শিরোনাম
বহিষ্কার হচ্ছেন আ.লীগের বিদ্রোহীরা
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০১৯, ০৯:৩৮
বহিষ্কার হচ্ছেন আ.লীগের বিদ্রোহীরা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন অথবা অবস্থান নিয়েছেন- এমন নেতাকর্মীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। এক্ষেত্রে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনড় অবস্থান রয়েছে। বৈঠকে শোকাবহ আগস্ট মাসব্যাপী কর্মসূচির বিষয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।


শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সিদ্ধান্তও হয়। বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনার পর সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। যাতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের নাম ও তাদের অপরাধের মাত্রার বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনে জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচন ছাড়াও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তাদের বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা আছে।


এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সবাইকেই বহিষ্কারের আওতায় আনা হবে।


বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এ বিষয়টি জানিয়েছেন।


তারা বলেছেন, বৈঠকে ইস্যুটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন। এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। বৈঠকে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্য শেষে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। এ প্রতিবেদনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও মোহাম্মদ নাসিম।


বৈঠকে উপস্থিত থাকা সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের যারা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধন ও মদদ দিয়েছেন, তাদের বহিষ্কার করা হবে। তবে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে তাদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রীর অনড় অবস্থানের কথা তুলে ধরে তারা বলেন, নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া দলীয় নেতাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। দলীয় শৃঙ্খলা না থাকলে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে পেছনে হাঁটতে হবে বলে শেখ হাসিনা বৈঠকে উল্লেখ করেছেন।


মন্ত্রী-এমপি বলে তাদের ক্ষমা করা যায় কিনা-বৈঠকে এমন প্রশ্ন উঠলে শেখ হাসিনা বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থাকলে সে যত বড় নেতাই হোক, শাস্তির আওতায় আসতেই হবে। এখানে কে মন্ত্রী, কে বড় নেতা, কে প্রভাবশালী, কে সংসদ সদস্য- সেটা দেখার সুযোগ নেই। কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, শোকজের জবাব পাওয়ার পর স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।


বৈঠকে ১৫ আগস্টের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া সংগঠনকে শক্তিশালী করতে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে নির্দেশ দেন দলীয় সভাপতি। শেখ হাসিনা বলেছেন, সংগঠন থাকলে সব থাকবে। সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়লে সব কিছু থেকে পিছিয়ে যেতে হবে।


শোকাবহ আগস্টে মাসব্যাপী কর্মসূচির বিষয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-৫ আগস্ট শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উদযাপন, ৮ আগস্ট শহীদ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উদযাপন, ১৫ আগস্ট শোকদিবস পালন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণ, ২৪ আগস্ট নারীনেত্রী বেগম আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি দলের অঙ্গ-সংগঠনগুলোকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে শোকের মাসের কর্মসূচি পালনের বিষয়েও নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।


বিবার্তা/রবি/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com