শিরোনাম
খবরদারী এবং অস্ত্রের বাজার দুই-ই পাওয়া যাবে!
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:২৮
খবরদারী এবং অস্ত্রের বাজার দুই-ই পাওয়া যাবে!
হায়দার মোহাম্মাদ জিতু
প্রিন্ট অ-অ+

শুনেছি অন্ধকারে নাকি নিজের ছায়াটার দেখাও মিলে না। সেখানে এতো অগণিত অন্ধকারের মধ্য দিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যেভাবে সংযম এবং সাহস নিয়ে পথ চলছেন সেজন্যে তিনি সত্যিই বাহাবা পাবার দাবিদার।


সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলা নিয়ে দেশে এবং বিদেশে হয়তো ইতোমধ্যেই বেশ কানাঘুষা শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ এমন কোনো রাষ্ট্র নয় যে আপনারা চাইলেই একে নিয়ে কোনো প্রকারের ইঁদুর বিড়াল খেলা খেলতে পারবেন। কেননা দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান এখনো শেখ হাসিনা।


নিজেকে বিশ্বমোড়ল ভাবা যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছুদিন পূর্বে হোটেল হলি আর্টিজেন নিয়ে বেশ তোলপাড় করা উদ্বিগ্নতা দেখিয়েছেন এবং আমরা সেটা দেখেছিও বটে। কিন্তু অপ্রিয় সত্য হল নিজের ঘর না সামলিয়ে পরের দিকেই যেন তাদের বেশি নজর।


প্রাপ্ত তথ্যপুঞ্জিকা বলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৬ জন মানুষ খুন হন এবং এফবিআই 'এর তথ্যমতে তার প্রায় ৬৫ ভাগ হত্যাকাণ্ডেরই কোনো সুরাহা হয় না। এরপরও তারাই যদি আবার আমাদের নিয়ে কথা বলেন সেক্ষেত্রে সেটা সত্যিই অবাক করার মত।


কৌশলগত কারণ এবং নিজেদের কারিশমা দুই দিক দিয়েই বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারে যুক্তরাষ্ট্র এখন এমন একটি সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র খুঁজছেন যা একই সাথে ভৌগলিক এবং সম্পদগত দিক থেকে সমৃদ্ধ। বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের তাদের অন্যতম একটি লক্ষ্য।


আবার নতুন দুই সম্ভাবনা চীন এবং ভারতকে পেছন থেকে টেনে ধরতে পারলে বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র আধিপত্যের বিষয়টিও পরিস্কার হবে। উল্লেখ্য বিশ্ব ইতিহাসের অনেক ক্ষেত্রেই যেগুলোতে পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তা এখন প্রায় বহুলাংশেই ম্রিয়মাণ।


এখন মূল বিষয়টি হল এশিয়া যেভাবে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ তথাকথিত বিশ্ব মোড়লরা ভীষণ চিন্তিত। তাই কোনোভাবে যদি এখানে একটা জঙ্গি-জঙ্গি খেলা চালু করে দেয়া যায়, তবে রথ দেখা এবং কলা বেচা দুটোই একবারে হয়ে যায় ! অর্থাৎ খবরদারী এবং অস্ত্রের বাজার দুই-ই একবারে পাওয়া যাবে।


তাই সম্প্রতি জঙ্গি-জঙ্গি যে খেলা চালু হয়েছে তাতে আঞ্চলিক সহযোগীতার বিকল্প কিছু আছে বলে হয়তো বিশ্লেষকরা মনে করবেন না। আবার বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে ভারতের যেমন সহযোগীতা ছিল বোধ করি এখনো সেটা থাকবে এবং পাশাপাশি যদি আঞ্চলিক নিরাপত্তার খাতিরে চীনকেও পাশে পাওয়া যায়। তবে এই সমস্যা তুড়ি মেরে উড়ানো সম্ভব।


শৈশবে বাবা একটা কথা বলতেন; তুমি যতই ভালো করে পথ চল না কেন তোমার আশপাশের মানুষ যদি ভালো করে চলতে না পারে তবে তুমি দুর্ঘটনায় পতিত হবেই। বাবার দেয়া উদাহরণের সঙ্গে উপরোক্ত প্রসঙ্গের মিল রেখে বলতে চাই আপনার প্রতিবেশী যদি নিরাপদে না থাকেন তবে নিজেকে একবার প্রশ্ন করবেন আপনি কতটা নিরাপদ?


অর্থাৎ, সন্ত্রাস মোকাবেলায় এশিয়ার দেশগুলোকে নিজেদের মাঝে আঞ্চলিক সহযোগীতা আরো বাড়াতে হবে এবং পাশাপাশি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আপনার উচিত আপনার প্রতিবেশীর খোঁজ খবর রাখা।


বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ সমস্যা নিরসনে জননেত্রী শেখ হাসিনার যে কোনো বিকল্প নেই তা বোধ করি তাঁর কৌশলগত অবস্থান এবং সিদ্ধান্তের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন। কাজেই দেশরত্নের প্রতি আস্থা রেখে সম্মিলিত উদ্যোগে দেশ এই জঙ্গিবাদ সমস্যা উতরে যাবে চাওয়া আজ এইটুকুই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ...


লেখক: সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়



বিবার্তা/আকবর/হোসেন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com