শিরোনাম
‌‘আগুন লাগলে সেলফি তোলার কী যে আনন্দ তা বুঝি না’
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৫০
‌‘আগুন লাগলে সেলফি তোলার কী যে আনন্দ তা বুঝি না’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোথাও আগুন লাগলে কিছু মানুষ অযথাই ভিড় করে। অনেকে সেখানে যায়, সেলফি তোলে। আগুন নেভানোর কাজ না করে সেলফি তুলতে যে কী আনন্দ তা আমি বুঝি না!


শুক্রবার বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস যখন অগ্নিনির্বাপণে যায়, তখনো কিছু লোক সেখানে ভিড় করে, তাদের মারতে যায়, এমনকি বনানীর আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছে। একেকটা গাড়ির দাম আট থেকে দশ কোটি টাকা। তারা উদ্ধারকারীদের ওপর হামলা না চালিয়ে যদি এক বালতি করে পানিও নিয়ে যেতো, তাহলেও কাজ হতো।


তিনি বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি আগুনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও কিছু লোক দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেছে। প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও নিজের দায়িত্বের জায়গা থেকে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছেন। তবে কিছু মানুষ অযথা ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকে, তারা দাঁড়িয়ে না থেকে জায়গাটা খালি রাখলেও উদ্ধারকারীদের জন্য কাজ সহজ হয়।


অগ্নিকাণ্ডের স্থানে ছবি তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোথাও আগুন লাগলে কিছু মানুষ অযথাই ভিড় করে। অনেকে সেখানে যায়, সেলফি তোলে। আগুন নেভানোর কাজ না করে সেলফি তুলতে যে কী আনন্দ তা আমি বুঝি না!


দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগে দেশে ছিল অর্থনৈতিক মন্দা। দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। এদের অপকর্মে দেশটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছিল। শান্তিতে চলাফেরা করতে পারতো না মানুষ। চুরি-ডাকাতি বা সন্ত্রাসবাদ এমনকি মাদকের বিস্তার ছিল দেশে। আয়ের তুলনায় ব্যয় ছিল বেশি মানুষের। যে কারণে দেশের মানুষ তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তাদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হলে, দেশ লুট করে খাবে- এটা বুঝতে পেরেছে জনগণ।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের পরিচালনায় দেশে শান্তি ফিরেছে। মানুষ নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। ক্রমবর্ধমান উন্নয়নশীল দেশের শীর্ষ পাঁচে থেকে আমরা কথা বলছি। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে এখন। প্রবৃদ্ধিতে অনেক দেশ ছাড়িয়ে গেছি। আগামীতে ৮ এর বেশি প্রবৃদ্ধি হবে আমাদের। সেভাবেই আমরা পরিচালনা করছি।


আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, বিএনপির আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতনে বাড়িঘরে থাকতে পারেননি নেতাকর্মীরা। এমনকি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের নগদ টাকাসহ অনেক সম্পদ লুট করে নিয়ে গিয়েছিল বিএনপি। মিথ্যায় মামলায় আমাদের জর্জরিত করতে চেয়েছিল। আমাদের দলীয় কার্যক্রমের কোনো সুযোগই ছিল না। কিন্তু আমরা বিএনপির নামে কোনো মিথ্যা মামলা দিচ্ছি না। খালেদা জিয়ার মামলা আমরা করিনি। এতিমের টাকা খেয়ে পার পেয়ে যেতে পারেননি, তাদেরই লোকের দেয়া মামলায় তিনি জেলে।


তিনি আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচন করতে আসেনি। তারা বাণিজ্যক্ষেত্র বানিয়েছিল। টাকা খেয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় আগ্রহ ছিল না তাদের। নির্বাচন উপলক্ষে বাণিজ্য করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল বিএনপির। যা জনগণ মেনে নিতে পারেনি।


শেখ হাসিনা আরো বলেন, নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন জরিপ বলেছিল, আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসছে। আমাদেরও বিশ্বাস ছিল জনগণ আমাদের বারবার চায়। সে বিশ্বাস আমরা বাস্তবে দেখেছি। নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ২০০৮-এর নির্বাচনেও কোনো প্রশ্ন ছিল না। এছাড়া জনগণের সেবা করতেই আমরা নির্বাচন করি।


বাণিজ্যের কারণেই বিএনপি জিততে পারেনি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, লন্ডন থেকে ওহি আসে, আর সে হিসেবে বিএনপি নেতারা প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন বিপুল টাকার বিনিময়ে। এভাবে ক্ষমতায় আসা যায় না। চোর হওয়া যায়।


বিবার্তা/শান্ত/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com