একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর) আসনে সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। বর্তমানে তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯৮৬ সালে প্রথম দলীয় মনোনয়ন পান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। সেবার তিনি বিজয়ী হলেও পরের দিন সকালে ফলাফল ঘুরিয়ে জাতীয় পার্টির আবুল কাশেম সরকারকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে দলীয় মনোনয়নে বিজয়ী হন তিনি। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদের শেষাংশে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে অষ্টম সংসদে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় পরাজিত হন তিনি।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী জেলা, মহানগর ও বিভাগের বিভিন্ন পদে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। তিনি কমান্ডার হিসেবে জীবন বাজি রেখে পাক হায়েনার বিরুদ্ধে প্রানপণে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধে তাঁর বড় ছেলে শহীদ কল্লোল পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন শাসক গোষ্ঠী রাজশাহী জেলায় যে ব্যক্তিকে প্রথম গ্রেফতার করেন তিনি আব্দুল কুদ্দুস (১৯৭৫ এর ১৭ আগষ্ট)। দীর্ঘ ৫ বছর কারাভোগ করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৮৩ ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন তিনি। প্রবীণ পার্লামেন্টারীয়ান ও বৃহত্তর উত্তরাঞ্চলের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হিসাবে মন্ত্রীত্ব তার প্রাপ্য বলে মনে করছেন তার নির্বাচনি এলাকা বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুরের মানুষ। সরকারপ্রধানের কাছে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার দাবি তাদের।
বিবার্তা/সাকলাইন/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]