শিরোনাম
বঙ্গবন্ধু ও আমাদের পরিবার
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:০৮
বঙ্গবন্ধু ও আমাদের পরিবার
মোহাম্মাদ নাহিদ
প্রিন্ট অ-অ+

‘একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তা-ই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি ও অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’


-জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান


ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মাদ বখতিয়ার খিলজির আমল থেকে বাংলার মানুষ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্যে কিভাবে আত্মদান করেছে তার সকল ঘটনা এবং নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ একটি যুগান্তকারী ঘটনা। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ নামক দেশটি জন্ম নিয়েছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পর পাকিস্তানের দমননীতি এদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ সুদৃষ্টিতে নেয়নি। মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক এবং শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিবাদস্বরূপ আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করেন। পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালিরা নতুন মানচিত্রের স্বপ্ন দেখে।


বাঙালিদের প্রাথমিক দাবি ছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন। পরবর্তীতে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা সীমা অতিক্রম করলে তা স্বাধীনতার আন্দোলনে রুপ নেয়। নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়।


১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ গণসমাবেশ ছিল সেটি। মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সব স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য এটাই ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ।


বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে শহীদ হয় ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণ। তাদের রক্তে বাংলার শ্যামল ভূমি পরিণত হয় রক্তাক্ত উপত্যকায়। আমার দুই চাচা আব্দুল গনি ও আব্দুস সামাদও সেই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন।


জাতি একটি স্বাধীন দেশ পায়, লাল সবুজের পতাকা বাতাসে দোল খায়, আজকের শিশু অবাক বিস্ময়ে তাকায়। সে জানে না এর ইতিহাস। সেই ইতিহাসের একজন ক্ষুদে নায়ক আমার অগ্রজ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম।


বৃহত্তর ময়মনসিংহের একটি জেলা টাঙ্গাইল। টাঙ্গাইলের অবহেলিত থানা কালিহাতি। কালিহাতি থানার পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে যায় যমুনা নদী। এই নদীর তীর বেয়ে আধুনিকতার ছোঁয়া না লাগা একটি গ্রাম। বঙ্গবন্ধু সেতুর বড় রাস্তাটি এই গ্রামের উপর দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৬ টি জেলায় পৌঁছালেও এর গুণগত পরিবর্তন হয়নি। কাদামাটির সাথে খেলা করা গ্রামবাসীর নিত্যসঙ্গী।


আজ থেকে ৫৯ বছর আগে ১৯৫৬ সালের ৫ জুলাই এ গাঁয়ে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে শিশুর। বাবা আব্দুল আজিজ ও মা নছিরন নেসার স্নেহে বেড়ে ওঠে শিশুটি। শৈশবে মায়ের আঁচল, ঘাসফড়িংয়ের পিছু ছোটাছুটি করে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয় তার। দাদা বাহাজ উদ্দিন আদর করে নাম রাখে নজরুল। ছোট বেলা থেকে দৃঢ়চেতা, বুদ্ধিদীপ্ত ও কৌতুহলী নজরুল ছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা।


১৯৭১ সালে পলশিয়া রানী দিনমনি উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীতে পদার্পণ করে নজরুল। এদিকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে স্বাধিকার আন্দোলন। রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল, অসহযোগ আন্দোলন পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর শোষণ নিপীড়ন তার অবচেতন মনে দাগ কাটে।


৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর তার অভাবনীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এদিকে দুই চাচার সাথে রেসকোর্স ময়দানে না যেতে পারায় তার অনেক মন খারাপ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে ফেরত আসেন দুই চাচা। চাচাদের কাছে মিছিল মিটিংয়ের কথা শুনে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন নজরুল।


১৯৭১ সালের ২০ শে মার্চ দুপুর ২টায় এলাকার ছাত্র-যুবকরা নজরুলদের বাড়ির বৈঠকখানায় জরুরি সভা করে। সেই সভায় সভাপতিত্ব করেন নজরুলের বাবা আব্দুল আজিজ। তিনি ছিলেন ইউপি সদস্য। তার নেতৃতে এলাকার ছাত্র-যুবকদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ৪৫ সদস্যবিশিষ্ট গোহালিয়াবাড়ী সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। কমিটিতে সভাপতি নিযুক্ত হন নজরুলের চাচা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র আব্দুর রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন সাদত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অধ্যয়নরত শহিদুজ্জামান।


