শিরোনাম
স্বাধীন-ভূখণ্ড ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২১, ১৩:৪৯
স্বাধীন-ভূখণ্ড ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দীন মিতুল
প্রিন্ট অ-অ+

সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ জনপদের রাজনৈতিক ইতিহাসের আদি পর্ব এখনও কুয়াশাচ্ছন্ন। বাঙালি সমাজ ও জাতি গঠনে কৌম্য, উপজাতি ও গোত্রীয় সমাজের অনেকেই কিছু কিছু অবদান রেখেছেন সত্যি তবে মোটা দাগে কোনো দলপতি, রাজা বা সম্রাটকে বাঙালি জাতি-রাষ্ট্র গঠনে একচ্ছত্র ও অবিসংবাদি নেতা বলা যায় না। বঙ্গবন্ধুই ‘হাজার বছরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ কারণ একমাত্র তিনিই আমাদের একটি জাতি-রাষ্ট্র ও ভূখণ্ড উপহার দিয়েছেন।


পরাধীন থেকেছে এ জাতি হাজার বছর। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙ্গার চেষ্টাও মাঝেমধ্যে হয়েছে। কিন্তু পরিপূর্ণতা পায়নি। ফকির-সন্ন্যাসীদের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ, ফরায়েজি মতবাদ ও হাজী শরিয়ত উল্লাহর সংস্কার নিয়ে মাঝে মধ্যে আন্দোলন দেখা দিলেও নতুন ভূ-খণ্ড সৃষ্টি কিংবা স্বাধীন-রাষ্ট্র গঠনের মত বিদ্রোহ তখন দানা বাঁধতে দেয়নি ব্রিটিশরা। কঠোর হাতে তারা বিদ্রোহ দমন করে। ব্রিটিশরা ভারত ছাড়ার পর ‘বাংলাদেশ’ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্য কেউ করেননি। বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে চিনতে পারলেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের ইতিহাস জানা যাবে।


জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, এটি জাগ্রত করতে একটি নরগোষ্ঠির জাতীয়তাবোধ সৃষ্টিকারি নানান উপকরণ যেমন- ভাষা, সাহিত্য, কলা, নাচ, গান, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদি অর্থাৎ নিজস্ব সংস্কৃতি স্বাধীনভাবে উপস্থাপনার একটি ক্ষেত্র দরকার পড়ে। পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ জাতি কখনও এগুলো যথাযথভাবে পালন করতে পারে না। তাদের চিন্তা-চেতনা বিকশিত হয় না। নিজ ভূমিতে নিজস্ব সংস্কৃতি স্বাধীনভাবে উপস্থাপনার মাধ্যমে ধীরে ধীরে একটি নরগোষ্ঠির আত্ম-পরিচয় গড়ে উঠে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠে যা ধীরে ধীরে সুদৃঢ় হয় এবং একটি আত্মমর্যাদাপূর্ণ জাতিগোষ্ঠিতে রূপান্তরিত হয়।


আমরা যদি প্রাচীন বাংলার ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলেই দেখতে পাব যে, বাঙালি নরগোষ্ঠি দ্রাবিড় ও আর্যদের ধারাবাহিকতায় হাজার হাজার বছর ধরে এই বঙ্গে বসবাস করলেও এদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের কোনও চিন্তা-চেতনার উম্মেষ ঘটেনি। নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ভারতবর্ষে ১৯শতকের দিকে ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে জাতীয়তাবাদের চিন্তাধারার অনুপ্রবেশ ঘটে। এটি ‘ভারতীয় জাতীয়তাবাদ’ নামে পরিচিতি পায়।ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, ভূ-ভারতে শত মনিষীর শত ভাষা ও সংস্কৃতি থাকা সত্ত্বেও কোনো একক ব্যক্তি কিংবা কোনো একক অঙ্গরাজ্য স্বাধীন জাতীয়তাবাদের কথা কল্পনা করতে পারেনি।


উদাহরণ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের কথাই ধরা যাক। বাঙালির সংস্কৃতি বিকাশে এই দু’জন নবজাগরণের উদ্ভব ঘটিয়েছিলেন সত্যি তবে আলাদা কোনও জাতীয়তাবাদের চিন্তা কিংবা পৃথক বাঙালি জাতিসত্ত্বা গঠনের কোনও চিন্তা তাঁরা করেননি। আরেকটু খোলাসা করে বলা যায় যে, দু’জনই বাংলাকে নিজের জন্মভূমি ও ভারতবর্ষকে নিজের দেশ মনে করতেন। আর জাতীয়তার ক্ষেত্রে বিশ্বাস করতেন ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে। তবে হ্যাঁ। এ’দুজনের সাহিত্য-কবিতা-গান ও অন্যান্য সকল কাজের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ গড়ে ওঠার চমৎকার ও শক্তিশালী একটি প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। মধুসূদন-বঙ্কিমের হাত ধরে যা পায় আধুনিকতার ছোঁয়া। পরবর্তীতে অবনীনন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ, নন্দলাল বসু, বিনোদবিহারী, রামকিঙ্কর, যামিনী রায় থেকে জয়নুল আবেদিন-কামরুল হাসান প্রমুখ এই জাতির একটি স্বাতন্ত্র্য চিত্রকলা দাঁড় করিয়ে দেন। এসবই ছিল বাঙালি জাতীয়তাবোধের আত্মিক বহিঃপ্রকাশ।


