শিরোনাম
কেমন চলছে কমলনগর উপজেলা আ.লীগের রাজনীতি
প্রকাশ : ১১ জুন ২০১৭, ২০:২২
কেমন চলছে কমলনগর উপজেলা আ.লীগের রাজনীতি
আবু নাছের
প্রিন্ট অ-অ+

একটি অনলাইন নিউজপোর্টালে“প্রতিনিধি দিয়েই চলছে কমলনগর উপজেলা আ’লীগের রাজনীতি” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন লেখাটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এখানে যা লেখা হয়েছে তা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই।


আমি লেখকের কাছে জানতে চাই, উনি কি বলবেন কোন ত্যাগী নেতারা রাজনীতি ছেড়েছেন? কারা ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছেন বা রাজনীতিতে ইস্তফা দিয়ে ঘরে ঢুকে গিয়েছেন?


সবাই জানে, যে সকল নেতা-কর্মী ৫ জানুয়ারী নির্বাচন করেছেন তার একজন (আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজু, সাবেক চেয়ারম্যান, চর কাদিরা ইউনিয়ন, যিনি বিগত ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় নমিনেশন পেয়েও নির্বাচিত হতে পারেননি) ছাড়া প্রত্যেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত আছেন এবং দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা কমিটির ৪/৫ জন নেতা (যারা এলাকায় থাকেন না) ছাড়া সকল নেতা-কর্মী সক্রিয়ভাবে সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে দলের হয়ে কাজ করছেন। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আজ ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত।


কমলনগর উপজেলার প্রতিনিধি, ১৪ দলীয় জোট ও জঙ্গী ও সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির সভাপতি হিসেবে আনোয়ার সাহেব সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এম.পি ফরিদুন্নাহার লাইলীর প্রতিনিধি হিসেবে ২০১০ সাল থেকে কাজ করে আসছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ও কমলনগর উপজেলা নির্বাচনে নূরুল আমিন রাজুর নির্বাচনসহ সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। সেই সুবাদে তিনি কমলনগরে কাজকর্ম দেখভাল করে আসছেন।


৫ জানুয়ারী নির্বাচনের পূর্বে কমলনগর উপজেলার দলীয় অবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক। যেমন সভাপতি নূরুল আমিন মাষ্টার ও সাধারন সম্পাদক জনাব নূরুল আমিন রাজু’র বৈরিতা ছিল চরমে, যা আজও বিদ্যমান। এই বৈরিতার সুযোগে উপজেলা নির্বাচনে নূরুল আমিন মাষ্টার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নূরুল আমিন রাজু’র বিরুদ্ধাচরন করে চর কাদিরা ইউনিয়নের রাজু চেয়ারম্যানকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে তার পক্ষে ভোট করেছিলেন। ফলস্বরূপ আওয়ামী প্রার্থী নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন।


৫ জানুয়ারীর পূর্বে কখনই কি কমলনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছিল ? ফরিদুন্নাহার লাইলীর ০৫ বছর এম.পি থাকাকালীন একবাও কি কোন কর্মীসভা বা আলোচনা সভা করতে পেরেছেন ?বরং কর্মীসভা আহবান করে আওয়ামী লীগের প্রতিরোধের মধ্যে পড়ে হেনস্থা হয়েছিলেন। এমনকি একবার লক্ষ্মীপুর সদর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের উনাকে আটক অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছিলেন। তার বিপরীতে বর্তমানে এম.পি আব্দুল্লাহ আল মামুন যখন কর্মী সভার ডাকদেন তা লোকে লোকারণ্য হয়ে জনসভায় পরিনত হয়।


২০১১ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত একজন চেয়ারম্যান জয়লাভ করে, বাকি ৮জন বিএনপি জামাত মনোনীত প্রার্থী । তখনও কিন্তু রামগতি কমলনগর উপজেলায় এম.পি ফরিদুন্নাহার লাইলী। বর্তমান এম.পির সময় একজন বিএনপি প্রার্থীও চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করতে পারেনি।


২০১৩ সালের শেষ দিক থেকে ২০১৪ সালের কয়েক মাস কমলনগর উপজেলা সদর হাজির হাট বাজারে আওয়ামী লীগের কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করা যায়নি। আর আজ আনোয়ার সাহেবের দৃঢ়তায় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ কর্মকান্ডে হাজির হাট বাজারে আওয়ামী লীগের অবস্থান অনেক মজবুত। দলের বর্তমান ঐক্য ও সফলতা দেখে আবারও আগের মত নূরুল আমিন মাষ্টার গংরা বিএনপিকে মাঠে নিয়ে আসার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন।


উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি এম.পি মহোদয়ের নির্দেশনায় আনোয়ার সাহেবের হাত ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে অতীতের আওয়ামী লীগ নামীয় নেতৃত্বের অপরাজনীতি বন্ধ হওয়ায় অনেকে নাখোশ হয়ে মিথ্যা প্রচারনায় লিপ্ত আছেন। দলীয় সদস্য ফরম, উপজেলা ও ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের থেকে ফরম বিক্রি করে দলীয় ফান্ড সৃষ্টি লক্ষে সংগ্রহিত টাকার হিসাব নিয়ে অনেক অপপ্রচার আছে। মূলত উক্ত ফরম বিক্রির টাকা সোনালী ব্যাংক, হাজির হাট শাখায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য জনাব হাজী মনিরুল হকের একাউন্টে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জমা আছে।


প্রতিবেদক উপজেলা সভাপতি নূরুল আমিন মাষ্টারের প্রসঙ্গ এনেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আমিন সাহেব নিজে ফরম কিনেছিলেন কিনা? অবশ্যই না! কারণ উনার সাথে দলের নেতা-কর্মীদের ২০১৩ইং সাল থেকে কোন সম্পর্ক নেই। ২০১৪ সালের আগের ০৫ বছর দলের অবস্থা ভাল থাকলে উনারা রাস্তায় আসতে পারেননি কেন? কমলনগর উপজেলার হাজির হাট বাজারের কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ অফিস আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। নূরুল আমিন মাষ্টার সাহেবের এত ক্ষমতা, জনবল থাকলে কিছুই করতে পারেননি কেন? উনারা মূলত বিগত জামাত-বিএনপি জোটের নেতা সাবেক এমপি আশ্রাফ উদ্দিন নিজান সাহেবের গৃহপালিত কর্মী হিসেবে ব্যবহৃত হতেন।


পরিশেষে বলি, আলোচ্য সংবাদটি সম্পর্ন ভূয়া ও মিথ্যা। সংবাদে যে ৩ জন দলীয় নেতা ও নেত্রীর নাম উল্লেখ রয়েছে, তারা জানিয়েছেন তারা কেউ এমন কোনো কথা বলেননি।


লেখক: সাংগঠনিক সম্পাদক, রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগ, লক্ষ্মীপুর


বিবার্তা/হুমায়ুন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com