১৯৭১ সালের জুন মাসের কোনো এক শুক্রবার ছিল আমাদের ওখানে সাপ্তাহিক হাটবার। হঠাৎ কে এক জন নজরুলের খোঁজ করলে মা কৌতূহলী হন। কিছুদিন যাবত বড়দের সাথে ফিসফিসানি, স্বাধীন বাংলা বেতারে কান পেতে থাকা, রাত করে ঘরে ফেরা ইত্যাদি লক্ষ্য করেছেন তিনি। মা তাকে খুঁজতে পড়ার ঘরে যান। বই খাতা কলম সবই আছে, শুধু নজরুল নেই। মা বাড়ির সদর রাস্তা পর্যন্ত আসেন, পাশের বাড়ির বন্ধুদের নিকট খোঁজ নিয়ে পান না।


এভাবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়। উদ্বিগ্ন মা অপেক্ষা করতে থাকেন। গভীর রাতে সংবাদ পান, নজরুল মুক্তিযোদ্ধাদের কাফেলায় যোগ দিয়েছে। চাচা আব্দুল গনি, আব্দুস সামাদ, আবু তালেবসহ গ্রামের আরও ১০ জন যুবক নিয়ে মোট ৫২ জনের দল।


দলটি নৌকাযোগে ধলেশ্বরীর তীর বেয়ে চলে যায় ভারতের মাইনকার চর এলাকায়। সেখান থেকে মেঘালয় তুরা পাহাড়ে ট্রেনিং সমাপ্ত করে মুক্তিযুদ্ধের ১১নং সেক্টরে কোম্পানি কমান্ডার জয়নাল আবেদিনের অধীনে যোগ দেন নজরুল। এখান থেকে চাচারা আলাদা হয়ে যান। তাদের বিদায় মুহূর্তে বয়সে সর্বকনিষ্ঠ নজরুল আবেগে আপ্লুত হয়ে চাচাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠেন কিন্তু পরক্ষণেই সামলে নেন।


কমান্ডার জয়নাল আবেদিনের নেতৃত্বে তাদের দলটি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার সুটাইন এলাকার দিকে রওনা হয়। নাগরপুর তখনও পাক হানাদারমুক্ত হয়নি। গয়হাঁটা ইউনিয়নের বন গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের দলটি আস্তানা গড়ে।


২১শে অক্টোবর, ১৯৭১ ইতিহাসে দিনটি কিভাবে লেখা হবে আমার জানা নাই। কমান্ডার জয়নাল আবেদিনের বাড়ী নাগরপুরে বলে তাকে দায়িত্ব দেন ক্যাম্প ইন চার্জ হুমায়ুন খালিদ। ২০শে অক্টোবর কমান্ডার জয়নাল আবেদিনের নেতৃত্বে দলটি পাক হানাদারদের একটি আস্তানায় আক্রমণ চালায় এবং যুদ্ধে জয়লাভ করে। ওই যুদ্ধ সম্পর্কে কমান্ডার জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘আমরা বনগ্রামেই অবস্থান করছিলাম। প্রথম যুদ্ধে জয়লাভের পর মেজাজ ছিল ভাল। কেউ কেউ অস্ত্র পরিষ্কার করে, কেউ কেউ গোসল করে খেতে বসছে। এ সময় খবর পেলাম, রাজাকারদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকালের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানি বাহিনী আমাদেরকে আক্রমণ করতে ছুটে আসছে। খবর পেয়ে আমরা বিলের পশ্চিম প্রান্তে অপেক্ষা করতে থাকি। কিছুক্ষণ পর পাক বাহিনী গয়হাটার পশ্চিমের নদী পার হয়ে বিলের কাছাকাছি উপস্থিত হয়। পেছন দিক থেকে গ্রামের লোকজন জয়বাংলা ধ্বনি দিতে থাকে। আমরা তাদের নিষেধ করি। কেননা শত্রু আমাদের অবস্থান জেনে যেতে পারে। এক ঘণ্টার বেশি সময় যুদ্ধ চলে। আমাদের প্রতিটি যোদ্ধা জয়ের নেশায় যুদ্ধ করছিল। কিছুক্ষন নীরবতা। হানাদার বাহিনীর কিছুসংখ্যক সৈন্য আস্তে আস্তে উত্তর দিকে চলে যায় সেটা আমরা বুঝতে পারিনি। কারণ, বিলের পূর্বপ্রান্তে পাটক্ষেত ও ঘরবাড়ি থাকায় হানাদারদের মুভমেন্ট আমরা টের পাইনি। এটাই ছিল আমার ভুল। তারা সংখায় ছিল আমাদের থেকে বেশি। কিছুক্ষণ পর উত্তর দিক থেকে গুলি আসতে থাকে। তাকিয়ে দেখলাম, আমরা তিন দিক থেকে অবরুদ্ধ, শুধু দক্ষিণ দিকটা আমাদের জন্য খোলা। উপায় না দেখে পিছন দিকে সরে যেতে বাধ্য হই। আমাদের পেছনে ছিল পানি আর আমন ধানের ক্ষেত। আমরা কেউ কেউ আমন ধান ক্ষেতে অবস্থান নিই। কেউ কেউ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। তারপর কয়েক প্লাটুন পাক সেনা এসে বনগ্রামের ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। হালাকু খানের বাগদাদ আক্রমণকেও হার মানায় এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। অতিকাছে ওঁৎ পেতে থাকা এক পাক সৈন্যের গুলি এসে নজরুলের বাম পাঁজরে বিদ্ধ হয়। জয়বাংলা বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে নজরুল। সহযোদ্ধা আব্দুর রশিদ তাকে কাঁধে করে পাশের বাড়িতে নিয়ে যায়। পানি খেতে চায়। যুদ্ধ শেষ করতে পারল না বলে আফসোস করে। মাকে দেখতে চায় এবং অধিক রক্তক্ষরণে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।



