শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৬:১৯
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর :  সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
ফাইল ছবি
আমিনুল হক পলাশ
প্রিন্ট অ-অ+

আগামী ৭-১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুল প্রতীক্ষিত ভারত সফর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারত - দুই দেশের জন্যই এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত গিয়েছিলেন। ভারতে তখন ক্ষমতায় ছিলো কংগ্রেস সরকার। ২০১৪ সালে ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে বিজেপি, ১৫তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদী।


তবে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের দুটি সরকারের কাছ থেকেই সহযোগিতামূলক আচরণ নিশ্চিত করতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিঃসন্দেহে এটি আওয়ামী লীগ সরকারের বড় ধরনের কূটনৈতিক সাফল্য।


আসন্ন ভারত সফরের ঠিক পূর্বে গত ১১ মার্চ যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এবং মার্কিন দূতাবাস ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিলো। ২১ মার্চ মাগুরার জনসভায়ও প্রধানমন্ত্রী একই ধরনের বক্তব্য দেন।


প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে এই ধরনের দাবি নিঃসন্দেহে আলোচনার দাবি রাখে। বিবিসির সাবেক সংবাদদাতা সুবীর ভৌমিক তাঁর কলামে এই বিষয়টি চমৎকারভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।


সুবীর ভৌমিকের কলাম থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনার কিছু নীতি পরিবর্তনের পরামর্শ দেন তৎকালীন ভারতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেন দাশ। জবাবে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, দেশ চালানোর ব্যাপারে উনাকে পরামর্শ যেন না দেযা হয়। মূলত এই কারণে ব্রজেন দাশ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরাগভাজন হন এবং ঢাকার তৎকালীন স্টেশন চীফ অমিতাভ মাথুরকে বিএনপির সাথে যোগাযোগ স্থাপনের নির্দেশ দেন। বিএনপির জয়ের পর ব্রজেন দাশ বলেছিলেন, সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখতে নেই। পরবর্তীতে বিজেপির সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বও এ ব্যাপারে ব্রজেন দাশের সমালোচনা করেছিলো।


এ প্রসঙ্গে কিছু কথার বলার প্রয়োজন মনে করছি। ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিলো। ভারতের সাথে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের মূল কারিগর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনোই দেশের স্বার্থের ব্যাপারে ভারতকে ছাড় দেয়নি। ইতিহাসের এর অসংখ্য নজির রয়েছে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই বঙ্গবন্ধু ভারতীয় সৈন্যদের দেশে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই গঙ্গা পানিচুক্তি সম্পন্ন করেন, ভারতকে প্রভাবিত করে পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেন। আন্তর্জাতিক আদালতে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে ভারতের কাছ থেকে সমূদ্রসীমাও জয় করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় মেয়াদের আওয়ামী লীগ সরকার। এমনকি তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্থলসীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে ছিটমহল সমস্যা সমাধানে সক্ষম হয়।


দেশের একটি অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি প্রায়শই আওয়ামী লীগকে ভারত তোষণকারী দল হিসেবে অভিহিত করে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ ভারতের কাছে বিক্রি করে দেবে, ফেনী পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারত দখল করে নেবে ইত্যাদি নানা আজগুবি প্রচারণা চালায়। অথচ আমরা এখন জানতে পারছি যে, ক্ষমতায় আসতে এই বিএনপিই দেশের প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়েছিলো। ২০১৪ বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরপর বিএনপি এমন উদ্বাহু নৃত্য শুরু করেছিলো যেন তাদের তারা নিজেরাই ক্ষমতায় চলে এসেছে। নিজেদের পার্টি অফিসে মিষ্টি বিতরণ করেছিলো, কোনো ধরনের প্রটোকলের তোয়াক্কা না করে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছিলেন। এমনকি এ কথাও প্রচার করা হয়েছিলো যে, বিজেপি নেতা অমিত শাহ নাকি খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন। অথচ এটা ছিলো সর্বৈব মিথ্যা ও বানোয়াট। স্বয়ং অমিত শাহ এই কথা অস্বীকার করেছিলেন। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অন্যান্য কিছু দেশেও রীতিমতো লবিস্ট নিয়োগ করে সরকার তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে বিএনপি। অর্থাৎ এই কথা প্রমাণিত যে, ক্ষমতায় আসার জন্য বিএনপি যা ইচ্ছা তাই করতে পারে, দেশের স্বার্থবিরোধী যেকোনো কাজই তাদের পক্ষে করা সম্ভব। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সর্বদাই দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে। ইতিহাস এর সাক্ষী।


২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির আশার পালে যে হাওয়া লেগেছিলো তা অচিরেই মিলিয়ে যায়। মোদী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ২০১৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ সফরে আসেন এবং পষ্ট জানিয়ে যান, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সাথেই কাজ করতে আগ্রহী বিজেপি সরকার এবং বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ কোনো ব্যাপারেই তাদের কোনো বক্তব্য নেই।


এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় হোটেল লবিতে বসে ছিলেন সুষমা স্বরাজের সাথে দেখা করার জন্য। একটি দেশের দুইবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এহেন আচরণ দেশের ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ণ করে।


২০১৫ সালে ৬-৭ জুন দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দেশের জন্য অত্যন্ত সফল এই সফরে বহুকাঙ্ক্ষিত স্থলচুক্তির যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত হয়েছিলো, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিলো। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, নরেন্দ্র মোদী তাঁর সফরের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কতটা নিরাপদ। নরেন্দ্র মোদী তাঁর বক্তব্যে পরিষ্কারভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর মুগ্ধতার কথা জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১এর ব্যাপারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। সর্বোপরি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সাথেই উন্নয়ন ও সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটনে একসাথে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে গিয়েছিলেন।


নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রায় দু’বছর পর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দু’বার এই সফরের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে সর্বোচ্চ সুবিধাজনক সময়ে সফরটি অনুষ্ঠিত করার জন্য। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিশ্বের খুব কম রাষ্ট্রনায়কই এই সম্মান পান। এ থেকেই বুঝা যাচ্ছে, ভারত সরকার এই সফরকে কতটুকু গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।


বাংলাদেশের জন্যও এই সফরের কূটনৈতিক তাৎপর্য অপরিসীম। এই সফরেই হয়তো বহুকাঙ্ক্ষিত তিস্তা পানি চুক্তির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এছাড়া অর্থনৈতিক উন্নতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও চুক্তি সম্পাদিত হবার ব্যাপারে আশাবাদী আমরা।


ভারতের রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদী বর্তমানে এক অপরাজেয় শক্তি। উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনই এর বড় প্রমাণ। কোনো মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী না দিয়েও নরেন্দ্র মোদী একক কারিশমায় বিজেপিকে উত্তর প্রদেশে শাসনক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন। ভোটাররা মোদীর উপর ভরসা করেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, যেমনটা দিয়েছিলো ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। অথচ নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে ভারতের অর্থনীতি কিছুটা হলেও টালমাটাল অবস্থায় পড়েছিলো, বিরোধী দলগুলো মোদীর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে প্রতিবাদে নেমেছিলো। কিন্তু কিছুই নরেন্দ্র মোদীর জয়রথে বাধা হতে পারেনি।


এই ব্যাপারটিও আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা, মূলত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরোধিতার কারণেই এখন পর্যন্ত তিস্তা পানি চুক্তি সম্পাদিত হয়নি। উত্তরপ্রদেশ বিজয়ের ফলে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতা আরও সুসংহত হয়েছে। এখন মমতা ব্যানার্জীর বিরোধিতার সুযোগ অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। লোকসভায় কোনো বিল পাসের জন্য এখন আর নরেন্দ্র মোদীকে কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না। এটা তিস্তা পানি চুক্তির ব্যাপারে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।


ভারতের সফরের অব্যবহিত পূর্বে ভারতের গোয়েন্দার সংস্থার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন তারও কূটনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। মনে রাখতে হবে, ডিপ্লোম্যাটিক টেবিলের আলোচনায় আবেগের কোনো স্থান নেই। এখানে সবাই আপারহ্যান্ড হতে চায়। সবাই নিজের দেশের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধাটুকু আদায় করে নিতে চায়। তাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও ভারতের প্রতি একটি বার্তা দিয়ে রাখলেন যে, আমরা সব জেনেও সহযোগিতামূলক আচরণ করে যাচ্ছি, এবার তোমাদের পালা।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্বের অন্যতম অভিজ্ঞ ও দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ১৯৮১ সালে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিরলসভাবে এদেশ এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই দু’বার প্রধানমন্ত্রী এবং দু’বার বিরোধীদলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় কখনোই দেশের স্বার্থে আপস করেননি। ঘাতকের বুলেট, গ্রেনেড তাঁকে তাড়া করেছে, কিন্তু লক্ষ্য থেকে বিচ্যূত করতে পারেনি।


বর্তমানে তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্বেরই একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, যিনি সর্বদাই সত্যভাষণে উচ্চকিত। তাই তো জাতিসংঘের সম্মেলনে দাঁড়িয়ে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে কথা বলেন তিনি। বিশ্বব্যাংক যখন বাংলাদেশকে কালিমালিপ্ত করতে চায় তখনো ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে যান তিনি, নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করে বুঝিয়ে দেন আমরা এখন আর বটমলেস বাস্কেট নই। পরাশক্তি না হতে পারি, কিন্তু মাথা উঁচু করে বাঁচার সামর্থ্য আমাদের আছে।


বিশ্বরাজনীতিতে বাংলাদেশ এখন সমীহজাগানো একটি নাম। শুধু ভারতই নয়, বরং বিশ্বের অন্যতম দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও চীনের সাথেও আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের সদর্প বিচরণ। দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। আর এসব অর্জনের মূল কৃতিত্বই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আমাদের অধিকাংশ অর্জনই তাঁর হাত ধরে এসেছে। শেখ হাসিনার ধমনীতে যে জাতির পিতার রক্ত প্রবাহমান, এই রক্ত দেশবাসীকে হতাশ করেনি কখনোই।


৫৫ হাজার বর্গমাইলের ছোট্ট এই দেশে ১৭ কোটি মানুষের বসবাস। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য নেই। সম্পর্ণ নিজেদের চেষ্টায় আমরা এতোদূর এসেছি। কিন্তু উন্নত দেশ হবার যে স্বপ্ন আমরা দেখি তা বাস্তবায়ন করতে গেলে বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের বিকল্প নেই। গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে বসবাসের সুযোগ নেই।


আমাদের সম্ভাবনার খাতগুলো হলো জনশক্তি, ট্যুরিজম, বিশাল সমুদ্রসীমা (গভীর সমুদ্রবন্দর)। এই প্রতিটি খাত থেকে সর্বোচ্চ সুফল লাভের জন্য বিশ্বের নানা দেশের সাথে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আমাদের সীমান্ত নিশ্ছিদ্র থাকবে, প্রতিবেশী ভারতের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের পালে বিশ্বাস ও আস্থার হাওয়া যুগিয়েছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের মধ্য দিয়ে তা নতুন উচ্চতায় উঠবে বলেই আমার বিশ্বাস।


লেখক : সাবেক ছাত্রনেতা


বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com