শিরোনাম
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার
'গ্রাম হবে শহর, দারিদ্র্যের হার নামবে শূন্যে'
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:০৪
'গ্রাম হবে শহর, দারিদ্র্যের হার নামবে শূন্যে'
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় এলে দেশে দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, গ্রামে শহরের মত আধুনিক সুযোগ-সুবিধার পেতে বিস্তর কর্মসূচি আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশকালে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ''আগামী ৫ বছরে জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনকালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৩০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ৫ হাজার ৪৭৯ ডলারেরও বেশি। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়।''


প্রধানমন্ত্রী জানান, ''বর্তমানে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় চার কোটি ৯২ লাখ বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে। আগামী ৫ বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে এবং সবার ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে। দারিদ্র্যের হার ১২.৩ শতাংশ এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজনের নিয়মিত রোজগার নিশ্চিত করা হবে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে। সহজ শর্তে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আয়বর্ধকমূলক কর্মকাণ্ড সম্পৃক্ত করা হবে।''


দলের সভাপতি জানান, মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবো। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা হবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িতকতা ও মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি আমাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাস, দখলবাজি ও চাঁদাবাজি বন্ধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হবে।


তিনি বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে সবার জন্যে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ও ৫ মিলিয়ন ঘন এলএমজি জ্বালানি খাতে ব্যবহার করা হবে।


সরকারপ্রধান বলেন, ''একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক নগর সুবিধা দিয়ে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ হিসেবে গড়ে তুলবে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে তারুণ্যকে উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তর করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।''


সরকার পরিচালনায় ভুলভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বাবা-মাকে হারিয়ে আমি রাজনীতি করছি শুধুমাত্র এদেশের জনগণের জন্য। এদেশের সাধারণ মানুষ যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারে উন্নত জীবন পায় এবং যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে চাই। আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এই দুই মহাযজ্ঞকে সামনে রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ সমৃদ্ধির পথে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যদি এ সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে তাহলে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হবে গ্লানিকর। তাই দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে দেশ সেবার সুযোগ দিন। আপনারা নৌকায় ভোট দিন, আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেব। এটা জাতির কাছে আমাদের অঙ্গীকার। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করবে এ বিশ্বাস আমার আছে।


সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার পাঠ শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর আগে দলটির নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহবায়ক সাংসদ আব্দুর রাজ্জাক স্বাগত বক্তব্য দেন। তারপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।


বিবার্তা/হাসান/কামরুল


আরও পড়ুন-ইশতেহারে আওয়ামী লীগের ২১ অঙ্গীকার

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com