শিরোনাম
‘সরকারের মন্ত্রীরা অর্বাচীনের মতো কথা বলছেন’
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৯, ১৮:২০
‘সরকারের মন্ত্রীরা অর্বাচীনের মতো কথা বলছেন’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের অর্বাচীনের মতো কথাবার্তা বলা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। তিনি বলেন, আসলে তারা দেশ চালাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। একটা অনির্বাচিত সরকার দেশ চালাতে পারে না।


সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ‘সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিএনপি চামড়া কিনে ফেলে দিয়েছে’−শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।


এর আগে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।


মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবৈধ, জনগণের কোনো ম্যান্ডেট তাদের প্রতি নেই। পার্লামেন্ট বলুন, আর সরকার বলুন, এখানে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। ফলে অর্বাচীনের মতো কথাবার্তা বলা ছাড়া তাদের আর কিছু করার নেই। ’


বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অবৈধ সরকার সম্পূর্ণ সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। এখন তারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশে একটি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা।’


ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে বিএনপির প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব বেশি প্রত্যাশা করছি না। আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সুউচ্চ পর্যায়ে আছে, খুব ভালো আছে। তারপরও গত ১০ বছরে আমরা তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাইনি। সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। যেটা হয়েছে ভারতের সমস্যাগুলো সমাধান হয়েছে। সে কারণে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছি না।’


ভারতের এয়ারপোর্ট সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে জমি চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা আমরা গভীরভাবে লক্ষ করেছি। বাংলাদেশ সরকার এখনও জমি দিতে রাজি হয়নি। রাজি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমার দেশের জমি অন্য কাউকে দেয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।’


বিএনপির কাউন্সিলের বিষয়ে জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সব জেলা পুনর্গঠনের কাজ চলছে। এগুলো শেষ হলেই কাউন্সিলের কার্যক্রম শুরু করবো।’


খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বারবার এবং প্রকাশ্যে স্পষ্টভাবে বলেছি, এই সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এখানে ন্যায়বিচার করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। সত্যিকার অর্থে যদি ইন্ডিপেন্ডেন্ট জুডিশিয়াল থাকতো, তবে খালেদা জিয়া অনেক আগেই মুক্তি পেতেন। এখানে তো অনিশ্চিত বটেই।’


আওয়ামী লীগ দীর্ঘকাল ধরে এই ইতিহাসটি বিকৃত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই বিষয়টি ধ্রুবতারার মতো স্পষ্ট। জিয়াউর রহমান এদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং তিনি কোনো প্রকার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন।’


রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পূর্ণ বিরাজনীতিকরণ করে আওয়ামী লীগ এককভাবে প্রভুত্ব করতে চায় বলে দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘তবে এটা কখনোই সম্ভব হবে না। মানুষ এটা কখনও মেনে নেবে না। এদেশের মানুষ অতীতে যেভাবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেছে, ঠিক সেভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।’


এদিকে, বেলা ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে যৌথ সভা শেষে মির্জা ফখরুল জানান, ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও র‌্যালি করা হবে। ২ সেপ্টেম্বর আলোচনা করা হবে। এছাড়া, বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।


এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com