এই যুদ্ধে নজরুলসহ আরও দু’জন সহযোদ্ধা শহীদ হন। নজরুল ছিল ফর্সা, টকটকে চেহারার ১৪/১৫ বছরের কিশোর। সে সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে শহীদ হয়। তার রক্ত ছুঁয়ে শপথ করে সহযোদ্ধারা বীর বেশে বাড়ি ফিরে আসে। শুধু ফিরে না নজরুল। আসে নজরুলের গুলিবিদ্ধ শার্ট, রক্ত মাখা প্যান্ট। সেগুলো ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।


নাগরপুরের সুটাইনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামকে সমাহিত করা হয়। ইতিহাসের অন্তরালে থেকে যায় এরকম হাজারো নজরুল। ছেলের মৃত্যুসংবাদ পাবার পর আমার মা শহীদ জননী নছিরন নেছা ছয় মাস পাগল হয়ে ছিলেন। কাউকেই চিনতে পারেননি। ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন রোডে অবস্থিত হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এখনও মাঝেমাঝে রাতে ঘুম থেকে হঠাৎ উঠে নজরুল বলে কেঁদে ওঠেন।


নজরুল বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে কনিষ্ঠ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম। টাঙ্গাইল জেলা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্তম্ভে তার নাম ৮ নম্বরে রয়েছে। যেটি টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার অফিসের সামনে অবস্থিত। এলাকায় তার নামে ‘শহীদ নজরুল পাঠাগার’, ‘শহীদ নজরুল সড়ক’ নামকরণ করা হয়েছে।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী, তখন গণভবন থেকে আমার পরিবারকে কয়েকটি চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন,-চিঠি নম্বর (৪৯) “জনাব-/ আপনার পরিবারের মোহাম্মাদ নজরুল ইসলাম পিতা আব্দুল আজিজ মিয়া, গ্রাম গোহালিয়া বাড়ী, থানা কালিহাতি, জেলা টাঙ্গাইল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে ত্যাগ , তিতিক্ষা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন সেটা বৃথা যায়নি। তাদের রক্তের বিনিময়ে দেশ হয়েছে স্বাধীন। তাই দেশ আজ তাদের জন্য গর্বিত। বাংলাদেশ সরকার, জনগণ ও আমার নিজের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং আপনার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি আমার আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভুতি। শুভেচ্ছা রইলো আপনাদের (স্বাক্ষর শেখ মুজিব) শেখ মুজিবুর রহমান।”


বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার পরিবারের মিল যেমন , গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত সমাজ, সামাজিক ন্যায়বিচার, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষের স্ব স্ব ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার, বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি ও তাঁর পরিবার যেমন জীবন দিয়েছেন তেমনি আমার ভাই স্বাধীন রাষ্ট্র সৃষ্টিতে জীবন উৎসর্গ করেছেন।


পরিবার হারানোর বেদনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন বুঝেন, তেমনি ছেলে হারানোর বেদনা আমার পরিবার বুঝে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতায় আজোও আমরা পুরোপুরি গর্বিত নই। সেদিন গর্ববোধ করবো, যেদিন এদেশে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবে। শান্তি পাবে সন্তানহারা মায়ের মন ও লাখো শহীদের বিদেহী আত্মা।


লেখক : শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের ভাই


বিবার্তা/মৌসুমী/হুমায়ুন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com