শিরোনাম
মনোনয়ন ফিরে পেতে এখনও আশাবাদী হিরো আলম
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:১৭
মনোনয়ন ফিরে পেতে এখনও আশাবাদী হিরো আলম
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের প্রার্থী হতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাচ্ছেন হিরো আলম খ্যাত আশরাফুল হোসেন আলম। কিন্তু থেমে নেই তিনি। চমকও দিয়েছেন বারবার। মনোনয়নপত্র বাতিলের পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেও টিকতে পারেননি।


শেষ পর্যন্ত হিরো আলম গেছেন উচ্চ আদালতে। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নিয়ে ঐক্যও গড়েছেন তিনি। তবে হিরো আলম নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সর্বত্রই চলছে জল্পনা কল্পনা।


শনিবার সকালে উচ্চ আদালতে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতিকালে হিরো আলমের আইনজীবী কাওসার আলী গণমাধ্যমকে বলেন, উচ্চ আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আপিলের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা মনে করি, হিরো আলম নির্বাচনের সুযোগ পাবেন।


এদিকে, মনোনয়নপত্র বাতিলের প্রতিবাদে গত শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন হিরো আলম। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংসদে যাওয়া ঠেকাতেই এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের মতো 'জটিল নিয়ম' আইনে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।


ক্ষোভ প্রকাশ করে হিরো আলম বলেন, 'ভোটারের স্বাক্ষর, গ্রামগঞ্জের লোক আমরা এমনিতেই ভয় করি। কেউ সত্য কথা বললে হয় লাশ, না হয় জেলখানায় যেতে হয়। আর না হয় এলাকা ছাড়া! ওনারা (নির্বাচন কমিশন) যখন ভোটারের কাছে গিয়েছিলেন পুলিশ দেখে এমনিতেই তারা (ভোটার) ভয় পায়। আবার ভোটারদের অনেকে কেউ বিএনপি, কেউ আওয়ামী লীগ সমর্থন করে। ওনাদের কেউ আমাকে স্বাক্ষর দিয়েছে, কিন্তু সেই সময় সবার উপস্থিতি দেখে হয়তো স্বাক্ষর করাদের কেউ কেউ অস্বীকার করেছে। আমি উচ্চ আদালতে আপিলের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার বিশ্বাস, আমি নির্বাচনের সুযোগ পাব।


নাগরিক সভায় ফরওয়ার্ড পার্টির আহবায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রেজাউল হোসেন ও জিয়াউর রহমান, অ্যাডভোকেট ফারুক রেজাসহ অনেকে বক্তব্য দেন।


২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় 'গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)' সংশোধন করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আসনের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করার বিধান যুক্ত হয়।


গত বছর মাঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে অন্তত ৩৫টি অনুচ্ছেদে সংস্কর আনার প্রস্তাবগুলোর মধ্যেও ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক তালিকা জমার বিধান বাতিলের সুপারিশ ছিল।


এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের যুক্তি ছিল- যারা স্বাক্ষর দেন তাদের অনেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, ভয়ে সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। আবার অনেক ভোটার অর্থ লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন।


তবে আরপিও সংশোধনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষর জমার নিয়ম আগের মতোই থেকে যায়।


বিবার্তা/নজরুল/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com