শিরোনাম
‘শেখ হাসিনাকে কারারুদ্ধ করে মূলত গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল’
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০১৯, ০৯:০৪
‘শেখ হাসিনাকে কারারুদ্ধ করে মূলত গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে কারারুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে মূলত গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খা-স্বপ্নকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল।


তিনি বলেন, তৎকালীন সেনা সমর্থিত অনির্বাচিত সরকার মাইনাস ওয়ান ফর্মূলা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে মূলত শেখ হাসিনাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল।


তিনি আরো বলেন, ছাত্র-যুব-জনতার নিরন্তর আন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালের ১১জুন তৎকালীন সরকার রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য সেদিন গণতন্ত্র মুক্তি পায়। তাই ১১ জুন শুধু মাত্র শেখ হাসিনার মুক্তি দিবসই নয়, এটা মূলত গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।


রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিয়স্হ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘১১ জুন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে বুধবার যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


আলোচনা সভার প্রধান অতিথি যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যুবলীগ।



২০০৭ সালের ৭ মে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু আওয়ামী লীগ নেতার হুমকি ধমকি ও তৎকালীন সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সেদিন লক্ষ লক্ষ যুবলীগ নেতাকর্মী মিছিল সহকারে নেত্রীকে বিমানবন্দর থেকে সুধাসদনে নিয়ে যায়।


যুবলীগের গৌরবময় কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে নানক বলেন, যুবলীগ এতে গর্বিত। যুবলীগ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব শূন্যতাকে দূর করেছে।


তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ব্যঙ্গ করার অপরাধে সিরাজুল আলম খানকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।


সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এবং যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।


আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাওার মাসুদ, আতাউর রহমান, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দীন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, ফজলুল হক আতিক, এমরান হোসেন খান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মিজানুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর যুবলীগের (উত্তর) সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারন সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগের (দক্ষিণ) সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম রেজা, সহ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মিল্লাত হোসেন।


অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আওয়ামী যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু।


বিবার্তা/বাণী/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com