার শিক্ষা, মেধা, যোগ্যতা ও কারিগরি জ্ঞান নিয়ে সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com