শিরোনাম
জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জনগণের প্রত্যাশা
প্রকাশ : ১৮ মে ২০১৭, ২০:২৩
জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জনগণের প্রত্যাশা
হায়দার মোহাম্মাদ জিতু
প্রিন্ট অ-অ+

প্রাচীন মিথলজিগুলোর রচনা ও সংরক্ষণের কারণ হয়তো বর্তমানকে সতর্ক করে ভবিষ্যত নির্মাণের উদ্দেশ্য কিংবা বলতে পারেন অতীতের শৌর্য-বীর্য বা শিক্ষণীয় বিষয়াদিকে সব সময়ের মানুষকে জানানো।


মিথলজির বিশাল কোষাগার থেকে একখানা ছোট্ট গল্প বলি।


স্তেপের জনগণ শত্রুর আক্রমণে ধরাশায়ী হয়ে জঙ্গল অতিক্রমের সময় পথ হারিয়ে ফেলে। তখন ডানকো সেই বিধ্বস্ত জনপদকে নিজের আলোক শিখাপূর্ণ হৃদপিণ্ড চিরে পথ দেখায়। কিন্তু ট্র্যাজেডি হল, গন্তব্যে পৌঁছানো জনতার একজন ক্লান্ত ও ক্ষয়িষ্ণু ডানকোকে খেয়াল না করে তার হৃদপিণ্ডকেই পা দিয়ে খুঁচিয়ে নিভিয়ে ফেলে। ফলাফল ডানকোর নিঃশেষিত হওয়া।



বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থাও এখন বহুক্ষেত্রে তাই। এখানকার ডানকো ভূমিকায় যেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। উদাহরণ প্রসঙ্গে যেমন ধরুন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টানা পাঁচবারের দুর্নীতি চ্যাম্পিয়ান খেতাব থেকে মুক্তি পেয়েছে। অর্থাৎ দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণে এনে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছে দেশ। তার ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশ ৭.২৪ জিডিপি অর্জন করেছে। মাথাপিছু আয় ১৩১৪ ডলার থেকে বেড়ে ১৬০২ ডলারে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের ১৪০টি দেশের মাঝে সুখী দেশ হিসেবে অষ্টম স্থান অর্জন করেছে। বিশ্বের ১৪৫ টি দেশের মাঝে লিঙ্গ বৈষম্যে সার্কভুক্ত দেশের মাঝে যেখানে পাকিস্তান,ভারত ও শ্রীলঙ্কার অবস্থান যথাক্রমে ১৪৪, ১০৮ ও ৮৪, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৪। অর্থাৎ, বলতে গেলে প্রায় হারানো পথ থেকে বাংলাদেশ আজ অনেকটাই কক্ষপথের দিকে।


কিন্তু দেশ কক্ষপথে এলেও তিনি হয়তো ধীরে ধীরে ওই ডানকো চরিত্রের দিকেই ধাবিত হচ্ছেন। কারণ ডানকো কিন্তু তার জনগণের জন্যেই নিজেকে নিবেদন করেছিলেন, শেখ হাসিনাও তাই। বুলেট-গ্রেনেড-বোমা উপেক্ষা করে তিনিও পুরোটা সময় জনগণের জন্যেই কাজ করে যাবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং এত বড় দায়িত্বটি তাঁকে একাই পালন করতে হচ্ছে।


জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ অনেকের কপালেই রাজতিলক দিয়েছেন। আরো স্পষ্ট করে বললে অনেককেই জাতে তুলতে চেয়েছেন। কিন্তু তাদের ঔদ্ধত্য হল, খানিক পরে তারা নিজেরাই আরেকটা জাত তৈরির খেলা শুরু করেছেন অর্থাৎ দলের নামের শেষাংশ জুড়ে নিত্যনতুন দোকান খুলছেন এবং সেগুলোর ঘটা করে অনুষ্ঠানও করা হচ্ছে।


নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থে দেশব্যাপী কেয়ারটেকাররা (!) যেভাবে অনুচর কিংবা অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়েছেন তাতে তারা হয়তো সাময়িকভাবে আপনার গুণগান গাইবেন কিন্তু মনে রাখবেন এরাই কিন্তু আপনার দলে বিভক্তি এবং সাব ষ্টেশন তৈরিতে মূল খেলোয়াড় হিসেবে কাজ করবে।


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অগাধ বিশ্বাসের কারণেই তাঁকে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছে। নইলে আজকের বাংলাদেশ হয়তো আরো ভিন্ন হতে পারত।


বর্তমান জনগণ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার হৃদয়ে নিশ্চয়ই তার বাবার অগাধ বিশ্বাসের ফলাফলটি গাঁথা আছে। কারণ বাংলার জনগণ এখন তাঁকে বাতিঘর হিসেবে জানে ও মানে। কাজেই তিনি এখন অমূল্য সম্পদ। কাজেই তিনি সবসময় জনগণের মধ্যমণি হয়ে বেঁচে থাকবেন, বাংলার জনগণ সেটাই প্রত্যাশা করে।


লেখক : সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com