শিরোনাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ৯০ এর দশকে ছাত্ররাজনীতি (প্রথম পর্ব)
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ১৮:১৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ৯০ এর দশকে ছাত্ররাজনীতি (প্রথম পর্ব)
প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দীন মিতুল
প্রিন্ট অ-অ+

শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞকে কোনো একটি সুনিদিষ্ট কর্মকাণ্ড দ্বারা পরিমাপ করা অসম্ভব। স্বাধীনতা-উত্তর করোনা ব্যতীত অসংখ্যবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ থেকেছে শুধু ছাত্র রাজনীতির কারণে। যেহেতু ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাস-পরিবেশের অন্যতম নিয়ামক, তাই লেখাটিতে ৯০ এর দশকে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি।


বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দেয়ার পর বাংলাদেশে বিশ্বাসী নয় এমন এক শ্রেণির সামরিক শাসকের মধ্যে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ গড়ে ওঠে। তারা কুক্ষিগত করে রাখতে চায় এদেশের স্বাধীনতা। এদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার নির্ণায়ক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে বিশাল ফ্যাক্টর। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের দলে ভেড়াতে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় অর্থ, অস্ত্র ও ক্ষমতা। মসনদ পাকাপাকি করতে শুরু হয় নোংরা রাজনীতি।


নিজের স্বার্থে স্বৈরাচারী শাসকগরা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলুষিত করে। লোভ লালসাসহ নানান কৌশল নিয়ে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ ছাত্র-শিক্ষক সমাজকে ব্যবহার করে। ছাত্ররাজনীতিতে আদর্শের বদলে লোভ, ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ বড় বিষয় হয়ে ওঠে। ছাত্রদের অধিকার রক্ষার ইস্যু মুখ্য নয়। মুখ্য হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার করে চাঁদাবাজি, টেণ্ডারবাজিসহ নানা অনিয়ম আর সন্ত্রাস। এই ফাঁদে পা দেয় অনেক মেধাবী। রাতারাতি লাভবান হওয়ার আশায় বিদ্যাপাঠ না চুকিয়ে বেছে নেয় অন্ধকার সন্ত্রাসের পথ। ধ্বংস করে নিজের সোনালী আগামী। কলঙ্কিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা। ঘটতে থাকে একের পর এক খুন-খারাবি। ’৯০ এর দশকের শুরুটা ছিল এমনই একটি অধ্যয়।


শুনতে খারাপ লাগলেও কথা সত্যি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো ছাত্র হয়ে সবার নজর কাড়া বেশ কঠিন। এজন্য একজন শিক্ষার্থীকে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়। কিন্তু একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিতি পাওয়া সে অর্থে বেজায় সহজ। ক্ষেত্রবিশেষে এদের কদরও আবার একটু বেশি। পক্ষে-বিপক্ষের প্রচার মাধ্যমগুলো তাদের এ অপকর্মকে লুফে নিয়ে রাতারাতি হিরো নচেৎ জিরো বানিয়ে দেয়।


’৯০ এর দশকে ঢাবির ছাত্রনেতা হতে হলে আপনাকে কী করতে হতো? একটু মিলিয়ে নিন। শুরুতে নিজ এলাকার এমপি-মন্ত্রীর আশীর্বাদ নিতে হতো। মাঝেমধ্যে সেই নেতার বাসায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর্মী-সমর্থক নিয়ে হাজিরা দিতে হতো। শো-ডাউন যাকে বলে। নেতার বাসার বাইরে দাঁড়িয়ে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে স্লোগান দিয়ে মাঠ গরম করতে হতো। নেতা বেরিয়ে এসে পারফরম্যান্স দেখে মুচকি হেসে বলতেন, ‘তোর জন্য আমার বাসার সদর দরজা সবসময় খোলা’। সুযোগ থাকলে ওই নেতাকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় নেতাদের একটু ফোন করাবেন। যদিও তখন অ্যানালগের যুগ ছিল। এতেই কর্মসাড়া। হলে ফিরে গিয়ে অন্য সবার সামনে কথায় কথায় নেতার রেফারেন্স টানবেন। অন্যদের একটা ঘোরের মধ্যে রেখে ভড়কে দেবেন।


শুরুর দিকে একটু হালকা পয়সা-পাতি খরচ করে সহপাঠীদের খাওয়াবেন। জাতে উঠে গেলে আর কি! আপনার আয়-রোজগারের পথ বেরিয়ে আসবে। হল ক্যান্টিনের সামনে চেয়ার-টেবিল বিছিয়ে হাতে একটা সিগারেট (ধূপপানে বিষপান) ধরিয়ে ঊর্ধ্বাকাশে গোল-গোল করে ধোঁয়া ছুঁড়বেন। আপনার সাথের চ্যালারা বলবেন, ‘বাহ! নেতা দারুণ’! জুনিয়র কেউ সামনে দিয়ে গেলে ছালাম দিল কিনা, পাশে বসা সাগরেদকে তা জিজ্ঞেস করবেন। না দিলে কিভাবে সাইজ করবেন তার একটা নকশা মনে মনে এঁকে নেবেন। ক্যান্টিনের সামনের দোকান থেকে বাকিতে সিগারেট (ধূপপানে বিষপান) না কিনলে কেউ আপনাকে নেতা মানবেই না। মনে রাখবেন, মোস্তাকের দোকানের চিকন টালী খাতায় যার যত বেশি বাকি লেখা, সে তত বড় নেতা। টাকা পকেটে থাকলেও সবার সামনে দেয়া যাবে না। ভাব ছুটে যাবে। আপনি নেতা না?। দুপুরের ঠিক পরপরই মধুর ক্যান্টিন থেকে বিশাল বাহিনীসহ আপনার হল ক্যান্টিনে প্রবেশ দেখে ম্যানেজারের পিলে চমকে যাবে!


