শিরোনাম
বাংলার গর্ব হয়ে থেকো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০১৭, ১৬:০৩
বাংলার গর্ব হয়ে থেকো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
মোল্যা আনিস
প্রিন্ট অ-অ+

রাজনীতি শব্দটা যদিও উপমহাদেশের অনেক মানুষের চোখে কাঁচালঙ্কার মতন, কিন্তু এটাও অনস্বীকার্য যে, এই লঙ্কা ছাড়া একবেলার আহার্যও তাদের জন্য অকল্পনীয়। কিছু লোক আবার সবজির মতো এই লঙ্কাকে চিবিয়ে না খেলে খাবারকে খাবার মনে করতে পারে না। একদিকে ঝালে চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে অন্যদিকে সবুজ এই খুদে বোম্বে হজম করে যাচ্ছে একটার পর একটা। এই লোকগুলোকে জনগণ রাজনীতিবিদ বলে জানে।


ছোটবেলা থেকে চোখে নোনাধারা আনা এই বস্তুটা আমার জিভে জল আনে। আনবেই না কেন? জন্মসূত্রে আমি বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার এলাকার, যারা কিনা মরিচ তো মরিচ উপমহাদেশীয় সকল বিষ হজম করার ক্ষমতা রাখেন।


যাক সে কথা, রাজনীতির কথা বলতে গেলে ছাত্ররাজনীতি আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাত্রসংগঠনের নাম না নিলেই নয়। নামটা বাংলার প্রতিটা ধূলিকণার জানা। রাজপথের প্রতিটি লড়াই-সংগ্রাম ও দাবি আদায়ের জ্বলন্ত সাক্ষী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। নামটা নিতে গেলেও বারবার শ্রদ্ধায় মাথা অবনত আর গর্বে ছাতি উঁচু হয়ে যায়।


আমি কিছুকাল এই প্রিয় সংগঠনের একজন সক্রিয় কর্মী হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। সমাজের কাছে হয়তো সময়টা অনেক দীর্ঘ কিন্তু আমার কাছে ছাত্রলীগের সাথে অনন্তকাল থাকতে পারাটাও যথেষ্ট না। এটা যদি অতি লোভ হয় তবে আমি লোভী হিসেবেও গর্বিত। কারণ, ছাত্রলীগ শুধু রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটা রাজনীতির ইতিহাস রচয়িতা বঙ্গবন্ধুর হাতের মহাশক্তিধর কলম। যে কলমের শক্তিতে তিনি শুধু বাংলা না বরং উপমহাদেশীয় রাজনীতির নকশা নিয়মেই আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন। এটা সেই কলম যার ধার বলে তরুণ মুজিব উপমহাদেশের অন্যতম সেরা নেতা এবং নীতিনির্ধারক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে দ্বিমত ব্যক্ত করে বলতে পেরেছিলেন "You have no right to insult me. I will prove that I am somebody"। এটাই সেই শক্তি যার বলে জোতদার জমিদারদের টাকায় বাধা পড়া মুসলিম লীগের রাজনীতি থেকে দেশ ও মানুষকে মুক্তি দিয়ে জনগণবান্ধব রাজনীতি সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন।


একজন ছাত্রনেতার হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যে সংগঠনটি পৃথিবীর বুকে রচনা করেছে একটা স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একে অন্যের প্রতিশব্দ। আর বঙ্গবন্ধুর প্রতি কারো যদি তাঁর পরিবারের থেকেও বেশি দাবি থাকে সেটা ছাত্রলীগের। তাইতো বলা হয়, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস’। তিনি এসেছিলেন তাই বাংলাদেশ এসেছে। আর বলতে দ্বিধা নেই বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যদিও সেই রামও নেই, আর নেই অযোধ্যারও নিয়ম-কানুন। রীতিনীতি অনেক পরিবর্তিত কিন্তু তারপরেও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ পরিবার ছাত্রলীগকে সর্বদা সন্তান স্নেহে আগলে রাখেন।


এত অবদান আর গৌরবময় অতীতের পরও বারবার ছাত্রলীগের গায়ে কলঙ্কের দাগ লাগে কিছু লোকের কোটারি করার চেষ্টার কারণে, সামান্য কিছু স্বার্থপর লোকের চক্রান্তের কারণে। এরা কোটারি করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে ছাত্রলীগের পবিত্রতা নস্যাৎ করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় এর বিরুদ্ধে চরম সংগ্রাম করেছেন।


প্রাণের সংগঠনের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই চাওয়া, কেউ যেন ব্যবসায়ীক স্বার্থে ব্যাবহার করে সংগঠনের পবিত্রতা নষ্ট করতে না পারে। আর ছাত্রলীগের সন্তানেরা যেন কোটারির শিকার হয়ে বেওয়ারিশে পরিণত না হয়।


চিরকাল বাংলার গর্ব হয়ে থেকো প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।


লেখক : সাবেক ছাত্রনেতা


বিবার্তা/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com