বাঙালির জাতীয়তাবাদকে ত্বরান্বিত করতে অন্যতম টনিক হয়ে আসে সংগীত। অনন্য ভুমিকা রাখেন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন, আব্বাস আলীসহ এ বঙ্গের অনেকে। এদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মারফতি, জারি-সারি, পুথি, ভাওইয়া, পল্লিগীতি, ভাটিয়ালি, বাউল ও কীর্তনের নামে বাঙালি সংস্কৃতিতে সন্নিবেশ ঘটতে থাকে অসংখ্য সঙ্গীতের, যা একটি আলাদা জাতিসত্ত্বা তৈরির পথকে অনেকটা মসৃণ করে দেয়। পুষ্ট হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রসমূহ। অবশেষে e½eÜzই ‘হাজার বছরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ যার হাত ধরে বাঙ্গালী পায় একটি জাতি-রাষ্ট্র ও স্বাধীন ভূখণ্ড।


বঙ্গবন্ধু সবসময় চেয়েছিলেন পশ্চিমা জাতীয়তাবাদের আদলেই হবে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, যার মূলভিত্তি হবে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। তাই তিনি ভারতবর্ষ বিভাজনের পর নিজেকে রাজনৈতিক পরিমন্ডলের মধ্যেই শুধু সীমিত রাখেননি। নিজের সকল সম্ভাবনাকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাঝেও ছড়িয়ে দেন। নিজের বিস্তৃতি ঘটিয়ে সংস্কৃতি বিকাশের ধারা অব্যহত রাখেন। শুরুতে মনোযোগ দেন বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দিকে। তিনি জানতেন, একটি স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্রকেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদ গড়ে তুলতে হলে সবার আগে দরকার একটি সেকুল্যার জাতিসত্ত্বা। কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। কারণ, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পের নামে তখন কেবলমাত্র পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে। ওই সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পথে হাঁটা ছিল প্রায় অসম্ভব।


একটু পিছনে ফিরে দেখলেই বিষয়টি আরো পরিস্কার হবে। উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলোর দানা বাঁধা শুরু মূলত ভারত বিভাজনের পর থেকেই। এর পূর্বে ১৯৪৬ সালের আগস্ট মাসে কোলকাতায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অনেকের নিহত হওয়া বাংলা ভাষাভাষীদের মনে ক্ষত সৃষ্টি করে। এই একটি ঘটনা ভারত ভাগকে ত্বরান্বিত করে এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদের গৌরবোজ্জ্বল ভুমিকার মুখে কালিমা লেপন করে। উস্কে দেয় ধর্মীয় উগ্রতা। ১৯৪৬ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় যত মানুষ নিহত হয়েছিল, ১৯৪৭-এ ভারত ভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে তার চেয়ে কয়েকশ’ গুণ বেশী মানুষ নিহত হয়েছিল।


এসময় সাম্প্রদায়িকতাকে রাষ্ট্রীয় একটি নীতির পর্যায়ে নিয়ে পাকিস্তানী শাসকরা বাঙালি মুসলমানদের ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বিবেচনা করে তাদের প্রতি নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণ করে। পুরো ঘটনাটি বঙ্গবন্ধুর হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আঘাত লাগে তার আদর্শ ও মানবিক মূল্যবোধে। কালবিলম্ব না করে তিনি বাঙালির জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির প্রত্যয়ে কাজ শুরু করেন। প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান রাষ্ট্রভাবনা বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনায় ছিল না। তিনি সংগ্রাম শুরু করেন পূর্ব বাংলা নিয়ে আলাদা একটি জাতি-রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে।


তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, সুঠাম দেহ আর পর্বতসম ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের আধিপত্যবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক আদর্শে স্থির এবং অবিচল রেখেছে। সাহস করে তাই তিনি যখন আওয়ামী মুসলিম লীগের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেন, সর্বস্তরের মানুষ তা সহজে গ্রহণ করে। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু পুরো দলটিকে সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতা থেকে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় রূপ দেন। এর ফলও সুদূর-প্রসারী হয়। একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাধারণ জনতা নেতৃত্ব তুলে দেয় বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের হাতে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বাঙালী অর্জন করে বিজয়। এই বিজয়ের অন্যতম কারণ ছিল যুদ্ধে সকল সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ প্রানান্তর সংগ্রাম।


হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার উম্মেষ মূলতঃ তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকেই। পারিবারিক শিক্ষা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তাছাড়া একাডেমিক শিক্ষা ও রাজনীতির শিক্ষাতো রয়েছেই। মানুষের খুব কাছাকাছি অবস্থান ছিল বঙ্গবন্ধুর। ইংরেজ শাসন তাঁকে বুঝিয়ে দিলো হাজার বছর ধরে বাঙালি কিভাবে নিষ্পেষিত, নিপীড়িত ও শোষিত হচ্ছে। তিনি ভাল করেই জানতেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ক্ষেত্র হিসেবে রাজনীতির মাঠ ছাড়া বিকল্প নাই। একদিকে ঔপনিবেশিক শাসন, অর্থনৈতিক শোষণ ও সাধারণ মানুষের অধিকারহীনতা তাঁকে যেমন ব্যথিত করে। অন্যদিকে শোষিত জনগোষ্ঠির মধ্যে নানাবিধ দ্বন্দ-সংঘাত সত্ত্বেও বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি ও ভাবের আদান-প্রদান তাঁকে রাজনীতির আদর্শ ও আগামীর কর্মপন্থা ঠিক করতে আশাবাদী করে তোলে। তিনি হয়ে ওঠেন প্রতিবাদের এক অগ্নি-শিখা।


বাঙালির জীবন-সংগ্রামে জাতীয়তাবাদের অনন্য এক মাইলস্টোন হয়ে আসে ‘৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। দেশ বিভাজনের পরপরই পাকিস্তানি নেতা জিন্নাহ-নাজিমুদ্দিনরা ভাষা-বিতর্ককে উসকে দেন। বাঙ্গালি তরুনরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষার মান রক্ষা করেন। বাংলা ভাষা অর্জনের কারনেই জাতীয়তাবাদ নতুন মাত্রা পায়। এসময় বঙ্গবন্ধু সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে রাজনৈতিক পথে এগিয়ে আসেন। তিনি হৃদয়ে শতভাগ বাঙালি মুল্যবোধ ধারণ করেন এবং রাজনীতিতে সেই মুল্যবোধকে সুদৃঢ় করেন।


প্রমাণ হিসেবে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের কথা বলা যেতে পারে। প্রাচীন কাল থেকে ফসল উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত বাঙালীরা চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ পালন করে আসছে। ভাষা আন্দোলন প্রাক্কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সাংস্কৃতিক কর্মী বাঙালির একটি নিজস্ব নববর্ষ তৈরির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলা সালের পহেলা দিনটিকেই বেছে নেন। তাদের সে সিদ্ধান্তে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি। বঙ্গবন্ধু বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেন। তিনি শুধু ঐসব বাঙালি স্কৃতিক কর্মীদের নিরাপত্তাই দেননি, নেতৃত্বও দেন। ভাষা অর্জনের পর তাই নরবর্ষ উদযাপন নতুন মাত্রা পায়। এর মধ্যে কোনো রাজনীতি ছিলো না। ছিল প্রগাঢ় বাঙালি জাতীয়তাবোধ।


পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠি বাঙালি সংস্কৃতির জাগরণকে সহজভাবে মেনে নেননি। তাই তৎকালিন পাকিস্তানী সামরিক শাসকেরা পুরো রাষ্ট্র যন্ত্রকে ওই সব তরুন সাংস্কৃতিক কর্মীদের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেন। কারণ তারা জানতেন সংস্কৃতির রূপান্তরের নামে বাঙালি একটি আলাদা ভূখণ্ড সৃষ্টির কাজে নেমেছে। বঙ্গবন্ধু এসময় অত্যন্ত কৌশলী ভূমিকা পালন করেন। তিনি ওই সব তরুণ সাংস্কৃতিক কর্মীদের কাছ থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব নিজের হাতে নেননি। বরং বটবৃক্ষের ছায়ার মত তাদের আগলে রাখেন।


‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ বাঙালি জাতীয় সংগীত হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত করতে বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতিকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক রক্ত-সমুদ্র। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অনন্য এক উদ্দীপনার হাতিয়ার হয়ে আবেগ সঞ্চার করেছিল ‘জয় বাংলা’ ও ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’। মুক্তিযুদ্ধের অনেক আগে থেকেই জাতীয় সংগীত হিসেবে বঙ্গবন্ধু ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি নির্ধারণ করে রাখেন। এতেই বাঙালি-জাতীয়তাবাদ পূর্ণতা পায়। আর সেই পূর্ণতা এনে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই তিনিই এ স্বাধীন-ভূখণ্ড ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনক।


লেখক,
ডিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ইমেইলঃ [email protected]


বিবার্তা/ইমরান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com