গ্রুপ নিয়ে খেতে বসবেন। ‘ফাও পার্টি’, বয়-বেয়ারাদের এমন মৃদু গুঞ্জনে কান দেবেন না। ম্য্যনুতে কৈ আর তেলাপিয়া মাছ ছাড়া কিছু নেই। ক্যান্টিন ম্যানেজার আমিন/জাফরের অভিশাপ নিয়েই আয়েশি কায়দায় কৈ এর মাথা চর্বনে সহসা শক্ত ধাতু দাঁতের ফাঁকে আটকে গেল। নেতা চেঁচিয়ে উঠলেন। তার এমন দশা দেখে ধাতু ছাড়াতে এগিয়ে এলেন ডজন খানেক চ্যালা। ওমা কী কাণ্ড! এ যে বড়শি? তার সঙ্গে আবার কেঁচো আটকে আছে দাঁতে! থুক করে ফেলে দিয়েই মারলেন কষে এক থাপ্পর ম্যানেজারের গালে। ‘দেখবি না ব্যাটা? কৈ-কেঁচো এসব কী? চড় খেয়ে ম্যানেজারের সরল আকুতি ‘আমি বুঝবো কী করে? আমি কি ওর পেটের মধ্যে ঢুকে দেখবো যে কৈ মাছ বড়শি খেয়েছে, সঙ্গে আবার কেঁচো? ম্যানেজারের উত্তরের অপেক্ষায় থাকেন না চ্যালারা। উপর্যুপরি হাত ও মুখ চালাতে থাকেন ম্যানেজারের ওপর। নেতাকে খুশি করতেই হবে।


একবার প্রভোস্টের কানে গেল নেতারা ফ্রি খাচ্ছেন এবং ক্রমান্বয়ে এর পরিমাণ অসহনীয় হয়ে পড়ছে। তালিকা চাইলে ম্যানেজার গোপনে তা সরবরাহ করেন। নেতাদের স্যার ডেকে পাঠালেন। বোঝালেন। দেখো বাপুরা, অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তির পদচারণায় এ ক্যাম্পাস মুখরিত ছিল। বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দিন, রাজ্জাক, সত্যেন বোস, ডক্টর মোহাম্মাদ শহীদুল্লাহ, রমেশ চন্দ্র মজুমদারসহ অসংখ্য দেশবরেণ্য বিজ্ঞানী, গবেষক, রাজনীতিক ও গুণী মনীষী এখানে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়েছেন। কিন্তু তারা কেউ অন্যায়ভাবে ক্যান্টিন-ডাইনিংয়ে ফ্রি খাননি। তাহলে তোমরা এসব করছো কেন? উত্তরে এক নেতা যা বললেন তাতে তো স্যারের পুরাই আক্কেলগুড়ুম! নেতা শুধালেন, ‘এসব বলে কী লাভ স্যার? ওনাদের কপাল ভালো ওনারা সেই আমলে জন্মেছিলেন। এ আমলে জন্ম নিলে ওনারাও আমাদের মতন ফ্রি খেতেন’। প্রভোস্ট মহোদয় আর কথা বাড়াননি।


৯০ এর দশকের নেতা আপনি। প্রতিটি হলে আপনার একটি নেটওয়ার্ক থাকতে হবে। ছাত্রী হল ব্যাতীত প্রতিটি হলে কমপক্ষে আপনার একটা ব্রাশ আর একটা ট্রাউজার/লুঙ্গি থাকা চাই। হাঁক দিলেই যেন কয়েক’শ কর্মী চলে আসে সে ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। আতঙ্ক ছড়াতে মাঝে মাঝে অদ্ভুত চেহারার কিছু অপরিচিত মুখ হলে নিয়ে আসবেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে বহিরাগতদের এনে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করবেন। মনে রাখবেন, হুমকির বদলে হুমকি। আক্রমণের বদলে আক্রমণ। গুলির বদলে পাল্টা গুলি। আর লাশের বদলে পাল্টা লাশ। এটা যথাযথভাবে পালন না করতে পারলে আপনি কোনো নেতাই না।


