শিরোনাম
‘সংলাপ নয়, নির্বাচন পরবর্তি শুভেচ্ছা বিনিময়’
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৫১
‘সংলাপ নয়, নির্বাচন পরবর্তি শুভেচ্ছা বিনিময়’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপ নয়, নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা জানানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।


তিনি বলেন, ‘সংলাপ নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, সেহেতু তিনি (শেখ হাসিনা) নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাতে চান।’


সেতুমন্ত্রী বলেন, সংলাপে প্রায় ৭৫টি রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহন করেছিল। এই রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেয়া হবে। এ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয়পার্টি, বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্ট, কেন্দ্রীয় ১৪ দল, বামজোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রয়েছে।


ওবায়দুল কাদের আজ বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় উদযাপন উপলক্ষ্যে আগামী ১৯ জানুয়ারী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিজয় সমাবেশকে সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।


ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।


সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।


সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর উপস্থিত ছিলেন।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোন বিষয় নেই। এ নির্বাচন নিয়ে সারাবিশ্বে কোন বিতর্ক ও সংশয় নেই। পুরো গণতান্ত্রিক বিশ্ব নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোন প্রয়োজন নেই। সংলাপের দাবি হাস্যকর। তারপরও গতকালের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে সংলাপ নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ বিষয়টি পরিষ্কার করলাম।


কাদের এ বিষয়ে আরো বলেন, নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছায় আমন্ত্রণ জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দেয়া হবে। এটা সংলাপের কোন আমন্ত্রণ নয়।


সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ মহাবিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ বিজয় অব্যাহত থাকবে। আসন্ন উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও বিজয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।


তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এই মহাবিজয়ে দলের দায়িত্বও অনেক বেড়ে গেছে। তবে আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সরকারের মধ্যে যাতে দল হারিয়ে না যায়। দল যেন সরকারকে পরিচালনা করে। আওয়ামী লীগ যত ঐক্যবদ্ধই থাকুক না কেন, সংগঠন হিসেবে আমাদের কিছু দূর্বলতা রয়েছে। রাজধানীতে যেমন রয়েছে সারাদেশেও তেমনি রয়েছে। নির্বাচনে বিজয়কে সুসংহত করতে হলে সাংগঠনিক এই দূর্বলতা দূর করতে হবে। দলকে সংগঠিত করার মাধ্যমেই আমরা আমাদের বিজয়কে সুসংহত করতে চাই। আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক দূর্বলতা দূর করতে সমর্থ হলে বঙ্গবন্ধুর এই দল কখনো পরাজিত হবে না। দলের মধ্যে যে দূর্বলতা রয়েছে তা অনতিক্রম্য নয়, তা অতিক্রমযোগ্য।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিজয় সমাবেশে যারা মিছিল নিয়ে আসবেন তারা বাধ্যযন্ত্র ও ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে আসবেন ঠিক আছে। তবে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে কেউ সমাবেশ স্থলে প্রবেশ করবেন না। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কেউ সমাবেশস্থল ত্যাগ করবেন না।


তিনি আরো বলেন, সমাবেশস্থলে প্রবেশের জন্য আগের চেয়ে বেশি প্রবেশপথ তৈরি করা হবে এবং নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ থাকবে। সমাবেশ যাতে সর্বোচ্চ সুশৃঙ্খল হয় সে বিষয়টিকে সকলকে প্রধান্য দিতে হবে।


বিবার্তা/রোকন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com