শিরোনাম
১৬ জুলাই গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০১৯, ১৪:৫০
১৬ জুলাই গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল: তথ্যমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে বন্দি করা হয়নি, গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল।


শুক্রবার (১৯ জুলাই) সেগুন বাগিচায় স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণের কণ্ঠকে রোধ করার জন্য সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেদিন ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। তাই ১৬ জুলাই শেখ হাসিনার বন্দি দিবস নয়, এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের বন্দি দিবস।


তিনি বলেন, আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম যারা পরপর দুর্নীতিতে পাচঁ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, যে দলের কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের সম্মান বিশ্বসভায় ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল, যারা দেশকে সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের অভায়ারণ্য বানিয়েছে, হাওয়া ভবন স্থাপন করে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করছিল, বাংলাদেশকে যারা জঙ্গিদের অভয়ারণ্য তৈরি করেছিল— তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং এগুলোর বিরুদ্ধে যিনি প্রতিবাদ করেছিলেন, সেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সেদিন গ্রেফতার করা হয়। কারণ, শেখ হাসিনা হচ্ছেন গণতন্ত্রের মানস কন্যা ও চেতনার অগ্নিবীণা।


তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর ছিলেন। সুতরাং, জনগণের কণ্ঠকে রোধ করার জন্য সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে সেদিন ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। তাই ১৬ জুলাই শেখ হাসিনার বন্দি দিবস নয়, এটি হচ্ছে গণতন্ত্রের বন্দি দিবস।’


বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ যে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারবে, সেটা কি কেউ ভেবেছিল? খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও পদ্মা সেতু করতে পারবে না। অথচ পদ্মা সেতু আজকে দৃশ্যমান। আর কদিন পরেই পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলবে। খালেদা জিয়া এও বলেছেন, পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে বানানো হচ্ছে। সেতু তো জোড়াতালি দিয়ে বানানো হয়। একেকটি স্প্যান আলাদা আলাদা করে বসাতে হয়। এটি তো বাড়ির ছাদ নয় যে, একবারে ঢালাই করে দেবে। এই জ্ঞান যাদের নাই, তারা আবার দেশ চালাবার কথা বলে।


সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের কিছু মানুষের পকেট ভারী হচ্ছে’, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে উনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন দেশের উন্নয়ন না করে তাদের পকেট ভারী করেছেন। সেজন্যই তারা এই সব কথা বলে। তখন দেশ দুর্নীতিতে পর পর পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।


আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম খান এবং সভাপতি জিন্নাত আলী জিন্নাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/তওহীদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com