সিট বিতরণে আপনার একচ্ছত্র আধিপত্য না থাকলে আপনি কিসের নেতা? আনুগত্য যাচাইয়ের একটা ছোট্ট ইন্টারভির না নিলে কি চলে? বাড়ি কই? আগে রাজনীতি করেছে কিনা? করলে সেটা কোন দল? সিট দিলে কথাবার্তা শুনবে তো? মিছিল-টিছিল (মারামারি) করতে পারবে তো? দেখি স্লোগান ধরো, ‘আমরা শক্তি আমরা বল......’। না পারলে সিট বাতিল। এবার বলো রাজি? আমার এখনও মনে আছে, হলের এক নেতার এমন প্রশ্নের উত্তরে ভোলার ছেলে মনির বলেছিল, ‘নেতা একখান ডাব্লিং সিটের পারমিশন দেন, আপনার লইগ্যা শহীদ হইয়া যামু’। নেতা খুশি। ‘এইতো চাই’ বলে কর্মীর পিঠ চাপড়ালেন। প্রভোস্ট, হাউজ টিউটরের খোঁজ পেতে যেখানে দ্বিতীয়/তৃতীয় বর্ষ লেগে যায়, সেখানে নেতার ইচ্ছায় ১ম বর্ষেই সিট পাওয়া কি সৌভাগ্যের ব্যাপার নয়? তাছাড়া প্রভোস্ট কিংবা হাউজ টিউটর চাইলেও এক হলের কাউকে অন্য হলে একরাত থাকতে দিতে পারেন না। কিন্তু নেতা চাইলে অছাত্র/বহিরাগতদেরও বছরের পর বছর হলে রাখতে পারেন। খাওয়াতে পারেন।


মিছিল শুরু হলে কারা অনুপস্থিত তাদের তালিকা তৈরি করে ক্যাডার বাহিনী দিয়ে রুমে-রুমে গিয়ে হালকা ডলা দিতে হবে না? পরীক্ষার অজুহাতে কিংবা শরীর খারাপের দোহাই দিয়ে খাটের তলায় পালিয়েও যেন নিস্তার না পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সিট দিয়েছেন আপনি। আপনিই ত্রাতা। মাঝে মাঝে জুনিয়রদের দিয়ে একটু হালকা বডি-ম্যাসাজ করিয়ে নেবেন। আপত্তি থাকলে অন্তত দোকান থেকে এটা-ওটা কিনে আনার হুকুম জারি করতে পারেন। টিভি রুমে আপনার জন্য আসন সংরক্ষিত। ওখানে কেউ বসছে তো তামা-কাশা করে দেবেন।


তাছাড়া নেতা হতে হলে সাধারণ চর্চায় যা রাখতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষায় আপনাকে দু/তিনবার ফেল করে একটু সিনিয়র হতে হবে। মধুতে এসে টেবিল দখল করতে হবে। মধুর বয়-বেয়ারাকে একটু হালকা ধমক দিয়ে নিজেকে চিনিয়ে নিতে হবে। এই আর কি?


স্বাধীনতা-পরবর্তী ৫০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের অন্তত ৮৩ জন নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। অভ্যন্তরীণ কোন্দল, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার, মুখোমুখি বন্দুকযুদ্ধ, চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। প্রতিটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করলেও কোনো রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। ৯০ এর দশক থেকে অদ্যাবদি পরিস্থিতির কি খুব একটা উন্নতি হয়েছে? বিচারের ভার আপনাদের হাতে।
’৯০ এর শুরু থেকেই অশ্লীল রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে লালন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকে কবর দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ-আসনে অধিষ্ঠিত উচ্চশিক্ষিতরা লেজুড়বৃত্তি করেছেন। যার খেসারত জাতি আজও দিয়ে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংজ্ঞা ও স্বরূপ দুটোই অস্পষ্ট এবং ভীতিকর।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অর্জনের সাথে একাডেমিক অর্জনগুলো মিলানো মুশকিল। জাতীয় রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অবশ্যই আছে। কিন্তু সেই ইতিহাসের ইতিবাচক দিককে আমরা যতটা ধারণ করতে পেরেছি তার চেয়ে অনেক বেশি ধারণ করেছি নিজেদের অভ্যন্তরীণ অনৈক্য, নীতি ও মূল্যবোধের অবক্ষয়কে।


পুরনো ধ্যান-ধারণা পাল্টে ফেলে নতুন করে ভাবা হোক শতবর্ষের শপথ। পরিবর্তিত জীবন-দর্শন, বাস্তবতা, উদ্ভাবন ও বিবর্তন বিশ্লেষণ করে জাতিকে দিক নির্দেশনা দেয়ার উপযোগী করা হোক এই বিদ্যাপীঠের প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বিনির্মাণে একটি যোগ্য ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে এটিকে প্রস্তুত করা হোক এখন থেকেই। শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেখতে চাই বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায়। এটি আমাদের সকলের প্রত্যয়।


[প্রিয় পাঠক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে তিন পর্বের লেখার দ্বিতীয় পর্বে থাকছে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও আমার আরও কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা। পাঠের অনুরোধ রইলো]।


লেখক: প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দীন মিতুল
ডিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ইমেইলঃ [email protected]


বিবার্তা/আরকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com